somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাচীন মিশরের পিরামিড তৈরির ভিন্নধর্মী কেচ্ছা কাহিনী-২

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১ম পর্ব

শাররীক আকৃতিঃ
কোরআনে দেখি আ’দ জাতির আকার আকৃতি ও শক্তি অন্যদের তুলনায় বেশী ছিল। এমন শক্তিধর কেউই পারে পিরামিড বানাতে।

“তোমরা কি এতে বিষ্মিত হচ্ছ যে, তোমাদের জাতিরই একটি লোকের (হযরত হূদ (আঃ)) মাধ্যমে তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে তাঁর বিধান ও উপদেশ তোমাদেরকে সতর্ক করার উদ্দেশ্যে তোমাদের কাছে এসেছে , তোমরা সেই অবস্থার কথা স্মরণ কর, যখন নূহের (আঃ) সম্প্রদায়ের পর আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এবং তোমাদের আকার-আকৃতি অন্যদের অপেক্ষা শক্তিতে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছেন। সুতরাং তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর, হয়তো তোমরা সফলকাম হবে।” (সূরা ‘আরাফ ৬৯)

আমি তাদেরকে (আ’দ সম্প্রদায়কে) যা দিয়েছিলাম তোমাদেরকে তা দেই নি; ... (সূরা আহক্বাফ ২৬)

তারা কি ভেবে দেখেনি যে আমি তাদের পূর্বে বহু সম্প্রদায়কে ধ্বংস করে দিয়েছি, যাদেরকে দুনিয়ায় এমন শক্তি, সামর্থ্য ও প্রতিপত্তি দিয়েছিলাম, যা তোমাদেরকে দেইনি ... (সূরা আন’আম ৬)




বিশাল আকৃতির মূর্তি
মূর্তিগুলোর চেহারার সাথে মমি হিসাবে প্রাপ্ত ফারাওদের চেহারা মিলে না। কারন কি?




দুটি ভিন্ন আকৃতির মানুষ দেখা যাচ্ছে।




Giant sarcophagus; Length: about 4 meter. Width: 2.3 meter. height: 2.5 meter under the name of king Merneptah ( son of ramses II)


Giant Coffin under the name of Ahmose-Nofretari


এই বৃহৎ স্ট্যাচু ও কফিনগুলো কাদের?

রয়্যাল ফ্যামিলিঃ
বিভিন্ন গবেষক এই বিশাল আকৃতির মূর্তি ও দেয়াল চিত্র সম্পর্কে অবগত। কিন্তু তারা জায়ান্টদের মানতে নারাজ। তাহলে এই বৃহৎ মূর্তি ও ছবিগুলোর ব্যাখ্যা কি হবে?

তারা অদ্ভুত এক থিউরি বের করলেন- যেহেতু এগুলো রাজা/রানীদের (রয়্যাল) মূর্তি বা ছবি তাই তাদের সম্মানার্থে এগুলোকে বড় করে তৈরি বা চিত্রিত হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে থিউরিটি গ্রহনযোগ্যতা পায়। দাসরা তো নীচু জাত, তাদের ছোট আকৃতির চিত্রায়ন হতেই পারে।

কিন্তু দেয়াল চিত্র হতে পাওয়া গেল অন্য তথ্য;


বামে দেখা যাচ্ছে রাজা ছোট আকৃতির কৃতদাস পরিবেষ্টিত। ডানে রাজা/ রানী’র সমআকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।


বাম ও ডান পাশে উভয় আকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।




বাম ও ডান পাশে উভয় আকৃতির কৃতদাস দেখা যাচ্ছে।


উপরের চিত্রে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে যে, ছোট ও বড় উভয় আকৃতির কৃতদাস সেই সময়ে ছিল।

এতে কি প্রমাণিত হচ্ছে? সেই সময়ে যারা দেয়াল চিত্রগুলো বানিয়েছিলেন তারা মানুষের সঠিক পরিমাপই নিয়েছিলেন। রাজা/রানী বলে তাদের আকৃতিকে বাড়িয়ে দেয়নি অথবা কৃতদাস বলে তাদের আকৃতিকে ছোট করে দেয়নি।

আরো প্রমান চাই?






ছোট আকৃতির কৃতদাসেরা বড় বড় নেকলেস বানাচ্ছে। কেন? কাদের জন্য?
জায়ান্টদের গলায় নেকলেস দেখা যাচ্ছে। তাহলে কি অনুমেয় নয় জায়ান্টদের জন্য বড় আকৃতির নেকলেসের প্রয়োজন ছিল।


ওবলিস্ক ও তার পাশে জায়ান্ট।
উচ্চতার সঠিক অনুপাতেই জায়ান্ট ও ওবলিস্ক আঁকা হয়েছে।


এখানেও মূর্তি ও জায়ান্টদের আকৃতির অনুপাত নিশ্চিতভাবেই চিত্রিত হয়েছে।

শক্তির দম্ভঃ
আ’দ জাতি তাদের শক্তির বড়াই করত। যদি আ’দ জাতি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনত, তাহলে তারা আরো শক্তিশালী হতে পারত।

আর আ’দ সম্প্রদায়ের ব্যাপার এই যে, তারা পৃথিবীতে অযথা দম্ভ করত এবং বলতঃ আমাদের অপেক্ষা শক্তিশালী কে আছে? তারা কি তবে লক্ষ্য করেনি যে, আল্লাহ, যিনি তাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি তাদের অপেক্ষা শক্তিশালী? অথচ তারা আমার নির্দেশাবলীকে অস্বীকার করত। (সুরাঃ হা-মীম-আসসাজদাহ ১৫)

আর হে আমার কওম! তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, অতঃপর তাঁরই পানে নিবিষ্ট হও , তিনি তোমাদের উপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন এবং তোমাদেরকে আরও শক্তি প্রদান করে তোমাদের শক্তিকে বর্ধিত করে দিবেন, আর তোমরা অপরাধী হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিয়ো না। (সূরাঃ হূদ ৫২)





অপরদিকে মিশরিয় ফারাও রা শক্তির দম্ভ করেনি। তাদেরকে বলা হয়েছে বিপথগামী, যাদুকর, দূর্নীতিগ্রস্থ ও বিপর্যয় সৃষ্টিকারী।

ফেরাউন ও তার বাহিনী অন্যায়ভাবে পৃথিবীতে অহংকার করেছিল এবং তারা মনে করেছিল যে, তারা আমার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে না। (সূরাঃ কাসাস ৩৯)

নিশ্চয়ই ফেরাউন দেশে পরাক্রমশালী হয়েছিল এবং তথাকার অধিবাসীদেরকে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করে তাদের একটি শ্রেণীকে সে হীনবল করেছিল, তাদের পুত্রদেরকে সে হত্যা করত এবং নারীদেরকে সে জীবিত রাখত। নিশ্চয় সে ছিল বিপর্যয় সৃষ্টিকারী। (সূরাঃ কাসাস ৪)

(চলবে)

৩য় পর্ব
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:০২
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অলীক সুখ পর্ব ৪

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৫

ছবি নেট

শরীর থেকে হৃদয় কে বিচ্ছিন্ন করে দেখতে চেয়েছি
তুমি কোথায় বাস করো?
জানতে চেয়েছি বারবার
দেহে ,
না,
হৃদয়ে?
টের পাই
দুই জায়গাতে সমান উপস্থিতি তোমার।

তোমার শায়িত শরীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামে ভুল থাকলে মেজাজ ঠিক থাকে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৫


বেইলি রোডে এক রেস্তোরাঁয় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে একজন একটা পোস্ট দিয়েছিলেন; পোস্টের শিরোনামঃ চুরান্ত অব্যবস্থাপনার কারনে সৃষ্ট অগ্নিকান্ডকে দূর্ঘটনা বলা যায় না। ভালোভাবে দেখুন চারটা বানান ভুল। যিনি পোস্ট দিয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় জেনে নেই!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫১

চলুন দেশকে কীভাবে দিতে হয় তা জেনে নেই৷ এবার আপনাদের সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি ঘটনা শেয়ার করবো৷ আমি কোরিয়ান অর্থনীতি পড়েছি৷ দেশটি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ১৯৭০ সালের পর থেকে প্রায় আকাশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৮

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ২৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪


আজকের গল্প হেয়ার স্টাইল ও কাগজের মোবাইল।






সেদিন সন্ধ্যার আগে বাহিরে যাব, মেয়েও বায়না ধরল সেও যাবে। তাকে বললাম চুল বেধে আসো। সে ঝটপট সুন্দর পরিপাটি করে চুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×