আবহমান শিল্পের কারুকাজ : ....চলে যাই অরণ্যে বন্য হই, ভালোবাসায় ধন্য হই
হন্য হয়ে ঘুরিফিরি পৃথিবীর তল
দখিনা বাতাস বয় উৎফুল্ল উতল
চলে যাই সমুদ্র সাতঁরাই, পুলকে কাতড়াই__বাতাসে ভেসে আসা অমিয় সুধা খাই
ঋদ্ধ হই, কামের কামানে বিদ্ধ হই__ভালোবাসার সিদ্ধিতে মুগ্ধ হই,
ঘুরে আসি অমিয় অমায়
হৃদয় ভরাই সুবাসে সুধায়
দূরে কেনো থাকো__আমাকে আঁকো, সাঁকো পেরিয়ে চলো প্রেমের গহীনে
রমণে কম্পণে ব্যঞ্জনায় আবহমান আদিম ধ্বনির তরঙ্গ তোলো
খুলে ধরো পৃথিবীর পুরনো বনানীর পথ__
আমি হয়ে উঠি সুন্দর সতত
দাও সৌন্দর্যের বিন্দু বিন্দু শিশির
আমাকে দাও স্বচ্ছ সুন্দর এক পুলকিত নীড়
আমি মহাযুদ্ধে বীর হয়ে
তোমার ভীড়ে হারাই
করি আবহমানতার ধান মাড়াই
এসো নগ্নসুন্দর এক শিল্পিত কারুকাজে
স্বর্গ নিয়ে আসি আজ মনুষ্য সমাজে
জীবনের সব দায়, অাদায়, বিদায় ঘুচে দিয়ে দুজন দুজানার হই
হই মর্ত্যলোকের সই
প্রেমের প্রাঙ্গনে খই ফোটাই
লুটাই এক আবহমান মদির সুরালোকে
চোখের পলকে পলকে মধু খাই নিশি আর দিবালোকে.....
০২.০১..২০১৪
ভালোবাসার, উত্তাপ শাঁস...
।। শাফিক আফতাব
ভরপুর বুকের ভালোবাসায়, আমাকে ঋদ্ধ করো
স্পর্শের ঘ্রাণে ফুটে উঠুক গোলাপের কলি
মুখের ধ্বনিগুলো হোক প্রাঞ্জল পদাবলি
তুমি যন্ত্রণায় করোনা আর জ্বরোজ্বরো
সুবাসে সুধায় মদির করো
জ্বলে উঠুক জীবনের নীল লাল পদাবলি
আমি আজ আর্ত মানুষের মতোন প্রেমার্ত
ভিতরে আগুন, আস্বাদের নুন, কষ্টের ঘুণ
তুমি আর জ্বালিয়েনা উনুন
আর কোরোনা আমায় বেদনার্ত,
অনুকূল হও, বেগে ধাও দিয়ে দাও মন
হোক ভালোবাসার জ্বালা প্রশমন
ভরপুর মেঘের মতো ভরে দাও আমার আকাশ
প্রেমের বৃষ্টিধারায় দাও ভালোবাসার, উত্তাপ শাঁস...
০২.০১.২০১
মানুষ
।।শাফিক আফতাব
অনুযোগ অভিয়োগ নেই কারো কাছে
রাজনৈতিক এতটুকু সুযোগের জন্য ধর্ণা ধরি কারো
অপর্ণার কাছে হইনা জড়োসরো
বাঁচি নিয়ে আমার যা কিছু আছে।
মানুষের পায়ের কাছে আমি হয়েছিলাম পোষা পুকুর
করুণা চাই নি, চেয়েছিলাম মানবতার দুফোটা জল
সেই সব আদম সন্তানের অন্তরে এক মুখে সফদ তরল
রাতের আঁধারে নাচে পড়ে নুপুর।
মানুষই সবশ্রেষ্ঠ জীব, তবু তারা কেনো এত পাশবিক
পশুদের হার মানিয়ে লণ্ডভণ্ড করে অন্যের সাজানো জীবন
সমাজ গড়ায়, ভালোবাসায় জড়ায় অথচ অন্তরে অলিক
তারা আঁড়ি পাতে, মানব শিকারে, অকাতরে করে হনন।
মানুষই সভ্যতা এনেছে, তবু যত অসভ্যতা তাদের
মুখোশের মানুষ শুধু, ইতরপুত্র, আদল শুঁয়োরের।
০২.০১.২০১৪
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:০৫