somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সময়ের দাবি .... সংকটের মূলে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্যই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সঠিক পদক্ষেপ। আর দেশে যে সহিংস রাজনীতি চলছে, সেটা মোকাবিলায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রধান দুই দলকে আলোচনায় বসে সমঝোতায় পৌঁছাতে হবে। তবে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি জামাতের সঙ্গে কোনো সংলাপ কিংবা সমঝোতা করা যাবে না। কেননা, দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তার মূলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ও জামাত। এ সংকট কাটাতে জামাতসহ দেশের সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায়ের বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে হবে।'

এতে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে নির্বিচারে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের মারা হচ্ছে। একে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া আর কী বলা যায়!
'১৯৯৬-এর নির্বাচনের সঙ্গে অনেকে এবারের নির্বাচনকে এক করে ফেলছেন। কিন্তু সেবার ভোট পড়েছিল মাত্র ২৬ শতাংশ'। এবারের নির্বাচন হয়ে যাওয়া ঠিকই হচ্ছে। না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, লক্ষ্য যদি এক না থাকে, তাহলে সংলাপ বিফল হবে। ১৯৭১ সালেও হয়েছে, এখনো হচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি জামাত থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। তাহলে তারা কি জামাতের কাছে বাঁধা পড়ে গেছে? সে কথা তাদের বলতে হবে।
যারা সন্ত্রাস করছে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না। তবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সন্ত্রাস দমন ও জনকল্যাণমূলক রাজনীতিতে সম্মত হলেই সংলাপ হতে পারে।
'সাধারণ মানুষকে হত্যা করে, ভোটার হত্যা করে কি ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যায়?' শুধু জামাতকে নয়, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তা না হলে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে না। সংকটের মূলে রয়েছে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি।

বড় বড় পত্রিকা ও সুশীল সমাজের অনেকেই বলছেন, নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। সংলাপ করতে হবে। কিন্তু কেউ বলছে না, আগে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে, তারপর আলোচনা হবে, তারপর নির্বাচন করতে হবে।
'যাঁরা নির্বাচন বন্ধ করার কথা বলেন, সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করার কথা বলেন, তাঁরা আসলে জামাতকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে চান। আমি এতে খুবই হতাশ হই।' তিনি বলেন, দেশের একটি উপজেলায় জামাতকে ঠেকাতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি এক হয়েছে। সারা দেশে কেন এই রোল মডেল করা যাচ্ছে না?

এ সংকট সৃষ্টি হয়েছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে কেন্দ্র করে। আরেকটি বড় কারণ বাংলাদেশকে আবারও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা।

বিএনপির এখন স্বীকার করা উচিত যে, তাদের কৌশল ব্যর্থ হয়েছে। তারা নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি। তারা মনে করেছিল হয় গণ-অভ্যুত্থান হবে, নয়তো সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেবে। কোনোটিই হয়নি। আবার বিএনপিকে নির্বাচনে না আনতে পারা সরকারের ব্যর্থতা।


ঐক্য দুই ধরনের হয়। অভিন্ন লক্ষ্য থেকে ঐক্য আর অভিন্ন ঝুঁকি থেকে ঐক্য। আমাদের এখন ঝুঁকির কারণেই ঐক্য করতে হবে। একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন, বিরোধী দলের সে সুযোগ নেওয়া উচিত। আর সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়ে আলোচনা হোক, সমঝোতা হোক। আর সংঘাত বন্ধ করার একমাত্র সমাধানই হলো আলোচনা করা। দুই নেত্রীর কাছেই এখন গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।

'এত দিন আমরা ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেশনের কথা বলতাম, কিন্তু এখন দেশে রাজনীতিতেও সিন্ডিকেশনও হয়ে গেছে। ১৮-দলীয় জোট, ১৪-দলীয় জোট। জোটের কারণেই বড় দলগুলো অনেক কিছুই করতে পারে না।'

জামাতের নেতাকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসা হচ্ছে। কেন নেতাদের দিয়ে এ কাজ করা হচ্ছে? বাংলাদেশ প্রতিদিন-এর সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, 'সারা দেশে জামাতের চলমান সহিংসতার মধ্যেও দেশে জামাতের নেতাকে বরণ করে নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের একজন নেতা। তাঁকে এখন পর্যন্ত বহিষ্কারও করা হয়নি। সরকারের এমন দু'মুখো আচরণ কেন?'

দেশের অনেক স্থানেই আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় জামাত বেড়ে উঠেছে । 'সাতক্ষীরায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাই জামাতের আমির। তাঁর মা জামাতের রোকন। সেখানে কেন তাঁকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে?' তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি যদি হয় শুধু ভোটের রাজনীতি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা টিকবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:১৪
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×