somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ দ্বিপ্রহরে দ্বিতীয় শয্যা - মৌচাকে ঢিল, জানুয়ারী-২০১৪

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

চূড়ান্ত অনুভবের অনেকটা সময় পরও নিলয় সুমনাকে জড়িয়ে ধরে রাখে। তৃপ্ত সুমনাও দু বাহুতে আঁকড়ে থাকে নিলয়কে। পরিতৃপ্তির আনন্দ চোখে-মুখে ছড়িয়ে নিলয়কে প্রশ্ন করে - ‘যদি হঠাৎ আকাশ এসে পড়ে এখন?’
সুমনার পিঠ থেকে ডান হাতটা সরিয়ে এনে নাকটা টিপে দিয়ে নিলয় বলে-‘এই দুপুর বারোটায়! কখনোই না। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী অত সহজ না। তোমার স্বামীকে ওরা কখনোই বউয়ের খোঁজ নেয়ার জন্য ভর দুপুরে বাসায় পাঠিয়ে দেবে না। রাত নয়টার আগে ফেরে কোনদিন?’
‘তা ফেরে না সাধারণত। তা-ও ধরো, যদি..? সুন্দরী স্ত্রী একাকীত্ব কাটাতে কি করে না করে খোঁজ নিতে ও যদি না বলেই চলে আসে কোনদিন?’- চোখের তারায় দুষ্টুমির নাচন সুমনার।
নিলয় হেসে বলে - ‘আসতে দাও তাকে। আমি ওখানে ঢুকে যাব।’ লাগোয়া বাথরুমের দিকে ইশারা করে। বাথরুমের দরজাটা বেডরুমের ভেতরেই। বেডরুমে ঢুকে তারপরে যেতে হয় ঐ বাথরুমে। ‘তুমি তাকে মাস্টার বেডরুমে নিয়ে ওখানকার বাথরুমে ঢুকিয়ে আটকে দেবে বাইরে থেকে। তারপর আমাকে এখান থেকে বের করে দরজা পার করিয়ে দেবে। আমি পা টিপে টিপে নয় তলায় চলে যাব। সিম্পল।’
‘কেন? তুমি ওর মুখোমুখি হয়ে বলতে পারবে না, তুমি আমাকে ভালবাস; আমাকে জোর করে এখান থেকে নিয়ে যাবে?’
জবাবে ঠোঁট ভেংচায় নিলয়। কথাটা শুধু বলার জন্য বলা - জানে দুজনেই। জানে, সুযোগের সদ্ব্যবহার করে পরস্পরকে এবং সময়টাকে কেবল উপভোগ করছে দুজনে। দীর্ঘমেয়াদী কোন পরিকল্পনা কারোই নেই। সুমনা তার চার মাসের সংসার আর মোটা বেতনের চাকুরে ভালমানুষ স্বামীকে ছেড়ে বেকার নিলয়ের হাত ধরে পালানোর মতো বাস্তববুদ্ধিহীন মেয়ে নয়। নিলয়ও অন্যের স্ত্রীর সাথে বিছানায় যাওয়াটা যতই উপভোগ করুক না কেন, তাকে ভাগিয়ে বিয়ে করে নিজের জীবনকে অযথা অনিশ্চিতের দিকে ঠেলে দেয়ার কোন ইচ্ছা তার নেই।
নিলয়ের কোন জবাব না পেয়ে কৃত্রিম রাগের ভান করে সুমনা- ‘সরো, ওঠো। কাপড় পরতে দাও।’ কিন্তু সরার কোন লক্ষণ দেখায় না সে। নিলয়ও সরে না। তাকায় বিছানার এক পাশে স্তুপাকৃতি হয়ে পড়ে থাকা সুমনার সালোয়ার-কামিজ আর ওর নিজের প্যান্ট-টিশার্টের দিকে। তারপর মুখ ঘুরিয়ে এনে ঠোঁটটা গুঁজে দেয় সুমনার ঠোঁটে। সুমনাও সাড়া দেয়। এ সময় বেজে ওঠে নিলয়ের মোবাইল ফোনটা। সুমনার শরীর থেকে একটু না সরে হাত বাড়িয়ে পাশের টেবিল থেকে মোবাইল ফোনটা নিয়ে চোখের সামনে ধরে নিলয়। রিসিভ না করে কেটে দিয়ে ফোনটা অফ করে আবার রেখে দেয় পাশের টেবিলেই।
‘কে?’- জিজ্ঞেস করে সুমনা।
‘জানি না। আননোন নম্বর।’- বলে আবার ঠোঁটটা এগোয়।
এমন সময়ে দুজনকে চমকে দিয়ে বেজে ওঠে কলিং বেল। ঝট করে উঠে বসে দুজনে। চোখে চোখে তাকায়। বিচলিত স্বরে জিজ্ঞেস করে নিলয় - ‘কে?’
‘কি জানি? এখন তো কারো আসার কথা না। বুয়া আজকে আসবে বিকেলে।’ উদ্বেগ সুমনার কন্ঠে, চোখেও। ‘তুমি বাথরুমে ঢোকো। কোন শব্দ করবে না। আমি না আসা পর্যন্ত বাথরুমের দরজা খুলবে না।’ বলতে বলতে সালোয়ার-কামিজ পরতে থাকে সুমনা।
হাত বাড়িয়ে প্যান্ট-টিশার্ট আর মোবাইল ফোনটা নিয়ে বাথরুমে ঢুকে যায় নিলয়। বুকটা দুরু দুরু করতে থাকে কিছুটা। আগে যে দু’বার এসেছে, কোন সমস্যা হয়নি। ঘন্টা তিন-চারেক থেকে গেছে। আজকেও এ সময় কেউ থাকবে না নিশ্চিত হয়েই সুমনা ডেকেছে নিলয়কে। তবে, ভরসার কথা হচ্ছে, এটা দ্বিতীয় বেডরুম। রাতে থাকার মত আত্মীয় না হলে এখানে সাধারণত কেউ আসে না। আকাশ এলে সরাসরি ঢুকে যাবে মাস্টার বেডরুমে। আর অন্য কেউ দেখা করতে এলে ড্রইংরুম থেকে বিদায়। ভাবনাটা মাথায় আসতেই কিছুটা স্বস্তি বোধ করে নিলয়। মোবাইল ফোনটা বেসিনের উপর ট্যাপের পাশে রাখে। প্যান্ট আর টি শার্টটা ঝুলিয়ে রাখে টাওয়েল-স্ট্যান্ডে। কাপড় পরে নেবে কি না ভাবে একবার। পরক্ষণেই বাতিল করে দেয়। কেউ দেখা করতে এলে দশ-পনের মিনিটের মধ্যেই চলে যাবে। তখন তো আবারো সুমনার সাথে...। আর আত্মীয়-বুয়া কেউ এলে সুমনা নিশ্চয়ই তাকে বেডরুমে বা অন্য কোথাও ব্যস্ত রেখে নিলয়কে গোপনে বের করে দেবার ব্যবস্থা করবে। তখন কাপড় পরে নিলেই হবে। তাই সে দুশ্চিন্তা এক পাশে সরিয়ে রেখে কমোডের উপর বসে পড়ে নিলয়। ভাবতে থাকে সুমনার কথা ।
মাস দুয়েক হলো নতুন এই ফø্যাটে উঠেছে আকাশ-সুমনা। ছেলেকে বিয়ে উপলক্ষ্যে ফ্ল্যাটটা কিনে দিয়েছেন আকাশের বাবা। ওদের ফ্ল্যাটটা ছয় তলায়। নিলয়দেরটা নয় তলায়। মাস্টার্স শেষ করে অবসর সময় কাটাচ্ছে নিলয়, চাকরী খুঁজছে ফাঁক-ফোকরে। আর সুমনার তো সারাদিনই অবসর। বহুজাতিক কোম্পানীর এক্সিকিউটিভ আকাশ সকাল আটটা- সাড়ে আটটা নাগাদ বেরিয়ে গেলে সারাদিন বলতে গেলে শুধু টিভি দেখে আর ফোনে কথা বলেই কাটে ওর। মাঝে গোসল আর রান্নাটা। ঘর-দোর পরিষ্কার আর কাপড় কাঁচার জন্য ছুটা বুয়া আছে একজন। একেক দিন একেক সময় আসে সে। মাঝে-মধ্যে মার্কেটে বা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ঘুরতে বেরোয় সুমনা। মাসখানেক আগে তেমনি একদিন দুহাতে দুটো ব্যাগ নিয়ে মার্কেট থেকে ফেরার পথে লিফটে পরিচয় নিলয়ের সাথে। পরিচয় থেকে ফোন নম্বর বিনিময়। তারপর দ্রুতই সম্পর্কটা ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। সপ্তাহ তিনেকের মধ্যেই আকাশের অনুপস্থিতিতে ফ্ল্যাটে প্রবেশের অধিকার পেয়ে যায় নিলয়। মাস্টার বেডরুমে না হলেও দ্বিতীয় বেডরুমের শয্যায় পেয়ে যায় সুমনার শরীরের অধিকারও।...
সুমনা বেডরুমের দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে মূল দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। কি-হোলের ভেতর চোখ রেখেই বিরক্ত হয়। ফুটো দিয়ে দেখা যাচ্ছে সাততলার ভাবীর মুখটা। মহিলা একবার গল্প জুড়ে দিলে থামানো মুশকিল। সুমনারা ফ্ল্যাটে ওঠার পর উনি নিজেই যেচে পড়ে এসে পরিচিত হয়েছেন, মাঝে-মধ্যেই চলে আসেন গল্প করতে। তবে, সাধারণত উনি ফোন করেই আসেন। আজ না করেই কি জন্য এসেছেন কে জানে? যাই হোক, তাকে গল্প চালানোর সুযোগ দেয়া যাবে না- ভাবে সুমনা।
চোখ-মুখে একটু ঢুলু ঢুলু ভাব এনে সে দরজা খোলে - ‘ও ভাবী? কেমন আছেন ? কি মনে করে?’
‘ও আচ্ছা, আপনি ঘুমাচ্ছিলেন বুঝি। স্যরি। বিপদে পড়ে এলাম। আমার বাসায় গেস্ট এসেছে। কফি বানাতে গিয়ে দেখি আমার কফি মেকারটা নষ্ট হয়ে গেছে। আপনারটা কি একটু ধার দেয়া যাবে? আমি একটু পরেই ফেরত দিয়ে যাচ্ছি।’
যাক বাবা- শুধু কফি মেকার নিয়ে যাবে। গল্প জুড়তে যে বসে যাচ্ছে না - এই বেশী। - ‘হ্যাঁ হ্যাঁ ভাবী। নিয়ে যান। এখন ফেরত দিতে হবে না। আমি পরে গিয়ে নিয়ে আসবো। আমার মাথা ধরেছে তো। আমি একটু ঘুমাবো লম্বা সময় ধরে। আপনি বসুন। আমি এনে দিচ্ছি।’
‘না না। বসবো না। আমি এখানেই দাঁড়াচ্ছি। আপনি নিয়ে আসুন।’
সাত তলার ভাবীকে ওখানে রেখে সুমনা রান্নাঘরে ঢোকে। লকার থেকে কফি মেকারটা নিয়ে রান্নাঘর থেকে বের হতেই আতংকে জমে যায় সে। সামনে দাঁড়িয়ে আছে ষন্ডামার্কা দুই লোক। একজনের হাতে পিস্তল, সরাসরি তার কপাল বরাবর তাক করা। আরেক জনের হাতে লম্বা ধারালো ছুরি। মূল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে আরো এক লোক। সুমনাকে রান্নাঘর থেকে বেরুতে দেখে সে দরজাটা লাগিয়ে দিল। ভাবীকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
পিস্তল হাতের লোকটা চাপা গলায় শাসালো - ‘কোন শব্দ করলে সোজা গুলি কইরা দিমু। সাইলেন্সার লাগানো আছে। কোন শব্দ হইবো না গুলির। বাঁচতে চাইলে আলমারীর চাবি বাইর কর।’
ভয়ে-আতংকে এমনিতেই গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না সুমনার। দম দেওয়া পুতুলের মতো মাস্টার বেডরুমে ঢোকে সে। চাবি পড়ে রয়েছে আলমারির পাশেই। পিস্তলধারী লোকটা সুমনার দিকে পিস্তল তাক করে থাকে। বাকী দুজন আলমারি খুলে ওলট-পালট করতে থাকে সব। ক্যাশ টাকা, বিয়েতে উপহার পাওয়া গয়না, আংটি- সব হাতের কাছেই পেয়ে যায় ওরা। খুব বেশী কষ্ট করতে হয় না। খুব দ্রুতই কাঙ্খিত জিনিসপত্র নিয়ে সুমনাদের মাঝারী সাইজের তিনটি ব্যাগে ভরে ফেলে সব। বাকশক্তিরহিত সুমনা কেবল চেয়ে চেয়ে দেখে। সারা শরীর বেয়ে ঘাম ঝরতে থাকে ওর। মনে হতে থাকে, যে কোন সময়েই অজ্ঞান হয়ে যাবে।
সব গোছানোর পর ছুরি-হাতে লোকটা পিস্তলধারীর দিকে তাকিয়ে মাথা চুলকে ডাকে - ‘ভাই।’
পিস্তলধারী তার দিকে তাকায়। দু সেকেন্ড চিন্তা করে। তারপর- ‘দুই মিনিটে সারবি’ বলে সে আর অন্য লোকটা ব্যাগগুলো নিয়ে মাস্টার বেডরুম থেকে বের হয়ে যায়।
‘একটা শব্দ করলে কল্লা ফালায়া দিমু’ - শাসানি দিয়ে ছুরি হাতে লোকটা সুমনার দিকে এগোয়। আতংকে সাদা হয়ে যাওয়া সুমনা যেন কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। লোকটা তার কামিজ এক টানে ছিঁড়ে ফেলে। সালোয়ারের ফিতে ধরে টান দিতেই গলা চিরে আর্তনাদ বেরিয়ে আসে সুমনার। সচকিত হয় লোকটা। চকিতে ধারালো ছুরিটা চালিয়ে দেয় সুমনার গলা বরাবর। লম্বা, গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ফিনকি দিয়ে রক্ত ছোটে। আবার ছোরা চালায় লোকটা। এবার হৃৎপিন্ড বরাবর। রক্তমাখা ছোরা পকেটে ভরে দ্রুত বেরিয়ে যায় লোকটা।
সুমনার আর্তনাদ গোঙানীতে পরিণত হতে শুনেই যা বোঝার বুঝে নেয় বাকী দুজন। অনুচ্চ স্বরে তৃতীয় লোকটার উদ্দেশ্যে গালি ঝেড়ে দরজা খুলে বাইরের দিকটায় দ্রুত নজর বুলিয়ে নেয়। কেউ নেই করিডোরে। পেছনে দরজাটা ভেজিয়ে তিনজনে হাতে একটা করে ব্যাগ নিয়ে নিঃশব্দে বেরিয়ে যায়।
সুমনার চিৎকার কানে যায় নিলয়েরও। সে কিছু বুঝতে না পারলেও বিপদের গন্ধ পায়। এর পর অস্পষ্টভাবে চাপা গোঙানীর আওয়াজ পাওয়া যায়। দ্রুত প্যান্টটা পড়ে টি-শার্ট গায়ে দিয়ে বাথরুম থেকে বের হয় সে। ঐ বেডরুম থেকে বেরুলেই চোখে পড়ে ডাইনিং আর ড্রয়িংরুম। এদিক-ওদিক তাকিয়ে সুমনা বা অন্য কাউকে দেখতে পায় না নিলয়। গোঙানীর শব্দের উৎস লক্ষ্য করে মাস্টার বেডরুমে ঢুকতেই বীভৎস দৃশ্যটা চোখে পড়ে। বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ে আছে সুমনা। গলা দু’ফাঁক। রক্তে ভেসে গেছে ওর সারা শরীর, বিছানা। মেঝেতেও গড়িয়ে পড়েছে রক্ত। থেকে থেকে ঝাঁকুনী দিচ্ছে শরীরটায়।
গলা চিরে উঠে আসা চিৎকারটা অতি কষ্টে দমন করে নিলয়। কয়েক সেকেন্ড হতবুদ্ধি হয়ে তাকিয়ে থাকে সুমনার দিকে। কেন, কিভাবে ঘটলো এমনটা কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না সে। চোখের সামনেই পুরো নিথর হয়ে যায় সুমনার দেহ। মাথার ভেতর কে যেন বলে ওঠে নিলয়কে- পালাও। পালাও। কেউ দেখে ফেললে খুনের দায় এসে পড়বে তোমার ঘাড়েই। বাঁচতে চাইলে পালাও।
দ্রুত মূল দরজার কাছে চলে যায় নিলয়। পাশের জুতার স্ট্যান্ড থেকে নিজের স্পঞ্জ জোড়া খুঁজে নিতে কয়েক সেকেন্ড সময় ব্যয় হয়ে যায়। খুঁজে পেতেই যেন ছিটকে বেরিয়ে যায় সুমনার ফ্ল্যাট থেকে। পেছনে দরজাটা হাট করে খোলা রয়ে যায়। লিফটের জন্য অপেক্ষা করে না সে। কয়েক ধাপ করে সিঁড়ি টপকে টপকে নয় তলায় উঠে যায়।
নিজেদের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে গিয়ে দম নেয়ার জন্য থামে কিছুক্ষণ। তারপর কলিং বেল টেপে। বাসায় এখন নিলয়ের মা ছাড়া কেউ নেই। মা দরজা খুলে দেন। মায়ের মুখের দিকে না তাকিয়ে সোজা নিজের রুমে চলে যায় নিলয়। ঢুকে পড়ে বাথরুমে। শাওয়ারটা ছেড়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। মাথাটা ফাঁকা ফাঁকা লাগে। চিন্তাশূন্য, অনুভূতিহীন।
কতক্ষণ পর কে জানে- বাথরুমের বাইরে মায়ের উত্তেজিত গলার আওয়াজ পাওয়া যায়- ‘এই নিলয়, তাড়াতাড়ি বের হ। ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে। ছয় তলায় কোন ফ্ল্যাটে নাকি খুন হয়েছে। আমি নিচে খোঁজ নিতে যাচ্ছি। তুই দরজাটা বন্ধ করে দে।’
হঠাৎ যেন বাস্তবে ফেরে নিলয়।
চিন্তাশূন্য মস্তিষ্ক হঠাৎ সচল হয়। ভাবনারা হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ে মগজের ভেতর।
হঠাৎই মনে পড়ে নিলয়ের - মোবাইল ফোনটা ফেলে এসেছে সুমনার বাথরুমেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রোড জ্যাম ইন ভিয়েতনাম

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭



আমার ধারনা ছিল জটিল জ্যাম শুধু বাংলাদেশেই লাগে । কিন্তু আমার ধারনা ভুল ছিল । ভিয়েতনামে এরকম জটিলতর জ্যাম নিত্য দিনের ঘটনা । ছবিটি খেয়াল করলে দেখবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার অন্যরকম আমি এবং কিছু মুক্তকথা

লিখেছেন জানা, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬



২০১৯, ডিসেম্বরের একটি লেখা যা ড্রাফটে ছিল এতদিন। নানা কারণে যা পোস্ট করা হয়নি। আজ হঠাৎ চোখে পড়ায় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হলো। আমার এই ভিডিওটাও ঐ বছরের মাঝামাঝি সময়ের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে শরণার্থীরা একটি দেশের মালিক হয়ে গেলো!

লিখেছেন মাঈনউদ্দিন মইনুল, ১৫ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৬



এবার একটি সেমিনারে প্রথমবারের মতো একজন জর্ডানির সাথে পরিচয় হয়। রাসেম আল-গুল। ঘনকালো মাথার চুল, বলিষ্ট দেহ, উজ্জ্বল বর্ণ, দাড়ি-গোঁফ সবই আছে। না খাটো, না লম্বা। বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। প্রতিটি সেশন... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ২

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০২


Almost at half distance, on flight CX830.

পূর্বের পর্ব এখানেঃ নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্লেন থেকে বোর্ডিং ব্রীজে নেমেই কানেক্টিং ফ্লাইট ধরার জন্য যাত্রীদের মাঝে নাভিশ্বাস উঠে গেল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুতে আপনার হিট কত?

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৩



প্রথমে মনে হল বর্তমান ব্লগাদের হিটের সংখ্যা নিয়ে একটা পোস্ট করা যাক । তারপর মনে পড়ল আমাদের ব্লগের পরিসংখ্যানবিদ ব্লগার আমি তুমি আমরা এমন পোস্ট আগেই দিয়ে দিয়েছেন ।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×