নির্বাচনের কারণে জন্য কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সিদ্ধান্ত নিলে প্রকারান্তরে তা বিরোধী জোটের চলমান সহিংসতাকেই সমর্থন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
Published : 06 Jan 2014, 09:50 PM
সোমবার গণভবনে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে আলাপকালে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা অন্য কোনো সংস্থার অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের সম্ভাবনা নিয়ে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “কেন বিদেশি সংস্থা বা দেশগুলো বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক অবরোধ আনবে? বাংলাদেশ ওই ধরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো কি করেছে?”
তিনি বলেন, “এধরণের সিদ্ধান্ত যদি বিদেশি সংস্থাগুলোর মধ্যে কেউ কেউ নেয়ও তাহলে প্রকান্তরে তারা সহিংসতাকেই প্রশ্রয় দেবে। তারা কি সেটা চায়?”
এসময় বিরোধী দলই সহিংসতার মাধ্যমে মানুষ হত্যা করছে বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী জোট অংশ না নেয়ায় এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও যুক্তরাষ্ট্র কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি।
এই প্রেক্ষাপটে সুশীল সমাজের কোন কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পশ্চিমা দেশগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবরোধের আশঙ্কার কথা নানাভাবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলে আসছেন।
নির্বাচনের আগে সহিংসতার কথা তুলে ধরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী পত্রিকার সম্পাদকীয়তে সম্প্রতি একই আশংকার কথা লেখা হলেও হাসিনা সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলেও তাতে ‘আইনগত ও সংবিধানগত’ কোন সমস্যা নেই বলেই সাংবাদিকদের অভিমত দেন শেখ হাসিনা।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে দেশে জরুরি অবস্থা জারির সম্ভাবনাকেও নাকচ করে দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, “কেন জরুরি অবস্থা জারি করবো? সেই দিন চলে গেছে, জনগণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।”
বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সর্বদলীয় সরকারে মন্ত্রিত্ব দেয়ার প্রস্তাবসহ সংলাপের আমান্ত্রণ জানিয়ে সর্বাত্নক চেষ্টা করা হয়েছে দাবি করে হাসিনা বলেন, “তাদের সহিংসতা বন্ধ করা উচিত। মানুষ শান্তিপ্রিয়, তারা শান্তি চায়।”
এসময় আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার বিষয়েও কথা বলেন শেখ হাসিনা।
ভারতের সঙ্গে ‘গভীর বন্ধুত্ব’ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ, যা সহযোগিতা এবং দ্বিপক্ষীয় বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠেছে।”