জ্যাকবের যখন দু’বছর বয়স, তখন সে ছিল অটিস্টিক শিশু। আর সে-ই আজ মাত্র ১৫ বছর বয়সে পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পথে। এমনটা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা প্রদেশে।
জ্যাকবের মা ক্রিস্টিন বার্নেট জানান, শিশুকালে তার সন্তানকে কথা বলার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলার জন্য চিকিৎসা করা হয়েছিল। সেসময় ধারণা করা হয়েছিল, জ্যাকব মারাত্মক অটিজমে (শিশুদের একধরনের মানসিক জটিলতা) ভুগছে।
কিন্তু পরবর্তীতে জ্যাকব তিন বছর বয়সেই কথা বলার ক্ষমতা রপ্ত করে, সাড়ে তিন বছর বয়সে নিজ চেষ্টায় বই পড়া শেখে। এবং ওই বয়সেই কলেজ অধ্যাপকদের জটিল সব গণিত ও বিজ্ঞানের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে শুরু করে।
জ্যাকবের মা বার্নেট বলেন, “সেই সময় আমার চিন্তা-ভাবনা পাল্টে যায়। আমি বুঝতে পারি, জ্যাকবের মন অসাধারণ। সে জটিল বিষয়গুলো বুঝতে পারে। তার ভবিষ্যতের নিয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গিও সম্পূর্ণ পাল্টে যায়।”
জ্যাকবকে প্রথমে তার সমবয়সীদের সঙ্গেই স্কুলে ভর্তি করা হয়। কিন্তু দেখা যায়, সেখানে সে কোনো আগ্রহ পাচ্ছে না।
জ্যাকব এ ব্যাপারে বলে, “আমি জানি বাচ্চাদের খেলাধুলা ও সামাজিক বিকাশের জন্য কিন্ডারগার্টেন স্কুলে পাঠানো হয়। আমি ভেবেছিলাম প্রথম শ্রেণীতে ওঠার পর বীজগণিত করতে পারবো। কিন্তু দ্বিতীয় শ্রেণীতেও তা ছিল না। আমাকে বলা হলো, হাই স্কুলে না ওঠা পর্যন্ত বীজগণিত করতে পারবো না। এখান থেকেই হয়তো আমার গণিত শেখার ইচ্ছাটা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।”
বার্নেট জানান, জ্যাকব এখন পিএইচডি ডিগ্রি লাভের জন্য ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পারডু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে। তার বুদ্ধিমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, “যদি সন্তানের ভেতরের আগ্রহের বিষয়টি বোঝা যায়, তাহলে তাকে সেই বিষয়ে সহায়তা করা উচিত। এতে সে যেকোনো অর্জন করতে পারবে।”
সূত্র
বাংলা নিউজ ২৪