নির্বাচনের সাত দিনের মাথায় আগামী সপ্তাহের প্রথম দিনই নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিতে যাচ্ছে বলে ইংগিত দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাঁ।
Published : 09 Jan 2014, 12:10 PM
আর এর মধ্য দিয়ে টানা দ্বিতীয় বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ, তিনি নিজে তৃতীয়বারের মতো হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন মন্ত্রিসভা কবে শপথ নেবে এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, “আর্লি নেক্সট উইক এটা সম্ভব। এর থেকে বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।”
তবে বাংলাদেশে সপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববাই যে সপ্তাহ শুরু হয়- সে কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
“আপনারা তো জানেন, রোববার থেকে আমাদের দেশে সপ্তাহ শুরু হয়।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিংয়ে সংসদদের শপথ, সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা নির্বাচন, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়োগ সম্পর্কে সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ তুলে ধরে ব্যাখ্যা দেন।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া তালিকা অনুযায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ দিলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তাদের শপথের ব্যবস্থা নেবে।
“যারা মন্ত্রী হবেন তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। এছাড়া অতিথিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।”
বিএনপি ও তাদের শরিকদের বর্জনের মধ্যেই গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের ভোট হয়, যাতে ২৩১টি আসনে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আওয়ামী লীগ।
নতুন সাংসদরা বৃহস্পতিবার স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে থেকে শপথও নিয়েছেন।
আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নবম সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় নতুন সরকারের শপথ হলে দেশে দুই সরকার ও দুই সংসদ চলবে কিনা- এমন প্রশ্নও উঠেছে কোনো কোনো মহল থেকে। অবশ্য ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এতে আইনগত কোনো জটিলতা নেই।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এখন পর্যন্ত আগের মন্ত্রিসভা আছে। যখন নতুন কেবিনেট শপথ নেবে, ওই কেবিনটই হবে সরকার। নতুন ক্যাবিনেট শপথ নিলে তখন থেকে তা কার্যকর হয়ে যাবে।”
সরকারের কর্মকর্তারা আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেন মন্তব্য করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা সংবিধানের ব্যাখ্যা দেন না। প্রয়োজন হলে সংবিধানের ব্যাখ্যা দেয় আইন মন্ত্রণালয়।
“অনেকেই ভুল বলেন যে মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী থাকে। আসলে বিষয়টি তা নয়। বিষয়টি হলো মন্ত্রিসভায় ৯০ শতাংশ এমপিদের মধ্য থেকে এবং বাকি ১০ শতাংশ এমপি নন কিন্তু এমপি হওয়ার যোগ্য- এমন ব্যক্তিদের সদস্য করা যায়।”
মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞাঁর মতে, এ ধরনের মন্ত্রীদের ‘টেকনোক্র্যাট’ না বলে ‘নন-এমপি’ বলাই ভাল।