#_কিভাবে_স্মার্ট_হবেনঃ পর্ব - ২ (পর্বের নামঃ ফটোগ্রাফী)
#_ভূমিকাঃ না আমি জানি যে আপনি বলতে চাচ্ছেন, "আজকাল কার পোলাপাইন ডিএসএলআর নিয়ে ভাবে ঘুরে বেড়ায়, তুলতে পারে না ঘোড়ার ডিমটাও, খালি মেয়ে পটানোর ধান্দা।" কিন্তু আপনি তো আর তাদের মত নন। আপনি ডিফারেন্ট। আমি এটাও জানি, আপনি ছবি তোলার প্রতি ছোট বেলা থেকেই প্যাশনেট। তাই আজকালকার এই মূর্খ ফটোগ্রাফারদের ভীড়ে নতুনত্ব ও ইনটারন্যাশনাল মানের কারিশমা দেখাতে, আপনি নিজেই একদিন একটি ডিএসএলআর কিনে নিজেকে স্বাগতম জানিয়ে দিলেন ফটোগ্রাফীর এই ছোট্ট ভূবনে। যেখানে আপনি হবেন উদীয়মান সম্রাট এবং নিজেকে নিয়ে যাবে স্মার্টনেসের পূর্ণ শিখরে।
#এখন_জানিয়ে_দিচ্ছি_ফটোগ্রাফীর_প্রকারভেদঃ ফটোগ্রাফী তিন প্রকারঃ
ক - ফটোগ্রাফী
খ - ফুটোগ্রাফী
গ - মাইয়াগ্রাফী
ঘ - পুটুগ্রাফী
#_ক_ফটোগ্রাফীঃ আপনি পেপার-পত্রিকায়, শিল্প কলার এক্সিভিশনে বা দেশ বিদেশের নাম করা জায়গায় অথবা মানুষের মনোরঞ্জন করে এমন যে সব অজস্র ছবি দেখেছেন সেগুলো হল ফটোগ্রাফী। মূলত এই পস্থার মানুষ গুলো হয় খ্যাঁত। এদের ফলো করাটা বোকামী।
#_খ_ফুটোগ্রাফীঃ আয়নার সামনে ২ ঘন্টা যাবত নিজের লুক নিয়ে ঘষামাজা করার পর নতুন জামা-জুতা,সানগ্লাস পড়ে, গাঁয়ে সুন্দর বডি স্প্রে মেখে একজন পুরুষ বা নারী যখন বাথরুমে গিয়ে ছবি তুলে। অর্থাৎ যখন সে বাথরুমের কমোডের ফুটোর সামনে ছবি তুলে তখন তাকে ফুটোগ্রাফী বলে। ইহা বাথরুমে খুজতে হইবে
#_গ_মাইয়াগ্রাফীঃ ডিএসএল আর ওয়ালাদের জন্য এটি সবচেয়ে স্মার্টনেসের লক্ষণ কারণ মাইয়া গ্রাফীই প্রমাণ করে যে আপনি অনেক মেয়েকে চিনেন। আর অনেক মেয়ে কে চিনলে বন্ধুমহলে আপনি আলাদা সমাদর তো পাবেনই। ইহা সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায় বিয়া শাদি তে।
#_ঘ_পুটুগ্রাফীঃ মানুষ মাত্রই পাছাওয়ালা শুদ্ধ বাংলায় পুটুওয়ালা। নিজের পুটুকে সবারই নিজের কাছে অমৃত মনে হয় কিন্তু অন্যের পুটু দেখলে সকলে ছিঃ ছিঃ করে। এরকমই আপনার তোলা যে ছবি নিজের কাছে অমৃত লাগে কিন্তু অপরে তা দেখলে ছিঃ ছিঃ করে সে ছবি কে বলা হয় পুটুগ্রাফী। ইহা একন্তই আপনার সম্পদ যা দেখলে আপনার "ককে গল এচে গায় আয় মীন চোখে জল এসে যায়"
আগেই সকলকে বলে রাখছি স্মার্ট হতে হলে আপনাকে ফুটোগ্রাফী, মাইয়াগ্রাফী ও পুটুগ্রাফী করতে হবে।
#_স্মার্ট_হওয়ার_পদ্ধতি_সমূহঃ
ক - ইনটারনেট পদ্ধতি।
খ - ফটোওয়াক পদ্ধতি।
গ - গিয়ার পদ্ধতি।
#_ক_ইনটারনেট_পদ্ধতিঃ এ পদ্ধতিতে ফুটোগ্রাফী, মাইয়াগ্রাফী ও পুটুগ্রাফী তিনটাই করা সম্ভব প্রথমে একটা ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলুন। তারপর ফ্লীকার একাউন্ট খুলুন। ফেসবুকে নিজের আইডির ইনফো তে লিখুন "ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফার" তারপর একটি এ্যালবাম বানান নাম "মাই ফটোগ্রাফী" এই বার মানুষকে সে ফটো লাইক দেয়ার জন্য ক্রমাগত নক করতে থাকুন। কিছুদিন যেতেই নিজের নামে নিজেই ফ্যান পেইজ খুলে সকলে লাইকের জন্য ইনভাইট করতে থাকুন। মাঝে মাঝে নিজের ফুটোগ্রাফী অর্থাৎ বাথরুমে কমোডের ফুটোর সামনে আয়নায় তোলা নিজের কিছু ছবি আপলোড দিন। কয়েকটা মেয়ের মাইয়াগ্রাফী আপলোড আর পুটুগ্রাফী তো আছেই। এভাবে আপনি ফুটোগ্রাফী, মাইয়াগ্রাফী ও পুটুগ্রাফী করলেও সকলের কাছে ফটোগ্রাফার হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পাবেন ও রাতারাতি স্মার্ট হয়ে যাবেন।
#_খ_ফটোওয়াক_পদ্ধতিঃ রিকশায় জ্যামে বসে গলার ক্যামেরা নিয়ে পাশের ফ্রেন্ডকে জোড়ে জোড়ে চীৎকার করে বলুন আপনার ফটোওয়াকের কাহিনী গুলো বন্ধুকে বলার নাম করে জানিয়ে দিন জ্যামে বসে থাকা সকল মানুষগুলোকে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিন "ইজ এ্যাট ফটোওয়াক ইউথ অগা বগা বাল ছাল" ফ্রেন্ড দের সাথে এই ফটোওয়াক বাজে সেটা ভালো বলে যা মন চায় আলোচনা করুন। ব্যস স্মার্টনেস আপনার পায়ের কাছে এসে কান্না কাটি করবে।
#_গ_গিয়ার_পদ্ধতিঃ মনে রাখতে ছবি তোলাটা মুখ্য বিষয় না। কত দামী ক্যামেরা কত দামী লেন্স আর কত দামী ব্যাগ মানুষ ব্যবহার করছে সেটাই মুখ্য। দামী আর কম দামী ক্যামেরার ছবির পার্থক্য আপনি বুঝে না থাকলেও ঘটনা জানার পর সকলের সামনে চীৎকার করে বলুন "আরে আমি তো আগেই ভাবছিলাম যে এটা কম দামী ক্যামেরার ছবি এর লাইগাই এরুম ঘুলা লাগতাছে" সকলে ভাববে "ওররে খোদা ভাইজানে তো বহু ক্যামেরা হাতাইয়ালাইছে রে" তারপরও আপনার যোগ্যতা নিয়ে কেউ সন্দেহ করলে ডায়লগ মেরে দিবেন "ব্যাটা তুই জীবনে যত গুলো সিগারেট খাইছস আমি ঠিক তত গুলার ক্যামেরা এই বুকে লইয়া ঘুরছি" ব্যস আপনি এবার স্মার্ট :দ