আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ সুরের বাঁধনে--
তুমি জান না, আমি তোমারে পেয়েছি অজানা সাধনে॥
রবীন্দ্রনাথ.... এক অফুরন্ত আলোকের সম্ভার। শিল্প ও সাহিত্যের যে শাখায় তার স্পর্শ পড়েছে তাতেই তিনি নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন। প্রেম, প্রীতি, বিরহ, গল্প, নাটক, কবিতা, গানে হৃদয়ের আবেগকে উজার করে দিয়েছেন অবিরত। এ তো নিছক কিছু পঙতিমালা নয় এ যেন সাত সাগর তের নদী পার হয়ে উঠে আসা হৃদয়ের ছবি, গুচ্ছে গুচ্ছে আপন শব্দতুলিতে আঁকা।
রবীর তুলিতে বর্ণমালারা যেন শব্দগুচ্ছ থেকে বাক্যে এক একটি রংধনুর আকার পায়। গানের আকুতি কখনো দিব্যপ্রেমের উন্মাদনায় তার প্রেমিককে ভাসিয়ে চলে তার আরাধ্য গন্তব্যে আবার কখনও তাকে জড়ায় রূপ-রসের ভূবনে। সবখানেতে তিনি অনন্য।
বেলা বয়ে যায়.... আলো আসে অন্ধকার যায়....কর্মব্যাস্ত যান্ত্রিক জীবনে ক্লন্তি গ্রাস করে। কথনো খানিকটা বাতাস-দু'পশলা বৃষ্টিই যন্ত্রণাগুলো চৈত্রের দাবদাহে পোড়া ধূলিকণাগুলোকে কিছুটা সময়ের জন্যও স্বস্তি এনে দেয়। আর মাহপ্রলয় তো পূর্ব লক্ষণেই হানা দেয়। এলোমেলো কিছু কথায় হৃদয়ে ঝড়ের পূর্বাভাস না দিয়েই ভাসিয়ে নিয়ে চলে মহাপ্লাবনে...প্লাবিত হতে।
সেখানেও কবিগুরু, আলোকের ঐ ঝরণাধারায় ধুইয়ে দাও.................