somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি+নদী+ঢাকা+ক্যালকাট+ঝালকাঠী=মিরাকল

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


এক যে ছিলো সোনার কন্যা
মেঘ বরন কেশ।
ভাটি অঞ্চলে ছিলো সেই কন্যার দেশ।
দুই চোখে তার আহারে কি মায়া।।
(হুমায়ূন আহমেদ)

উজান ভাটির নাইয়া
কোন সে দূরে যাও বাইয়া।
(সংগ্রহিত)

নদীর নাম সই অঞ্জনা,
নাচে তিরে খঞ্জনা সই।।
(নজরুল গীতি {খঞ্জনা এক প্রকার অতিথী পাখি})

পদ্মার ঢেউ রে,
মোর শুণ্য হৃদয়......(নজরুল)

ও নদীরে..
একটি কথা সুধাই শুধু তোমারে,
বলো কোথায় তোমার দেশ,
তোমার নাই কি চলার শেষ।
(হেমন্ত মুখপাধ্যায় গাওয়া)

নদীতে তুফান এলে তীর ভেঙে যায়,
দেখানোর নেই যে উপায়।
(জগজিৎ সিং গাওয়া)

আমাদের ছোট নদী,
চলে বাঁকে বাঁকে।।
বৈশাখ মাসে তার,
হাটু জল থাকে।।
(রবী কবিন্দ্র)

ও গো নদী আপন বেগে পাগল পাড়া,
(রবী)

নদী যেকোনো জাতির জন্য খুব বড় সম্পদ। নদী মেলা ভাগ্যের ব্যাপার। বাংলাদেশ সকল কালের সকল মানুষের জন্য বাগ্যবানদের দেশ। এখানে কিছুই বিলিন হয় না। বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবী অচল।
বিশ্বাস হয় না?
শুনুন।
পাহাড় থেকে ঝর্নার উচ্ছাসে নিজ বেগে ছুটে চলে। কোথায় যায়?
সমুদ্রে।
কেনো সমুদ্রে যায়।
সমুদ্রকে জ্ঞান রূপে মনে করা যায়।

এবার আসুন যুক্তিতেঃ
দেখুন বাংলাদেশের বুকে অনেক নদী। শুধু মাত্র নৌপথ ব্যবহার করেই বাংলাদেশ সাবলম্বি হতে পারে। অন্যান্য সেকশন তো আছেই।

কিন্তু কিছুটা ধীরে ধীরে।।

বাংলাদেশী সাধারণ অসহায় মানুষের সাথে ওরা নদী নিয়েও বিশাল পলিটিক্স করেছে। ওরা জানে যে গঙ্গা মা ঠান্ডা কিন্তু একবার বেঁকে বসলে ঐ মা “কেউ বলে শংকরি কেউ বা ভয়ংঙ্করী, কালী-তারা-ভৈরবী আরো কতো নাম, যে নামেই ডাকো মাকে সে আমার মা.....” এর অভিষাপ সহ্য করা মুসকিল।

সমুদ্র বিশালতার প্রতিক। মানুষের জ্ঞান ভান্ডারকে সমুদ্রের মতো বড় করতে হবে। ভালো ভাবে মিলেমিশে স্থায়ী বাংলাদেশী হিসেবে বাঁচার জন্য নিজের মনের জ্ঞান শক্তি দ্বারা কল্পনা শক্তি কে কাজে লাগিয়ে তারপর প্লান। আমি একদিনে নিজের এই প্রকাশিত রূপকে গড়ে তুলি নি। আমি সেই ছোট থেকেই সব কিছুর মধ্যে শুধু “কেনো” খুঁজতে শিখেছি। তাই আমি অহংকার মুক্ত। মায়া মুক্ত। কিন্তু মায়াভরে কেউ ডাকলে সারা না দিয়ে পারি না। সে যতই নিষ্ঠুর হোক না কেনো। নিষ্টুর সহ্য করা সম্ভব। প্রাচিত্ত্ব ছাড়া পাপের অন্য কোনো সাস্তি নেই। পাপ কে মোচন করতে হয় কর্ম দিয়ে, সততা ও সত্য দিয়ে। তাকওয়া থাকতে হয়। প্রণাম জ্ঞাণ থাকতে হয়। নিজ জন্মভূমি কে গুরুত্ব দিতে হয়। জন্মভুমি কোনোদিন কারও সাথে বেইমানী করে না। যদি করতো তাহলে বঙ্গবন্ধুর দেহ গোপালাগঞ্জে গিয়ে ঠাঁই পেতো না। বঙ্গবন্ধু নিষ্পাপ একজন মানুষ। তার মতো শান্তি কামি মানুষ হাজার বছরে ১ বার আসে। তিনি খুব দূরদর্শী ছিলেন। তাই তো বরিশালের মেয়ে সুফিয়া কামাল লিখেছেন-

“ডাকিছে তোমারে বাংলার গিরিপথ নদী,
বঙ্গবন্ধু ফিরিয়া আসিতে যদি”

তাই তো নদীর প্রবাহকে স্বাভাবিক রূপ নিতে হলে রূপকার হয়ে স্রষ্টার আসতেই হবে। স্রষ্টা কখনও কারও দ্বারা প্রভাবিত না। তিনি চরম সুন্দর, প্রেম ও সত্যের মধ্যে তার আপন মহিমাকে মাখলুকাতের কাছে নিদর্শন ও প্রর্দশন করে থাকেন। বঙ্গবন্ধু একজন ঞ্জাণের সমুদ্র ছিলেন তাই তো তাকে নিয়ে বিশ্ব এতো বেশী পলিটিক্স করেছে এবং শিখেছে।
বঙ্গবন্ধুরা পলিটিক্স করতে আসে না। শিখাতে আসে। তিনি বাংলাদেশী জাতির পিতা। এর সাথে যিনি সত্য জ্ঞানে একমত হতে পারবেন না। তার দারা উন্নয়ন সম্ভব না। আমার মতো হাজার হাজার আসিফ বঙ্গবন্ধুর পায়ের নিচে মাথা নত করতে বাধ্য। তিনি ওয়র্ল্ড লিডারের বাংলায় প্রকাশ। যার মাধ্যমে তিনি জ্ঞাণের আধার হয়েছিলেন তিনি সহরোওয়ার্দী। সহরোওয়ার্দী খুব বেশী আশাবাদি মানুষ ছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধু ছিলেন ইস্পাত পাথরের মতো কৌশলে নিজের শক্তিকে পুঞ্জিবিত করে রাখার মতো নেতা। তোফায়েল যদি জীবনে ১টি ভালো কাজ করে থাকে আর তাহল শুধু “বঙ্গবন্ধু” নাম দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের লিডারকে মায়ার বাঁধানে বেধে রেখেছিলেন।

ঐ মহাসিন্ধুর ওপার থেকে,
কি সুর ঐ বেজে ওঠে..............(মান্না দে)

তাকে অতিরঞ্জিত করতে হয় না। বরং হয়ে যায়। তিনি যা চান তা তিনি অর্জন না করা পর্যন্ত ক্ষান্ত হয় না।

“আমি সেই দিন হবো ক্ষান্তু
উৎপিরিতের ক্রোন্দন রোল আকাশে বাতাসে কাঁপিবেনা।
অত্যাচারীর ক্ষর্ব কৃপান এই রণভুমে.......”
(বিদ্রহী/নজরুল)
যাই হোক, বাংলাদেশের মানুষের কল্পনার বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই শিখানো হয়েছে যে, পাহাড় থেকে নদী, আর নদী থেকে সমুদ্রের পথ।

যদি একটু উল্টো করে ভেবে দেখুন তো।

উদাহরন সরূপ, সমুদ্র একটি জ্ঞান ভান্ডার, এখন সেই জ্ঞান ভান্ডারের সাথে মিশতে হলে আপনাকে কি জোয়ার হতে হবে না ভাটা হতে হবে?

অবশ্যই ভাটা। আর এই লেখার একদম প্রথমে হুমায়ূন আহমেদ এর লেখা গানটির সাথে মিলিয়ে দেখুন তো কি বুঝতে পারেন? হুমায়ূন আহমেদ আমাদের জন্য সারা জীবন শুধু দিয়েই গেছেন সে তুলনায় আমরা তাকে ব্যাথা আর যন্ত্রনা ছাড়া কিছুই দিতে পারি নি। তিনি সবাইকে নিজগুনে ক্ষমা করে দিতেন। আমি তাকে দেখেনি কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ এর বইয়ের সাথে মিলেমিশে অনেক কিছু জেনেছি ও শিখেছি। হয়তো কেউ কেউ ভাববেন হুমায়ূন আহমেদ এর বাড়ী নেত্রকোনা তাই তার কাছে ভাটি প্রিয় ছিলো। না হুমায়ূন আহম্মেদরা কখনও শুধু এই বাংলার জন্ম জন্মায় না তারা সারাবিশ্বের সম্পদ।

যাই হোক, আমরা যদি আমাদের মেধাকে সমদ্র সম করতে পারি তাহলেই পাহারের সর্বচ্চ চুরায় উঠতে পারবো।

দেখুন সমুদ্রকে বুকে ধারণ করতে হলে নদীর গতি পথ ঠিক রাখতে হবে। নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে হলে খাল কাটতে হবে বা খালকে যতদ্রুত সম্ভব বেগবান করতে হবে। তাহলে নদী প্রাণ ফিরে পাবে। ফসল ভালো জন্মাবে।

মনে রাখবেন, সমুদ্র বিশাল, তাই সমুদ্রের পানি লবনাক্ত। কিন্তু সমুদ্রকে সাধারণ মানুষের তৃষা মিটানোর জন্য মিষ্টি পানি হতে গিয়ে খাল হয়ে বাড়ীর কাছে নিয়ে আসতে হয়।
তাই তো খালকে বহমান রাখতে হয়। না হলে সশ্য ভালো হয় না।

যেমন ধরুনঃ
যানো না মন খালে বিলে।
থাকে না মিল জল শুকালে।।
কি হবে আর বাধ দিয়ে নদীর মোহনা শুকনা।
সাধন হবে না।

ও সময় গেলে সাধন হবে না।

অসময়ে কৃষি করে মিছামেছি খেটে মরে।
(লালন সাই জি)

আবার নদীর প্রভাবে অনেক গানের সৃষ্টি হতে পারে। অনেক তাল লয়ের সৃষ্টি হতে পারে।
মনে রাখবেন নদী হলো প্রাণ। নদী হলো গঙ্গা জননী। নদীকে শ্রদ্ধা করতে জানতে হয়। আমি আমার ছাত্র জীবনে নদীর বুক চিরে লঞ্চে করে ঢাকা যেতাম। মধ্যরাতে কিংবা তার পরে পদ্মার মধ্য দ্বিপ শীখা দেখেছি। যা জেলেরা জালায়। আজ যদি আপনি লঞ্চে চরেন তাহলেও দেখতে পাবেন যে সে ঝলকানী ও চমকানী ঠিকই আছে।

তাহলে বুড়ীগঞ্জা নদীকে মারা হলো কেনো? বুড়ীগঙ্গা আপন রূপেই আবার ফিরে আসবে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নিয়েও ইংরেজরা পলিটিক্স করেছে এবং এখনও করছে। বাংলাবাজারের যত ট্রেজিং পেপারের উচ্ছিষ্ট অংশ, বিভিন্ন প্রকার পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়।

আজ এই প্রযুক্তির যুগেও পদ্মা তার আপন মহিমা বিলীয়ে বাংলাকে আগলে রেখেছে।

আমি যেখানে শিশু, শৈশব ও কৈশরের কিছু অংশ পাড় করেছি সেই পশ্চিম চাঁদকাঠী, ঝালকাঠী তে আমার বাড়ীর পাশেই ছিল কবি কামিনী রায়ের আদিবাড়ী, আমার বাড়ীর পাশেই ছিলো তিন ঘাটলা পুকুর, ১টি ছোট্ট পুকুরে তিনটি ঘাটলা, কিছু তালগাছ, ঠিক তার আগে একটি সুন্দর মঠ এবং তার আগে পরিত্যাক্ত ও অবহেলায় জরাজীর্ণ একটি কালী মন্দীর।

১৯৯৪ই সালে আমি যখন ঝালকাঠী উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ি তখন আমার এরকম একটি মন্দির যে ভন্ড কিছু মুসলিমরা জোর করে দখল করে রেখেছে তা দেখতে খুব খারাপ লাগতো। এই জমির প্রকৃত মালিক কামিনী রায়ের উত্তরসুরী কেউ থাকলে তার নতুবা প্রাত্নতত্ত্ব অধীদপ্তরের। এখন বুঝলেন জাদুঘর থেকে চুরি করে কারা?

ঐ জমি জোড় দখল করে আছে লাবি মিয়া (মিলটনের বাবা), জোমার্দার পরিবার, দাস পরিবার, সরদার পরিবার ইত্যাদি ইত্যাদি ভারত ও পাকিস্তানের দালাল। ওরাই মূলত জঙ্গী। এই জমি গুলো দখল মুক্ত না করলে বাংলাদেশের অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।

যাই হোক, নদী যখন বয়ে চলে তখন এর এক কুল ভাঙে আর অন্য কুল গড়ে। খুব স্বাভাবিক ভাবে ঐ চর দখলকে কেন্দ্র করে সহিংসতা লাগিয়ে দিয়েছিলো ঐ সব অসুররা।

নদীর মতো করে মনকে যখন সমুদ্রভান্ডারের দিকে নিয়ে যাবেন দেখবেন এর এক কুলে যেমন করে নিত্যসবুজ বিজ বেড়ে উঠছে ঠিক তেমনই আবার অন্য পাড় ভেঙে গেছে। এর মানে হলো আপনি যখন সত্য জ্ঞানে নিজেকে সমুদ্রর মতো বিকাশিত করতে চাইবেন ঠিক ওমনি সময়ে আপনার উপর বিভিন্ন ধরনের আঘাত-অপঘাত-কলংঙ্ক আসবে। ঐ সব আঘাত যদি হৃদয়ে লাথি-ঘুসি খেয়ে হলেও যে আপনার মনকে ঠান্ডা মস্তিষ্কে স্রতধারার মতো এগিয়ে নিতে হবে। আবার নিজেই নিজের কাছে নিজেকে অর্পন করে আপন জ্ঞান নারায়ন দ্বারা নিজেকে সবুজ কুলের মতো দেখতে পাবেন।
তবুও আপনাকে এগিয়ে যেতে হবে। এ যে জীবন সংগ্রাম, সংশার ও মায়ের শ্রদ্ধা রক্ষার্থে দৌড়।

আমির হোসেন আমু সাহেব অনেক মন্দিরকে তিলে তিলে ধ্বংস করে দিতে চেয়ছিলেন। আমার জন্মস্থানের পাশের কালিখোলার পাশের বাড়ীতে যাসুস (রাজের কাজ করা, কিছু মাংস কাটা কসাই বিহারী ফ্যামিলি(কাওছার মিয়া গং), পৌর চেয়ারম্যান লাল মিয়া (আমার নানীর বাবা), তার সন্তানেরা এবং ঐ এলাকার স্থানীয় বেশীর ভাগ লোকই ভারত ও পাকিস্তানের দালাল।

আর তাদের সেল্টার দিয়েছেন আওয়ামিলীগ নেতা আমির হোসেন আমু। আমি নিজের চোখে দেখেছি দীপাবলী ও কালি পুঁজোর এক দিন পর কালি মায়ের মাথা নেই। কারা নিয়ে যেতো সংখ্যা লঘুদের মাথা (নিজেরা নিজেরাই জাসুস জাসুস খেলা)।

আজ ঝালকাঠীর যেখানে লোকনাথ বাবা আশ্রম। সেখানে যে শীতলা খোলা ছিলো তার মধ্যে শীতলা পূজার পরের দিন বা ১দিন পর শিতলা মায়ের কাপড় খুলে নিতো কারা।

আমির হোসেন আমু সাহেব আপনার পাপের বোঝা অনেক বেশী ভারী। আপনি জানোয়ারের চেয়েও অদ্ধ।

কাদের নিয়ে আপনারা ফাইজলামী করে আবার সমাজে আওয়ামীলীগ রাজণীতি করেন।
জানেন লোকনাথ বাবা কে?
কত শক্তি তার জানেন?
নিজের মা কমলাকে বাঁচানোর জন্য বাবা লোকনাথ মহাকালে বার বার আসতে পারেন। লোকনাথের খেলা বুঝতে আরও অনেক জনম জাবে। শুধু চক্রাকারে ঘুরবেন। আমি এতো বলছি যে বাংলা ভাষা ও বাংলা মা কে অস্রোদ্ধা করলেই সন্তানরা সদানিত্য রূপে সমকালে ভ্রমন করেন মাত্র। কিন্তু ছেড়ে দেন না।

আজ আমার লেখার শক্তি আসলো কার কাছ থেকে বলুন? পারবেন? না পারবেন না। যখন পারবেনই না তখন অন্তত ঐ কালিখোলা, শীতলা খোলা, হিন্দু বাড়ী, হরিসভা সহ ঝালকাঠীতে যত গুলো মন্দির আছে, ঐ সব স্থাপনা গুলো দখল মুক্ত করুন।

আজ আমি বুঝেছি কেনো আমার নানীর বাপ (লাল মিয়া চেয়ারম্যান নামের ঝালকাঠীর কলঙ্ক) এর মাথা কেটে নিয়ে ছিলো। লাল মিয়া চেয়ারম্যান কে হত্যা করিয়েছিলেন সুন্দর আলী নামে এক জামলাকান্দার শয়তান দ্বারা। পরবর্তিতে তাকে মস্তক বিহীন অবস্থায় মাটি দেয়া হয়।

সেই সুন্দর আলী লাল মিয়া চেয়ারম্যানের মতো মানুষের মস্তক কেটে তারপর নদীর পাড়ে বসে কুচি কুচি করে কেটেছিলো।
এবার বুঝলেন কালী-তারা-ভৈরবীর শক্তি কতো। বাংলাদেশের আইন শৃংখলা বাহিনী দ্রুত তদন্ত পূর্বক প্রতেকটি গুপ্তচর কে খুজে দেখুন।
ভালো মতো তদন্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। দেখুন আমি মিথ্যে বলি না।

আমার বয়স যখন মাত্র ৯ বছর তখন একদিন আমার আব্বার সাথে পূর্বচাঁদকাঠী দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম। তখন একটি বাড়ী দেখে আমার খুব বেশী চেনা মনে হয়েছে। কারণ কি জানেন?

ঠিক তার আগের দিন আমি পূর্বচাঁকাঠীর রেজেক চ্যায়ারম্যানের বাড়ী স্বপ্নে দেখেছিলাম। কেনো স্বপ্নে দেখেছিলাম তার ৯ বছর পর আমি আমার মা ও নানির কাছ থেকে জেনেছি রেজেক চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদে আমার নানা কে নির্মম ও পরিকল্পিত ভাবে মেরে ফেলা হয়েছে।

আমার আপন ও ১মাত্র মামা সরদার বিপুল কে আমি ঘৃনা করি। ওই জানোয়ারকে (সৌদী প্রবাসী) গিয়ে জিজ্ঞেস করুন যে তার সন্তান মারা যাওয়ার কয়েকদিন আগেই আমি এস.এম.এস পাঠিয়ে জানিয়ে ছিলাম তোমার সন্তান মারা যাবে মামা। বিশ্বাস করুন আমি খুব সামান্য এক মানুষ।

আমার নানাকে কেনো মারা হয়েছিলো জানেন? তিনি পীর প্রথা বা সূফী ও ভাববাদী মানুষ ছিলেন। তিনি তার কবরের স্থান আগেই আমার অসহায় নানীর কাছে বলেছিলেন। আমার মা ও নানী অবুঝ। কিন্তু আমি অবুঝ না।

এতো অত্যাচারের পর যে পৃথিবীর সব অবুঝ মানুষ চিরসবুজ হয়ে যেতে পারে। আমি কি আমার নানার বিচার আল্লাহ্ র দরবারেও চাইতে পারবো না।
আমার নানা ধর্ম বিশ্বাস আর আমার ধর্ম বিশ্বাস এক। আমার নানা সবাইকে অনুরোধ করেছিলেন তোমরা আমার দর্গা বাড়ী দেখে রেখো। নিয়মিত বাতি দিও।

সেখানে আজ বিল্ডিং হয় কি করে?

একজন বাবা সাইয়ের শক্তি সম্পর্কে কি আপনার মতো আমির হোসেন আমুর জ্ঞান হয়েছে।

আমার নানা আমার প্রাণ। আমি নজরুল কে ছোটবেলায় পেয়েছি বলেই আজ আমি কিছু কথা বলতে পারছি। আমি আমার লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য থেকে কোনোদিনও বিচ্যুত হইনি।

এই বাংলার মাটি পবিত্র। এখানে অশান্তি সৃষ্টি হতে দেবো না।

ঝালকাঠী সদর এমন একটি এলাকা যা বাংলার অনেক সনাতনকে ধারণ করে আছে। এবং গাবখান চ্যানেল ঢাকা-ক্যালকাটা রুটের জন্য খুব ইমপর্টেন্ট একটি এরিয়া।
আমি বার বার নিজেকে চেপে রেখেছি। দেখুন কি ভাগ্য আজ যেখানে বসে এই লেখা লিখছি এ জমিটিও একসময় কালি মন্দির ছিলো আর আজ মানুষ পোসাব করে।

আমি ভাগ্যহতদের মধ্য দিয়েই নিজের ভাগ্য গড়ে নেই।

আমি ধন সম্পদ কামাতে এই ধরায় আসি নি এসেছি দেশ সেবা করতে।
বাংলাদেশের মানুষের জন্য চাকর জ্ঞানে নিজেকে মেলে ধরতে।

শরষী ধুমাবতি কতশত নাম।।
যে নামেই ডাকো মাকে সে আমার মা
আকাশে মাটিতে জলে সবখানে মা।।
ভুবনে ভবনে আর পবনেও মা।
কালী-তারা-ভৌরবী।।

ছিন্নমস্তা মাতঙ্গিনী রূপে ছিলে মা।
পাতালেতে ছিলে হয়ে ভদ্র কালী মা।।
কেউ বলে শংকরী। কেউ বা ভয়ংকরী।
মহামায়া-রূদ্রানী আরো কতো নাম।।

আমি যেদিন এখানে মেরী কম্পিউটার্স এর কার্যক্রম শুরু করি ঠিক ঐ দিন আমার অজান্তেই এই ল্যাপটপেই উপরেল্লিত গান টি বেজে উঠেছিলো। কিন্তু কোন শক্তির বলে তা আমি আজও বুঝি না।



আপনাদের প্রেমের কাঙ্গাল

মোঃ আসিফ-উদ-দৌলাহ্





১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

**অপূরণীয় যোগাযোগ*

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ২৮ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:১৯

তাদের সম্পর্কটা শুরু হয়েছিল ৬ বছর আগে, হঠাৎ করেই। প্রথমে ছিল শুধু বন্ধুত্ব, কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তা গভীর হয়ে উঠেছিল। সে ডিভোর্সি ছিল, এবং তার জীবনের অনেক কষ্ট ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

গাজার যুদ্ধ কতদিন চলবে?

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৮ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার আগে মহাবিপদে ছিলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু৷ এক বছর ধরে ইসরায়েলিরা তার পদত্যাগের দাবিতে তীব্র বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন৷ আন্দোলনে তার সরকারের অবস্থা টালমাটাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রায় ১০ বছর পর হাতে নিলাম কলম

লিখেছেন হিমচরি, ২৮ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১

জুলাই ২০১৪ সালে লাস্ট ব্লগ লিখেছিলাম!
প্রায় ১০ বছর পর আজ আপনাদের মাঝে আবার যোগ দিলাম। খুব মিস করেছি, এই সামুকে!! ইতিমধ্যে অনেক চড়াই উৎরায় পার হয়েছে! আশা করি, সামুর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাঙ দমনের নেপথ্যে এবং রাষ্ট্রীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সমন্বয়

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭


ব্যাঙ দমনের বাংলায় একটা ইতিহাস আছে,খুবই মর্মান্তিক। বাংলাদেশে বহুজাতিক কোম্পানির কোন সার কেনা হতো না। প্রাচীন সনাতনী কৃষি পদ্ধতিতেই ভাটি বাংলা ফসল উৎপাদন করতো। পশ্চিমবঙ্গ কালক্রমে ব্রিটিশদের তথা এ অঞ্চলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

পজ থেকে প্লে : কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

লিখেছেন বন্ধু শুভ, ২৮ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:১৫


.
একটা বালক সর্বদা স্বপ্ন দেখতো সুন্দর একটা পৃথিবীর। একজন মানুষের জন্য একটা পৃথিবী কতটুকু? উত্তর হচ্ছে পুরো পৃথিবী; কিন্তু যতটা জুড়ে তার সরব উপস্থিতি ততটা- নির্দিষ্ট করে বললে। তো, বালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×