মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে যে দলটি এত যুগ ধরে সংগ্রাম করে আসছে, তার দলীয় প্রধানই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন না। তার নিজেরই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো না। সেখানে আমি কে? স্রেফ মফিজ, খ্রাপভাবে বললে- চোদনা। আফসোস।
তবুও তিনি ৫ জানুয়ারীর নির্বাচনের পর ফের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিবেন। খোলা বাজারে চাল ডাল ও আটার ট্রাক ঘিরে মানুষের লাইন দিনকে দিন লম্বা হচ্ছে। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সমৃদ্ধির দিকে। তবে সবাই না, নেতারা। সেটা প্রত্যক্ষ করেছেন সবাই, হলফনামার খবর থেকে। সে যাকগে।
আমি ভাই আদার বেপারি, জাহাজের খবরের দরকার মনে করি না। ক্ষমতার স্বাদ কে নিবেন, সেটা আমার কাছে যতটা না মুখ্য, তারচেয়ে বেশি হলো আমার, পরিবারের এবং সমাজের নিরাপত্তা। এ নিরাপত্তা কেবল পুলিশি নিরাপত্তা নয়- জীবন, জীবিকা, ইজ্জত, নির্বিঘ্ন পথচলা এবং নিপীড়নমুক্ত জীবনের নিরাপত্তা।
আম্লীগের গেলো ৫ বছরে এটি চরমভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। সামনেওে হবে। বিম্পি-জমাতের আমলেও হয়েছে। কথাটা বেশি বলে আম্লীগ। যেমন ধরেন ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে। কিরে বাপ তোমরা নিজেরা চাষবাষ করো নাকি। কৃষকের উৎপাদন খরচই ওঠে না, তো্মরা তার সাথে আলাপ ছাড়াই ১০ টাকা চালের দর ঘোষনা করছো। এ রকম আরো অনেক কিছুর দর তারা নির্ধারণ করেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মানুষের দর দাম।
মরলে ৫ লাখ টাকার দরও তুলেছেন তারা। আহা জীবন। এতটাই সস্তা। এতটাই। রানাপ্লাজায় এত মানুষ মরেছে, তাতে কি, খয়রাতি সাহায্য দিয়েছে না সরকার। সামনের মেয়াদে এই খয়রাতিও মিলবে কিনা তা নিয়েও সন্দেহ। খয়রাতির দরকার নাই- অধরচন্দ্র বিদ্যালয় মাঠের মত কেবল কানে বাজবে -'খালি লাশটা চাই।'
বিম্পির আমলে একটা গল্প লিথতো- তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসীকে ধরে নিয়ে যাবার পথে উৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলা করলে দুপক্ষের গুলি বিনিময়ে সন্ত্রাসী নিহত হয়। আমাদের ক্রাইম রিপোর্টাররা সেটা লিখে ধণ্য হতেন।
আম্লীগের আমলেও সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী হিসাবে চিহ্নিত। শেষ দিকে এসে বেশি। ওনারা 'নাম' বলে ঘরে ঢোকে, ছাদে নিয়া পিটায়, লাত্থি মেরে ফেলে। তারপর বলে- এটা আমরা করিনি, মারিনি। আমরা তখন অন্যদিকে টহলে ছিলাম।
কী নির্মম দায়মুক্তি। সামনের বছরগুলো নিয়ে শঙ্কা। তবে সব শঙ্কা মিথ্যে হোক। জয় হোক মানুষের।