বিরোধী দলীয় নেতাকে তার বাড়িতে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়েছে দাবি করে এবিষয়ে স্পিকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিএনপির সাংসদরা।
Published : 02 Jan 2014, 10:06 AM
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন এবং এ বিষয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
১০ মিনিটের ওই সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের পর সংসদের মিডিয়া সেন্টারে স্মারকলিপিটি সাংবাদিকদের সামনে পড়ে শোনান ফারুক।
তিনি বলেন, “সংসদ এখনো বহাল আছে। বিরোধী দলীয় নেতা এখনো স্বপদে বহাল আছেন। অথচ তার বাসভবন অবরুদ্ধ করে বাড়ির চারপাশে প্লাটুনের পর প্লাটুন পুলিশ দিয়ে এবং বালুভর্তি ট্রাক দিয়ে বাড়ির দুই ধার বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এমন কি গণমাধ্যমের কর্মীদেরকেও তার বাড়ির আশেপাশে অবস্থান এবং প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।”
খালেদা জিয়া গৃহবন্দি কি-না, জাতি তা জানতে চায় বলেও মন্তব্য করেন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ।
“আমরা স্পিকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবেন।”
ফারুক বলেন, “দেশের জনগণ এই একদলীয় প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ব্যক্তির অধিনে জাতীয় সংসদের নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সরকার সেদিকে লক্ষ্য না করে গায়ের জোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দেশের জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েই যাচ্ছে।“
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ফরুক জানান, এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের কাছেও সময় চেয়েছেন। বঙ্গভবন শেখে শুক্রবার বিকাল ৪টায় সাক্ষাতের সময় দেয়া হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফেরর ডটকমকে বলেন, “বিএনপির সংসদ সদস্যরা আমার কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। তারা জানতে চেয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা অন্তরীণ কিনা, তাকে কেন বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
“আমি তাদের বলেছি বিষয়টি নিয়ে আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।”
ঢাকামুখী অভিযাত্রা ও নয়া পল্টনে সমাবেশ করতে না পেরে ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা’ নির্বাচন ঠেকাতে বুধবার বছরের প্রথম দিন থেকেই সারা দেশে লাগাতার অবরোধ শুরু করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত রোববার নয়া পল্টনে যেতে চাইলেও পুলিশের বাধায় তিনি গুলশানের বাসা থেকে বের হতে পারেননি।
বিএনপির দাবি, তাদের চেয়ারপার্সনকে ‘কার্যত গৃহবন্দি’ করে রাখা হয়েছে, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি অস্বীকার করা হচ্ছে।