somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলার বীরদের মরন নাই।। তারা মুক্তির জন্যই আবির্ভূত হয়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলার বীরদের জীবনীতে হার বা নতিস্বীকার বলে কোনো কথা নেই। বাংলাদেশে অনেক বীর জন্মে ছিলেন। এবং লক্ষ্য করলে দেখবেন তাদের সবাই শান্তিপ্রিয় ও সহনশীল। তার মধ্য আমি একবার আপনাদের গিয়াস উদ্দিন আজম শাহ্ এর নাম বলেছিলাম। যিনি তার ৭জন সতিভাই এর মাথা কাটিয়ে তালের মতো করে থালায় করে তার সৎমায়ের হাতে দিয়েছিলেন।

কিন্তু পুরো জীবনী ভালোভাবে পড়লে দেখবেন তিনি কিন্তু মোটেও এগ্রোসিভ ছিলেন না। বরং ডিফেন্সিভ ছিলেন।

আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের মাধ্যমে দেখেছি যে বাচ্চা বয়স থেকে যদি কোনো বাচ্চাকে দাবা খেলায় দিক্ষা দেয়া যায় তাহলে সেই বাচ্চাটি তুলনামুলক আক্রমনাত্বক কম হবে। দাবা একটি ঐশ্যরিক খেলা। আমি কোনো এক টিউনে (টিটিতে) দাবা খেলার আবিষ্কার সম্বন্ধে আলোচনা করেছিলাম শুধু মাত্র আপনাদের প্রতি দাবা বা চেস এর কদর যাতে বাড়ে। এমেরিকা থেকে শুধুমাত্র ১জন দাবারু বিশ্বচ্যাম্পিয়ান হয়েছিলেন। তার নাম বব ডিলান।

যাই হোক, আমি ছেলেবেলায় সরল বিশ্বাসে বার ভূইয়ার প্রধান ভূইয়া ঈসা খাঁ (সোনাঁর গাঁ) এর গল্প পড়েছিলাম। আমাদের পাঠ্য বইতে ঈসা খাঁ কে একজন হিন্দু রীরের পরাজয়কে দেখানো হয়েছে। এ শিক্ষা থেকে বাচ্চারা হিন্দু বিদ্বেশী হতে শেখে।

আমার জানা মতে ঈসা খাঁ সাহেব যখন ১২ জন জমিদার নিয়ে একটি জোট গঠন করে মোঘলদের শাসন হতে মুক্ত হতে চেষ্টা করলেন। ঠিক তখনই ঈশা খাঁ এর উপর বিভিন্ন ধরনের মোঘল গুপ্তচর কৃমিলালী করে ১২ ভুইয়ার ইউনিটিতে ফাটল ধরাতে চেষ্টা করেছিলেন।

উল্লেখ্য ১২ ভূইয়াদের বেশীর ভাগই ছিলেন সনাতন সম্প্রদায়ের। ঈশা খা প্রেমের মাধ্যমে বিবাহ করেছিলেন। তাতে করে ইশা খাঁ এর একটি দূর্বলতার ইস্যু পেয়ে আরও তিব্র ভাবে ঈসা খাঁ সাহেবকে ঘায়েল করার চেষ্টা করা হলো। কিন্তু কোনো শক্তিই ঈসা খাঁ এর বাঙালীত্ব ও সৎ সাহোসের কাছে তেমন গুরুত্ব পেলো না।

এই খবর যখন দিল্লী গিয়ে পৌছায় তখন সম্রাট আকবর বার বার সাম্রাজের এই ব্যার্থতাকে কুট কৌশলের মাধ্যমে প্রতিহতো করার চেষ্টা করেছিলেন। কারণ মোঘল অর্থণীতিতে বাংলা সম্পত্তির থেকে সরল বাঙালীদের উপর দমন পিরন ও কুট কৌশলের সাহায্য আয় ইনকাম ছিলো বেশী।

অনেক প্রচেষ্টা ব্যার্থ হওয়ার পরে তৎকালীন মোঘল আকবর সাহেবের প্রধান সেনাপতি মানসিংহ সাহেব কে বাংলাদেশের ১২ ভুইয়াদের আক্রমন ও প্রতিহত করতে পাঠিয়ে দেয়।

মানসিংহ যুদ্ধ করার মতো প্রস্তুতি নিয়ে সোনারগাঁয়ে আসেন। মানসিংহ’র আগামন বার্তাকে ঈসা খাঁ সাহেব স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করেছিলেন। এবং ঈশা খাঁ তার দূত মারফত মানসিংহের কাছে সমঝোতা প্রস্তাব পাঠায়। সেই সমঝোতা হলো যুদ্ধ না করার সমঝোতা।
বাংলার আবহমান কালের ইতিহাস কেনো, কোনো কালেই বাংলাদেশের বীরদের এগ্রোসীভ আকারে দেখা যায় নি।

ঈসা খাঁ চাইলেন মোঘল সেনাপতির সাথে তিনি সম্মুখ যুদ্ধ করবেন। যুদ্ধের ধ্বামামা বাজলো। যুদ্ধ করার সময় চলে এলো। খোলা মাঠে সম্মুখ সমরের সব আয়োজন সম্পন্ন হলো।

বাংলাদেশের কোনো জেলার স্টুডিয়ামে যে ভাবে নির্মান স্কুল ক্রিকেট ম্যাচ হয় ঠিক তেমন করে যোদ্ধা ও সাঙ্গো-পাঙ্গো রা দু’টি গ্রুপে ভাগ হয়ে গেলেন।

সবাই তাকিয়ে আছেন সামনা সামনি যুদ্ধ দেখার প্রতিক্ষায়। ঈশা খা এলেন। হাতে খোলা সামসের। বাংলার জুলফিকার সবসময় ঝকমক ঝকমক করে। কিন্তু এই ঝকমকের মাঝেও যে বাঙালীরা তেমন করে কাউকে আঘাত করতে পারে না। বাংঙালী পৃথিবীর একমাত্র জাত যারা চীরদিন শান্তিপ্রিয়। শুরু হলো যুদ্ধ। তরবারীর ঝনঝনানীতে পুরো মাঠ তাকিয়ে আছে উপরে নীল আকাশে সাদা মেঘ যাচ্ছে। অমন সুন্দর প্রকিতির মাধে কি অসুন্দর যুদ্ধ মানায় বলুন?

মানসিংহ বধ হলেন। ঈশা খাঁ মানসিংহের বুকে তরবারী ঢুকিয়ে দিলেন। মানসিংহ মারা গেলো। বাঙালীরা আনন্দিত হলো।

কিন্তু মজা ও কষ্টের ব্যাপার কি জানেন এখানেও ঈশা খাঁ নামক বাঙালী মনের সাথে চরম বেঈমাণীর আশ্রয় নেয়া হলো। এতক্ষন ঈশা খাঁ সাহেব যার সাথে যুদ্ধ করেছেন তিনি যে মানসিংহ নয়। বরং মানসিংহের আপন জামাতা নিহত হলেন।
তারপর মানসিংহ এলেন ঈশা খাঁ সাহেব ঐ ক্লান্ত অবস্থায়ই মানসিংহ নামক মোঘল পাশান বাঘের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ খেলায় মেতে উঠলেন।
এরপর এক পর্যায়ে মানসিংহের তরবারী ভেঙে গেলো। ভেঙে যাওয়া তরবারি দেখে মানসিংহ সাহেবের মুখে ভ্যাবাচ্যাকা ভাব ও নিশ্চিত মৃত্যুর আতঙ্ক।

ঠিক তখন বাংলার বীর ঈসা খাঁ সাহেব মানসিংহকে একটি তরবারী দিয়ে আবারও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন। এমনকি ঈসা খাঁ সাহেব মানসিংহকে রেস্ট নিয়ে যাতে পরের দিন আবার সম্মুখ যুদ্ধের প্রস্তাব করলেন।

মানসিংহ বুঝতে পারলেন যে ঈশা খাঁ বাঙালী মুসলিম। এর সাথে যুদ্ধে জয়ী হওয়া সহয ব্যাপার না।
তাই মানসিংহ সাহেব ঈশা খাঁ কে সরাসরি মোঘল-এ-আজম এর সালাম দিলেন। ঈশা খাঁ ধর্মপ্রাণ বাঙালী মুসলিম তিনি রাজি হয়ে গেলেন। বাংঙালীরা কোনোদিনও ভয় পায় না। তারা সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে জানে।

ঈসা খাঁ মানসিংহ দিল্লিতে এলেন। মানসিংহ ঈশা খাঁ সাহেব কে যে কথা দিয়েছিলেন তা রাখলেন না। মানসিংহ ঈশা কে বন্দি করে কারাগারে নিক্ষেপ করলেন। হায়রে মানবতা!!!

আজও বাংলার গ্রামে গ্রামে খুব অল্প সংখ্যক পরিমান এমন বিশ্বাস ঘাতক মানসিংহ-মীরজাফর’রা আছেন।

পরবর্তী তে মোঘলে আজমের কাছে মানসিংহ নির্লজ্জের মতো করে নিজেকে বীর রূপে প্রকাশ করেন। আকবর সাহেব খুশি হলেন। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। এখানেও যে মাতৃত্বের প্রমান।

বাংলাদেশে ভালো ভালো মায়া ভরা মা থাকেন বলেই সন্তানদের রক্ষা হয়।

মানসিংহের স্ত্রী সদ্য কন্যা বিধবা হয়ে যাওয়া খুনির কাছে নিজের মমতাবোধ ও অনুসূচনা প্রকাশ পায়। বাঙালী মাতা মরিয়ম-মেরী-আমিনা-হালিমা-দেবকী-যশোধা-বিনাপাণীর প্রতিরূপ।

মানসিংহের ওয়াইফ সরাসরি সম্রাটের দরবারে চলে যান। মোঘল সম্রাটের সামনে গিয়ে বলেন- “আলামপানা আপনি যে ঈশা খাঁ’কে দেখছেন সেতো বাংলার বীর সন্তান।” তারপর সমস্ত কাহিনী খুলে বললেন। আমি বাংঙালী হিসেবে মানসিংহের স্ত্রীর কাছে চির কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তাদের মতো নারীরাই আমাদের পুরুষকে সহযোগীতা করেছিলেন।
বাঙালী নারীদের মনে অনেক কাল থেকে ক্ষোভ জমা হতে হতে আ যে তারা বিভিন্ন এন.জি.ও এর দরবারে ভিক্ষা না বরং ঋণ নিয়ে তারপরও স্বামীকে ভালোবাসে। আজও বাঙালী নারী তার সন্তানকে নিজের বুকে আগলে রেখে মানুষ বানানোর নির্বিচ্ছিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যায়। এই মহামায়া-রূদ্রাণীর মিষ্টি মমতা দিয়েও তারাই যে চিরকাল বঞ্চিত হয়ে আছেন। আমার মা তেমনই একজন। অনেক বেশী সরল। অনেক কষ্ট করেছেন। তার সব আত্নিয়রা তাকে মন থেকে সম্মান করেন কিন্তু সহযোগীতা করেন না। কারণ আমরা যে নিন্মমধ্যবিত্ত ফ্যামিলি। আমার মা আমার কাছে পৃথিরীর সেরা সম্পদ। আমি আমার মা ও মায়ের ভাষাকে মুক্ত করতেই এই ধরায় এসেছি। আমি আপনাদের সবার অন্তরে এতোদিন লুকিয়ে ছিলাম। অনেক কষ্ট সওয়ার পরে একজন মানুষ নিজেকে সত্যজ্ঞানে প্রকাশ করেন। এরই নাম বাঙালীর বেঁচে থাকার লড়াই।

পরবর্তীতে ঈশা খাঁ সাহেবকে মোঘল সম্রাট আকবর তার রাষ্ট্রিয় আপ্যায়নের সাহায্যে কুশল বিনিময় পূর্বক তার উপর থেকে সকল প্রকার খাজনার অবরোধ তুলে নেয়।

বন্ধু আজ প্রাণ ভরে আমি অনুভব করতে জানি যে আইউব খান এবং বাংলার রয়েল বেঙ্গল টাইগার বঙ্গবন্ধুর সাথে যদি সম্মুখ যুদ্ধও হতো আউয়ুব খান সাহের ও শেখ মুজিবুর রহমানের চরন ধুলি নিতে বাধ্য থাকতেন। কিন্ত বাধ সেধেছিলো ঐ ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি। তারা কৌশল আওয়ামী মুসলীম লীগ ভেঙ্গে আওয়ামী মুসলীম লীগকে নেত্রীত্র শুন্য করতে চেয়েছিলো শুধু মাত্র দু’জন মানুষকে ভয় পেয়ে। তারা হলেন আমাদের প্রাণের বাংঙালী নেতা হোসেন শহীদ সরহোওয়ার্দী ও শের-এ-বাংলা আবুল কাসেম মোহাম্মদ ফজলুল হক সাহেব।

মাওলানা ভাষানী এমনিতেই খুব বেশী ধর্মভীরু নিরীহ টাইপের বীর ছিলেন। যুদ্ধের লিডিং ক্যাপাবেল্যাটি সবার মধ্যে থাকে না কিংবা জাগ্রত হয় না।

কারন যুদ্ধবিদ্যা অনেক দামি বিদ্যা। তাই বলে অন্যকে আক্রমন না করে নিজের মনকে কৌশলে কিংবা জোর করে হলেও মিথ্যে দ্বারা পরিপূর্ণ না করাই হলো আসল জীবন যুদ্ধ।

আমার সেই ছেলেবেলা থেকে মনে মনে প্রশ্ন জেগেছিলো শেখ মুজিব ও মার্শাল আইউব খানের সাথে যুদ্ধটা হলো না কেনো। এই দুই লিডার যদি যুদ্ধ করতে তাহলে সেই যুদ্ধের মাধ্যমেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ হতো।

তারপরও আমি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধীনায় আতাউল গণী ওসমানী সাহেবকে ধন্যবাদ দেবো। তিনি অভিমান ও লজ্ঝায় ঐ রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতা নামের কৃমিনালীকে মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি। আজও অনেকে মন থেকে মানতে পারেন না তার মধ্যে ধুকে ধুকে মারা গেছেন মেজর জলীল। আমার মনে হয় শাহজাহা ওমর সাহেব ও আজ নিজের মনের কাছে নিজে কান্নাকাটি করেন।

একজন বীর যোদ্ধা মনে মনে তার লিডারকে কোনো দিনো হারতে দেন না।
এখন প্রশ্ন শেখ মুজিবুর রহমান কেনো ৭ই মার্চের ভাষনের পর শুধু বাসার মধ্যে আটকে থাকলেন?
বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান কোনোদিনও রক্তপাতের পক্ষে ছিলেন না বরং অধীকারের পক্ষে ছিলেন।

ঐ সময় যদি শেখ মজিবর রহমান বুঝতে পারতেন যে তার সাথে আবারও বিশ্বাস ঘাতকতা করা হবে তাহলে তিনিই ঐ যুদ্ধের লিড নেয়ার মতো যোগ্যতা রাখতেন। কারণ বঙ্গবন্ধু একজন বিশ্বনেতা। তাহের একজন বিশ্বনেতা। জিয়াউর রহমান একজন বিশ্বনেতা। আইয়ুব খান একজন বিশ্বনেতা। সিরাজ সিকদার একজন বিশ্বনেতা।

বিশ্বনেতা মূলত তারাই যারা রক্তপাতহীন সমাধানে বিশ্বাসী। অহেতুক ও বিনাকারণে কারও উপরে ঝাপিয়ে পড়েন না। এবং সহজ সরল বাঙালী কালচারের পূজারী হন। সেই সাথে প্রেমের পূজারীও।

যাই হোক, পরবর্তীদের সম্রাট আকবরের মন জয় করার পরেও বাংলাদেশী মুসলীম ঈসা খাঁ সাহেব কে অনেক কুটনীতির স্বিকার হয়ে নির্মম মৃত্যু হয়।

তারপরেও ঈসাখার সহধর্মীনী আজকের খালেদা-হাসিনার মতো করে ধীরে ধীরে নিজেদের শেষ না করে দিয়ে সরাসরী অশ্ব নিয়ে বীরাঙ্গনা সকিনা রূপে ঝাপিয়ে পরেন।

আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি আমার শ্রদ্ধেয় বাংলাদেশের সব গুণীজনদের যারা বিভিন্ন ভাবে স্বল্প স্বাধীন মত প্রকাশের সুযোগ পেয়েও আমাদের জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐ ঐতিহ্য কে আমাদের কাছে রেখে গেছেন।

আমি অনেক গুলো বইয়ের মাধ্যমে ইশা খাঁ এর আসল কাহিনীটি নিরুপন করতে পেরেছি তার মধ্যে ঢাকা শহরের ইতিহাস নিয়ে লেখা মুনতাসীর মামুনের বই থেকেই এই ইতিহাসটি উপলব্ধি করেছি। ঈশা খাঁ সাহেবের বই পড়েছি তারমধ্যে শুধু মাত্র আমি যেভাবে সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা করলাম তা সঠিক জ্ঞানেই আপনাদের সামনে উৎকলনের প্রকাশ ঘটিয়েছি।

একটি কথা মনে রাখবেন। আর তা হলো জ্ঞান শিক্ষা বা নেত্রীত্বর বিকাশে প্রধান অন্তরায় হলো তোষামোদি বিদ্যা।

আমি চাইনা আগামী প্রজন্ম তোষমদি এবং চামচামিকে চিরতরে পায়ে ঠেলে দিক।

আই লাভ মাই সুইট এ্যান্ড গ্রীণ কানট্রি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ ই হলো সর্বশেষ
এবং সর্বশুরুর শান্তির রূপকার।
পরিবারের সবাই একসাথে ভালোর দিকে এগিয়ে যাওয়ার নামই বাঙালী পান। বাংলাদেশীত্ব বান। বাংলাদেশ পন্থী। বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ লীগ। বাংলাদেশ সমাজ। বাংলাদেশ ইউনিয়ন। বাংলাদেশ শিবির। সহ তাবলীগের মধ্যে যারা যাসুস আছেন তারা ঠিক হয়ে যান নতুবা নিজেদের আইনের কাছে সেপার্দ করুন।

এই তাবলীগকে আমি কিছু বলতে চাই না। কারন তাদের মধ্য থেকে কিছু মানুষ ধর্মভীরু হয়েছে ঠিকই তার চেয়ে সেই প্রথম দিক থেকেই তাবলিগের মধ্যে গোয়েন্দা ঢুকিয়ে আমাদের পলিটিক্সকে কুসলিত করেছে।
হজরত ইলিয়াস (রঃ) এর ৬ নম্বরই শুধু আছে কিন্তু তাবলীগের মাধ্যমে এম.এল.এম এর মতো গণ ভাইরাস ছড়িয়েছে।

দয়া করে যারা তাবলীগ করেন তারা আমাকে ভুল বুঝবেন না। আপনারা সরল কিন্তু কিছু কিছু ইন্ডিয়ান, বৃটিশ নাগরীক রূপি দালাল, পাকিস্তানী মিশরীয় দালাল কৌশলে আপনাদের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়ঠ। তারা দেশের দুশমন।

আমি আমার আত্নীয় স্বজনের মধ্যে এমন কিছু দালাল পেয়েছি। কিন্তু আমি বুঝেও কোনো দিন ধরা দেই নি।
এর মধ্যে আছে আব্দুল আজিজ (আমার মায়ের খালু), আমার আপন খালু নেছার হোসেন খান (যিনি মেরীন ইঞ্জিনিয়ার সেঁজে বিদেশী শিপে করে ওয়ার্লড এর প্রায় সব বন্দরে গেছেন, যিনি তাবলীগ করেন)।

দক্ষিন অঞ্চলের সরদার বংশের মধ্যে দালাল বেশী। আমার আর এক খালু হালিম সরদার (তার চাচতো ভাই হলেন পাকিস্তান আমলের এম.পি. সুলতান মাহামুদ, জুজখোলা পিরোজপুর)। আমি যখন বুঝতে শিখলাম যে, আমার আত্নীয় সূত্রে আমার সাথে এতো এতো দালাল আছে আমি খুব অবাক হয়ে গিয়েছিলাম।
এ কেমন কথা?
আমার নিরিহ নানা আব্দুর রশিদ সরদার কে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিলো। তার আত্মা আজও আমার মনে কেঁদে বেড়ায়। আমার দাদার বাবা এবং নানার বাবা দুজনেই হাজী ছিলেন।

আমি পৈত্রীক সুত্রে বাঙালী-হিন্দুস্থানী মুসলীম। হিন্দুরা আমার আত্নিয় কারণ এক সময় আমার পূর্বপুরুষ সনাতন ছিলেন।
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
পিতাঃ মোঃ আমির হোসেন
পিতার পিতাঃ মোঃ কাঞ্চন আলী
পিতার পিতার পিতাঃ হাজি মোঃ আছমত আলী
পিতার পিতার পিতার পিতাঃ মোঃ অছিম উদ্দীন

আবার মায়ের দিকে
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্
মাঃ মেরী
ননাঃ আব্দুর রশীদ শিকদার
নানার বাপঃ হাজী আছমত আলী সরদার
নানার বাপের বাপঃ কাঙ্গালী শেখ
নানার বাপের বাপঃ কাজল শেখ

দেখুন আজ যদি আমি আমার পূর্ব পুরুষদের মধ্য থেকে সনাতন ও আদী পিতা হজরত আদম (আঃ) কে না চিনি। তাহলে যে আমি ঈমানদার মুসলিম না।

বাবা আদম (আঃ) পৃথিবীতে প্রেমের গল্প ফলাতে পারলে আমরা কেনো পারবো না?

সনাতন বিশ্বাস অনুযায়ী আদী মানুষ হলেন মনু আর প্রেমের দেবতা মদন

একটু আলাদা তাই বলে কি আমরা অমুসলিম?

তাওহিদ এর মধ্যে কোনো প্রকার আদী অন্ত নাই। আল্লাহ্ হলেন অনাদী যার কোনো প্ররার শরীক নাই।

তাইতো লালন ফকির বলেছেন,
করিমোনা কাম ছারে না মদনে।
প্রেম রসিক হবো কেমনে।
আমি প্রেম রসিক হবো কেমনে।।
(লালন)

আমরাই সেই নজরুলের সাম্যবাদির প্রকাশ। এতো দিন ছিলাম বইয়ের পৃষ্ঠার কালি হয়ে আর আজ আমরা সেই কালির কার্বন গ্রাফাইট কে ধীরে ধীরে ডায়মন্ড করে তুলেছি।

একটি রেপ”র” এর নিচের বিন্দু তে যে পরিমান পরমানু থাকে তাও যে পৃথিবীর সব মানুষের জনসংখ্যার চেয়ে বেশী।

শুধু বিশ্ব কোনো বাংঙালী মনথেকে চাইলে মহাবিশ্বের বুকেও অমর হয়ে থাকতে পারে। শুধু মন থেকে চাইতে জানতে হয়।

“সপ্ত তলার উপরে দালান,
তার উপরে ফুলের বাগান,
লাইলী আর মজনু দেওয়ান,
সুখে করছে আসন”
মানুষ ধর মানুষ ভজ
শোন বলিরে পাগল মোন।।
(হুমায়ূন আহমেদ)

হুমায়ূন আহমেদ হলেন লেটেস্ট মেধা যাকে আমার মতো অবুঝেরা শুধু ভুল বুঝেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ পাক্কা মুসলীম তাতে বিন্দু মাত্র সন্দেহ নাই।
সেই হুমায়ূন আহমেদকেও বিতর্কের মধ্য দিয়ে চলে গিয়ে আকাশের চাদ হয়ে আবার জাগতে হয়।

বাংঙালী বরই ডেয়ারীং জাতি। একবার শুরু হলে আর শেষ হয় না।

আসুন আমরা আমাদের সামান্য মেধায় সেই অশেষ পথে নিজেদের সপে দেই।

আপনাদের কৃতজ্ঞতার জালে বন্দি
মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্



১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোথাও ছিলো না কেউ ....

লিখেছেন আহমেদ জী এস, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:১৯




কখনো কোথাও ছিলো না কেউ
না ছিলো উত্তরে, না দক্ষিনে
শুধু তুমি নক্ষত্র হয়ে ছিলে উর্দ্ধাকাশে।

আকাশে আর কোন নক্ষত্র ছিলো না
খাল-বিল-পুকুরে আকাশের ছবি ছিলো না
বাতাসে কারো গন্ধ ছিলোনা
ছিলোনা... ...বাকিটুকু পড়ুন

নারীবাদ, ইসলাম এবং আইয়ামে জাহেলিয়া: ঐতিহাসিক ও আধুনিক প্রেক্ষাপট

লিখেছেন মি. বিকেল, ২০ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:৫৪



আইয়ামে জাহিলিয়াত (আরবি: ‏جَاهِلِيَّة‎) একটি ইসলামিক ধারণা যা ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাবের পূর্ববর্তী আরবের যুগকে বোঝায়। ঐতিহাসিকদের মতে, এই সময়কাল ৬ষ্ঠ থেকে ৭ম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

#প্রিয়তম কী লিখি তোমায়

লিখেছেন নীল মনি, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৭:৫১


আমাদের শহর ছিল।
সে শহর ঘিরে গড়ে উঠেছিল অলৌকিক সংসার।
তুমি রোজ তাঁকে যে গল্প শোনাতে সেখানে ভিড় জমাতো বেলা বোস, বনলতা কিংবা রোদ্দুর নামের সেই মেয়েটি!
সে কেবল অভিমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভুল শুধু ভুল নয়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৬

এক
লেখাটা একটি কৌতুক দিয়ে শুরু করি। ১৯৯৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে শফিপুর আনসার একাডেমিতে বিদ্রোহ হয়। ৪ ডিসেম্বর পুলিশ একাডেমিতে অভিযান চালায়। এতে চারজন আনসার সদস্য নিহত হয়েছিল। এটি ছিল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ময়লাপোতার কমলালেবুর কেচ্ছা!! (রম্য)

লিখেছেন শেরজা তপন, ২১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩


বাংলাদেশের বিশেষ এক বিভাগীয় শহরে ময়লাপোতা, গোবরচাকা, লবনচোরা, মাথাভাঙ্গা, সোনাডাঙ্গার মত চমৎকার সব নামের এলাকায় দারুণ সব সম্ভ্রান্ত পরিবারের বাস।
আমার এক বন্ধুর আদিনিবাস এমনই এক সম্ভ্রান্ত এলাকায় যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×