দেশে এখন অবরুদ্ধ অবস্থা, রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রথম বার যখন বিমানে উঠে বিদেশ পাড়ি দেই তখন মনটা ছিল খুব ভরাক্রান্ত, মাতৃভূমি ছেড়ে যাবার কষ্ট সহ খুব প্রিয়জনকে ছেড়ে যাবার কষ্ট। কিন্তু এর পর যতবার পাড়ি দিলাম ততবারই কেন যেন আর প্রথম বারের মত মনে হয়নি। এবারো যখন বিমান আকাশে উঠল তখন ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা, সাথে মনের আকাশটাও। অনেক কাজ, অনেক দায়িত্ব অপুর্ণ রেখেই চলে যাচ্ছি। পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব দের নিয়ে টেনশন হয়, এই ভরা রাজনোইতিক দূর্যোগের মধ্যেই তাদের দিন কাটবে চরম আতংক নিয়ে। আজ প্রায় ৩ সপ্তাহ হল ছেড়ে এসেছি বিগত প্রায় দুই বছর কাটিয়ে আসা কর্মস্থান। এখানেও অনেক কাজের চাপ, দম ফেলার সময় নেই। নতুন চাকরিটা এতটা কঠিন ও ঝামেলা ময় হবে ভাবিনি। জানলে হয়তো দুইমাস আগে আগেরটা ছাড়ার আগে আরও কিছুদিন চিন্তা করতাম। কিভাবে যে দিনগুলো চলে যাচ্ছে !!!! এখানেও অনেক ঠান্ডা, যদিও ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ছেড়ে আসার আগেও অনেক ঠান্ডা ছিল ঢাকাতে। এখানে শুধু সমুদ্রের কাছা কাছি নদীর বাতাস অনেকটা গরম পাওয়া যায়। সন্ধার পর এক্টূ অবসর পাই, কিন্তু বন্ধু বান্ধব হীন সময়টা ভালো কাটে না। তারপরেও কাজ করে যাই। মন থাকে অস্থির মনে হয় যেন এখানে না অন্য কোথাও যেতে হবে, অন্য কোন দেশে। যাক অনেক কাজ এখনও বাকি, আবার ফিরতে হবে। আশা করি যখন ফিরবো তখন দেশে থাকবেনা কোন আতংক, রাজনৈতিক অস্থিরতা। আর আমারও লড়তে হবে আমার নিজের অস্থিরতার সাথে। এখানে অন্ধকার আকশের মিটমিটে তারা গুলোর দিকে রাতে তাকিয়ে থাকি আর ইয়ারফোনে জ্ঞান শুনতে থাকি, তবুও অস্থিরতা কমে না। আমার লক্ষ্যের দেখা এখনো পেলাম না .............
তবুও এখানে বাতাস আসে দুরত্বের উৎসাহে
শরৎ জমে আছে ঠাণ্ডা ঘাসে,
আমার চোখের মাঝে দূরের একা পথ
এখানে ভাঙে না দুটো দেশে।
মেঘের দূরপথ ভেঙে
বুকের গভীর অন্ধকারে আলোর নির্বাসন,
স্মৃতির মতন অবিকল স্বপ্নঘর বাঁধা স্মৃতির অন্ধ নির্জনে
সময় থেমে থাকে অনাগত যুদ্ধের বিপরীতে।