somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লর্ড অব দ্য রিংস । । হ্যারি পটার

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



বাংলা ব্লগের নক্ষত্র ইমন জুবায়ের ভাই কে উৎসর্গ করছি লেখাটি। সৃষ্টিকর্তা তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করুন।।

লর্ড অব দ্য রিংস মুভি ট্রিলোজি এসেছে J. R. R. Tolkien রচিত এপিক ফ্যান্টাসি নোভেল দ্য লর্ড অব দ্য রিংস থেকে। গল্পগুলি লেখা হয়েছিলো ১৯৩৭ থেকে ১৯৪৭ এর মধ্যে। ওদিকে এসময়ের সাড়া জাগানো উপন্যাস জে কে রাওলিং-এর হ্যারি পটার উপন্যাসের গল্প নিয়ে বানানো হয় হ্যারি পটার সিরিজের ৮ টা মুভি। লর্ড অব দ্য রিংস আর হ্যারি পটার- দুটাই দুনিয়াব্যাপী আলোড়ন তুলেছে। যারা মুভি দুটাই দেখেছেন তাদের অনেকে হ্যারি পটারের মূল উপন্যাস পড়লেও বেশিরভাগই লর্ড অব দ্য রিংস এর উপন্যাস পড়েননি। তবে সত্যি কথা হচ্ছে ম্যাজিক ফ্যান্টাসি টাইপ উপন্যাসের ক্ষেত্রে J. R. R. Tolkien এর লর্ড অব দ্য রিংস দিক প্রদর্শকের মতন। হ্যারি পটার সিরিজে J. R. R. Tolkien এর উপন্যাসের যথেষ্ট প্রভাব আছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।

হ্যারি পটার আর লর্ড অব দ্য রিংস মুভি দেখার পর প্রথমেই যে Similiarity চোখে পড়লো তা হল কাস্টিং-এ মূল চরিত্রের চেহারার মিল!! লর্ড অব দ্য রিংস এর ফ্রডো ব্যাগিনস আর হ্যারি পটারের হ্যারি-এর চেহারার বেসম্ভব মিল!! আল্লাহই জানে এলিজাহ উড (ফ্রডো) আর ড্যানিয়েল র্যাহডক্লিফ (হ্যারি) নিকটাত্বীয় কিনা!!


বামে ফ্রডো আর ডানে হ্যারি!!

হ্যারি পটার মুভিতে ডাম্বলডোর নামের একজন বয়স্ক জ্ঞানী জাদুকর থাকে, লর্ড অব দ্য রিংস এও তাই। নাম গ্যানডলফ। দুইজনের চেহারা বেশভূষা অলমোস্ট সেইম টু সেইম!!


বামে ডাম্বলডোর, ডানে গ্যানডলফ।।

হ্যারি পটারের হ্যাগ্রিডের সাথে লর্ড অব দ্য রিংস এর dwarf গিলমির চেহারা সুরত বা বেশ ভূষা এমনকি ক্যারেক্টার স্টাইলও এক।


গিলমি এবং হ্যাগ্রিড।

দুই মুভিতেই বিশালাকার স্পাইডার দেখা যায়। হ্যারি পটারে বিরাট মাকড়শার নাম aragog (was a blind Acromantula owned by Rubeus Hagrid), আর লর্ড অব দ্য রিংস এর বিশাল মাকড়শার নাম Shelob!


আরাগগ।।


শীলব

হ্যারি পটারে ‘ডবি’ নামের কদর্য এক ধরনের প্রানী থাকে, যাকে বলে হাউজ এলফ। এর সাথে লর্ড অব দ্য রিংস এর গলম/স্মিগল (Gollum/smeagol) এর আকার আকৃতিতে তেমন কোনো পার্থক্য নেই।


বামে স্মিগল,ডানে ডবি।।

দুটাতেই চেহারাহীন একধরনের ভূতূড়ে আত্নার কথা আছে। হ্যারি পটারে তার নাম ডেমেন্টরস। আর লর্ড অব দ্য রিংস এ সেগুলাকে বলে নাজগুল।


বামে নাজগুল,ডানে ডেমেন্টরস।।

কাহিনীতেও দুটার মাঝে ব্যপক মিল। দুই মুভিতেই নায়ক খুব সাধারন একজন থেকে অসাধারন হয়ে ওঠে সাহস আর বিশ্বাস দিয়ে, লক্ষ্যের প্রতি অবিচল থেকে। হ্যারি পটার যে কোনো মুল্যে ভোল্ডামোর্ট-এর পুনঃউত্থান ঠেকাতে চায়, ফ্রেডো যেকোনো ভাবে সাউরন-এর পুনঃউত্থান ঠেকাতে চায়। Evil এর পুনর্জন্ম ঠেকাতে ফ্রডোকে রিং ধ্বংশ করতে হবে, আর হ্যারিকে হরক্রুক্স ধ্বংস করতে হবে। শয়তান সাউরনের রিং ফ্রডোর জন্য অসহনীয় বোঝা,শেষ পর্যন্ত তাকে বয়ে বেড়াতে হয়। আর ভোল্ডেমর্টের হরক্রুক্স হ্যারির জন্য বোঝা,কপালের স্কার এর সাথে বয়ে বেড়াতে হয়। হ্যারির অদৃশ্য হবার চাদর আছে, আর ফ্রডো রিং হাতে পড়লে অদৃশ্য হয়ে যায়। হ্যারি এল্ডার ওয়ান্ড এর মালিক হয়, যার ক্ষমতা অসীম, ফ্রডোর কাছেও লর্ড অব অল রিংস থাকে,যার ক্ষমতা ব্যাপক। শেষে হ্যারি এল্ডার ওয়ান্ড ভেঙ্গে ফেলে, ফ্রডোও রিং ফেলে দেয় আগ্নেয়গিরিতে,সেটা ধ্বংস হয়ে যায়।
দুটাতেই সব কথার শেষ কথা, ক্ষমতার লোভ লালসাকে পাত্তা দিলে হতে হবে সাউরন বা সারুমন বা ভোল্ডেমর্ট। আর ক্ষমতার লোভ এড়াতে পারলে হ্যারি বা ফ্রডোর মতন লিজেন্ড। হ্যারি বা ফ্রডোদের কাছে ভোল্ডেমর্ট বা সাউরনদেরর পরাজয় নিশ্চিত।

লর্ড অব দ্য রিংস এর রিং আর হ্যারি পটারে এল্ডার ওয়ান্ড (আসলে এগুলা ‘ক্ষমতা’ এর Analogy maybe) এর জন্য দুর্বল চরিত্রের মানুষের যে লালসা দেখানো হয়েছে তা সত্যিই সব যুগের জন্যই সত্য। এজন্যই মুভি আর উপন্যাস দুটা এপিক। হ্যাটস অফ এন্ড রেসপেক্ট … Tolkien এবং রাওলিং...



ছবিঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×