গোপালগঞ্জের আসনটি রেখে শপথ নেয়ার আগেই রংপুর-৬ আসন ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
Published : 08 Jan 2014, 06:34 PM
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদকে পাঠানো এক চিঠিতে এ বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-২ সেলিমা খাতুন ও দলের সহ সম্পাদক এ বি এম রিয়াজুল কবীর কাওছার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর চিঠি ইসিতে পৌঁছে দেন।
গত ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র প্রার্থী যিনি দুই আসনে [গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬] প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।
ইসিতে চিঠি পৌঁছে দেয়ার পর কাওসার বলেন, “সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে একটি আসন রেখে অন্যটি ছেড়ে দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি অন্য সংসদ সদস্যের সঙ্গে শপথ নেবেন।”
সিইসিকে পাঠানো চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি দুই আসনে নির্বাচন করে জয়লাভ করেছি। আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি-রংপুর-৬ সিটটি ছেড়ে দেব। আর গোপালগঞ্জ-৩ আসনের জনগণের জন্য কাজ করতে চাই। অতএব গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি নির্বাচনী এলাকা হিসাবে আমার নামে সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হোক “
নিয়ম অনুযায়ী ইসি এখন রংপুর-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে উপ নির্বাচনের ব্যবস্থা নেবে।
নিজের শ্বশুরবাড়ির এলাকায় রংপুরের পীরগঞ্জে ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন শেখ হাসিনা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূর আলম জাদু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৫৯ ভোট।
আর নিজের এলাকা গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে বঙ্গবন্ধুকন্যা হাসিনা এক লাখ ৮৭ হাজার ১৮৫ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির এ জেড অপু শেখ পেয়েছেন দুই হাজার ৪৩০ ভোট।
দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট হওয়া ১৩৯টি আসনের মধ্যে একমাত্র রংপুর-৬ আসনেই কোনো ভোট বাতিল হয়নি। তবে দুটি কেন্দ্রের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে।
অন্যান্য সব আসন মিলিয়ে এবার প্রায় আড়াই লাখ ভোট বাতিল হয়েছে।