উপলক্ষটা ছিল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। চলচ্চিত্রের প্রতি নিজের ‘আসক্তির’ গুমর ফাঁস করলেন তিনি সেখানেই। বললেন, রোমান্টিক সিনেমা ‘রোমান হলিডে’ দেখেছেন ৩০ বার। বারবারই হয়েছেন মুগ্ধ।
Published : 10 Jan 2014, 08:34 PM
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী ।
মুহিত বলেন, “প্রযুক্তি ও বাণিজ্যিক কারণে চলচ্চিত্র শিল্প আগের তুলনায় সংকুচিত হচ্ছে।”
তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি ব্যক্তিগত দুর্বলতার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, “আমার ছোট বেলার অনেকটা সময় সিনেমা দেখেই কেটেছে। আমি প্রচুর সিনেমা দেখেছি। কারণ আমি যেখানে বড় হয়েছি সেখানে দুটো সিনেমা হল ছিলো, আর হল দুটোর মালিক ছিলেন আমার দাদার বন্ধু।”
“আমার সিনেমা দেখতে কোন টাকা লাগতো না। আর গেলেই দেখতে পেতাম। এখনও সুযোগ হলে সিনেমা দেখি।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি রোমান হলিডে কমপক্ষে ৩০ বার দেখেছি। আমার এরকম অনেক প্রিয় সিনেমা আছে।”
গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা-হোয়াট ইজ লাভ’ চলচ্চিত্রটি পুরো সময় ধরে দেখেন অর্থমন্ত্রী। বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনন্ত জলিলের চেষ্টা সফল ও ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’ পুরোপুরি আন্তর্জাতিক মানের ছোঁয়া পেয়েছে বলে সেদিন মন্তব্য করেছিলেন অর্থমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) প্রধান নাজমুল আহসান করিমুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
ইনু বলেন,“বর্তমানে সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় জঙ্গিবাদ,বৈষম্য ও দারিদ্র হচ্ছে আমাদের শত্রু। এসবের সাথে আমাদের সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।”
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন,“এখন এমন সিনেমা বানাতে হবে,যার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতা,জঙ্গিবাদ ও যুদ্ধাপরাধ মুক্ত দেশ গড়তে পারবো। এর মাধ্যমে যেমন ভালো চলচ্চিত্র আসবে, তেমনি ভালো দর্শক ও ভালো সমাজ গড়া সম্ভব হবে। যা সামনের দিকে এগোনোর পথ দেখাবে। একইসাথে তরুণ প্রজন্মকে দেশগড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করবে।”
অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা, অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই উৎসব। বিশ্বের ১৭টি দেশ এই চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে।
রাজধানীর চারটি ভেন্যুতে এসব দেশের ১৭৮টি সিনেমা প্রদর্শন করা হবে।
ভেন্যুগুলো হচ্ছে- জাতীয় জাদুঘর,পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তন, আঁলিয়াস ফ্রাঁসেজ ও আমেরিকান সেন্টার।
সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত এসব ভেন্যুতে সিনেমা দেখানো হবে। প্রত্যেকটি সিনেমা দেখার জন্য প্রবেশ ফি ৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৯৯২ সাল থেকে ‘রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি’ ঢাকায় এই চলচিত্র উৎসবের আয়োজন করে আসছে।