আমি সন্ধ্যার আঁধারের ভেতর দিয়ে
চেংটা খেয়ে খেয়ে বাড়ি ফিরছি,
আমার দাদার আমলের আম্রবৃক্ষটির নিচে আসা মাত্রই
একটা দৈত্য গাছের শীর্ষে ঝোঁকাতে থাকলো,
আমি ভয় পাবার কথা
কিন্তু আমি এত ছোট যে ভয় জিনিসটা কি বুঝিনা
আমি হাসতে থাকলম
ভাবলাম গাছে হয়তো কেউ আম পাড়ছে
বাড়িতে এসে বলামাত্র
মা আমার আমাকে জড়িয়ে ধরলেন
বললেন : দৈত্যটি নাকি আমাকে ধরে নিয়ে যেতো
তাদের দেশে,
সেই থেকে আমাকে ভয় পেয়ে বসলো
সেই থেকে ভুতপ্রেত বুঝতে শিখলাম
কিন্ত ইদানিং শুনি মানুষই নাকি মরে
দৈত্য হয়, ভূত হয়, প্রেত হয়ে, জ্বীন হয়, পরি হয়,
তবে কুআত্মা গুলি হয়,
কিন্তু এখন নাকি বাংলাদেশে খারাপ মানুষের সংখ্যা বেশী
তাহলে তো এরা মরে ভূত হবে, প্রেত হবে,
দৈত্য হবে
আর আমাদের ছেলেমেয়েদের ভয় দেখাবে
আমাকে দৈত্যবাবা যেমন দেখায়েছিলো
মূলত আমরা বুঝি মরে সবাই ভূত হবো
কেনোনা আমরা অপরের মুত খেয়ে বড় হই।