আমনের ভরা মৌসুমে রাজধানীতে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে প্রায় সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে।
Published : 03 Jan 2014, 05:58 PM
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হরতাল-অবরোধের কারণে কৃষক পর্যায় থেকে পাইকারি বাজার পর্যন্ত সরবরাহ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে সব ধরনের চালের দাম কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর পাইকারিতে বস্তাপ্রতি বেড়েছে ৫০ টাকা পর্যন্ত।
রাজধানীতে খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট চাল মান ভেদে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৪৮ টাকা।
বাজারে নতুন আসা নাজিরশাইল প্রতিকেজি ৪৮-৫০, পুরনো নাজিরশাইল ৫৬-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এই জাতের চাল যথাক্রমে ৪৬-৪৮ ও ৫২-৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
বাবুবাজার চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধান, চালের ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত উৎপাদনও হয়েছে। কিন্তু সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় দাম বাড়ছে। রাজধানীতে দৈনিক চাহিদার তিন ভাগের এক ভাগ চালও নিয়মিত আসছে না।”
পাইকারিতে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বস্তা প্রতি (৫০ কেজি) সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানান তিনি।
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করতে পারছেন না মিল মালিকরা। ফলে মিলগুলোয় চালের উৎপাদনও কমে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারের দামে।
জয়পুরহাট চালকল মালিক সমিতির সভাপতি লায়েক আলী বলেন, “হরতাল, অবরোধের কারণে আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনতে পারছি না। ফলে উৎপাদনও ঠিকমত হচ্ছে না। আবার চাল উৎপাদিত হলেই যে পাইকাররা আসতে পারবেন তারও নিশ্চয়তা নেই।”
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আহমেদ হোসেন খান বলেন, “মুভমেন্ট হ্যাম্পার হচ্ছে, এতে সাপ্লাই কম হচ্ছে। দামও কিছুটা বেড়েছে ঠিক। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দাম বেশি বাড়লে আমরা ওএমএস কার্যক্রমের পরিধি আরও বাড়াবো।”
এজন্য ঢাকার গুদামগুলোয় চালের পর্যাপ্ত মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।