অনেক দিন পরে ব্লগে আসলাম, একেবারেই আসি না যে, তা না, মাঝে মাঝে উকি মারি তবে পড়ার মত কিছুই পাই না। বর্তমানে সামুতে লেখালেখি আমার কাছে মনে হয় যে, একচেটিয়া হয়ে গেছে সবাই শুধু একে অপরের দিকে রাজনৈতিক ঢিল ছুড়ে। দেশের কথা বলা বা আলোচনা খুবই কম হয়। বলতে গেলে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গৃহযুদ্বের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যার অর্থ বাংলাদেশ অতিশীঘ্যই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মত একটি দেশ হতে চলেছে যেখানে থাকবে অশান্তি, দারিদ্রতা আর বিদেশী শক্তির প্রদর্শন বা সামরিক শক্তির লাইভ মহরা। বর্তমানে আন্তজার্তিক মহলের কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে সফলতা তাদের ঈর্ষার কারণ। আমরা হয়তোবা কয়েক দশকের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম একটি সফল দেশ হব যারা খাদ্য, শিক্ষা, অর্থনীতি ও অন্যান্য আরও আনেক ক্ষেত্রেই অনেক দেশকে পিছনে ফেলবে। তবে এই সম্বাবনা গুড়িয়ে যাওয়ার কিছু কিছু ইঙ্গিত এখনই পাওয়া যাচ্ছে। যাদি দেশ এই ভাবে চলতে থাকে তাহলে খুব বেশি দিন নেই যখন বিদেশী সামরিক শক্তি অনুমতি ছাড়াই দেশের পরিচালন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করবে। যদি ইতিহাস দেখেন তাহলে দেখবেন, আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকার কিছু দেশে বিদেশী সামরিক শক্তি তাদের অনুমতি ছাড়াই তাদের দেশে ঢুকে পড়েছিল এবং তাদের মত করে দেশের সমস্যা সমাধান করে। যদিও ঐ সমস্ত কয়েকটা দেশে তারা শান্তি ফিরিয়ে এনেছিল, তবে সেটা আমাদের দেশে বিপরীতও হতে পারে। আর এই বিদেশী সামরিক শক্তিটা হচ্ছে আমেরিকা। আমেরিকা একটা দেশ যারা কারও মতামতের বা অনুমতির অপেক্ষা করে না। এরা দুর্বল এর অত্যাচার আর শাসনও ভালই করে। আমেরিকা তাদের নিজের দেশের সুরক্ষার ব্যাপারে খুবই সর্তক এবং আমেরিকা যদি মনে করে কোন দেশ তাদের জন্য হুমকি হতে পারে তা হোক বর্তমানে কিংবা ভবিষ্যতে তাহলে তারা সেই দেশের প্রতি ব্যবস্থা নেবেই। কে জানে যে, এই মুহূর্তে উএস মেরিন আর নেভি সিল বাংলাদেশের জল সীমা দিয়ে দেশে প্রবেশ করে নি। হয়তোবা তারা গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে দিয়েছে। হয়তোবা আকাশ থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা গুলো দেখছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল আমেরিকা বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসী ও তাদের জন্য হুমকি স্বরূপ একটি দেশ হিসেবে দেখছে এবং তার প্রমাণ তারা ইতিমধ্যে কয়েক বার দিয়ে ফেলেছে। যেমন বাংলাদেশে আমেরিকান দূতাবাস বন্ধ রেখে ও বাংলাদেশী যুবক দ্বারা আমেরিকায় বোমা হামলা করার চেষ্টা করায়। অথাৎ তারা ইতিমধ্যে বুজে গেছে যে, সন্ত্রাসী শক্তি আছে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রতি বিদেশী শক্তি গুলোর দৃষ্টি একেবারেই ভাল ন। ৫ই জানু: নির্বাচন তাদের কাছে কোন ভাবেই গ্রহন যোগ্য নয়। এবং তারা গনতন্ত্র বাদ দিয়ে একনায়কতন্ত্র মোটেই পছন্দ করে না। যদিও ৫ই জান: নির্বাচন গনতান্ত্রিক নির্বাচন বলা হচ্ছে তবে কতটা গনতান্ত্রিক হয়েছে সেটাই দেখার বিষয়। নির্বাচন যেমন তেমন কিন্তু নির্বাচনের পরবর্তীতে যে পরিমান সহিংসতা হচ্ছে তা কোন দেশই মেনে নেবে না, যদি না এই সহিংসতা বন্ধ হয় তাহলে বিদেশী শক্তি গুলো পদক্ষেপ নিতে পারে। আমার জানা মতে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ ইউএস ভাল চোখে নেয় না যেমন লিবিয়া, আফগানিস্তান,মিশর, সিরিয়া এছাড়াও অনেক দেশই সাধারণ মানুষের উপর নিরীহভাবে আক্রমনের জন্য ইউএস এর আক্রোশের মুখে পড়েছে।
আলোচিত ব্লগ
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি
অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?
যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাফসানের মা হিজাব করেন নি। এই বেপর্দা নারীকে গাড়ি গিফট করার চেয়ে হিজাব গিফট করা উত্তম।
ছবি - সংগৃহীত।
ইফতেখার রাফসান। যিনি রাফসান দ্যা ছোট ভাই নামে পরিচিত। বয়স ২৬ বছর মাত্র। এই ২৬ বছর বয়সী যুবক মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছে। আমরা যারা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি
শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রফেসদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?
ছবি সূত্র: গুগল
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন