বাংলাদেশে 'সমাজতন্ত্র' প্রতিস্ঠার জন্য শেখ সাহেব 'বাকশাল' প্লাটফরম গঠন করেন: ইহা একদলীয় কিছু নয়, ইহা ছিল সর্বদলীয় একটা প্লাটফরম। আমেরিকাসহ পশ্চিম চেয়েছিলো, বাংলাদেশে যেন ক্যাপিটেলিজমের বিকাশ ঘটে; আওয়ামী লীগের সামান্য কয়েকজন ব্যতিত সবাই ক্যাপিটেলিজম চাচ্ছিল; যারা সমাজতন্ত্র বিরোধী ছিল তারা পাকিস্তান ইত্যাদির সমর্থন পেয়ে শেখ সাহেবকে হত্যা করে। হত্যাকারীরা শেখ সাহেবকে স্বৈরাচার হিসেবে প্রচার চালায়; সাথে সাথে হত্যাকারীদের প্রধান জেনারেল জিয়াকে 'বহুদলীয় গণতন্ত্রের' প্রবর্তক হিসেবে প্রচার চালায়। বাংগালীরা গণতন্ত্র না বুঝায়, তারা ষড়যন্ত্র সম্পর্কে তেমন কিছুই বুঝতে পারেনি; 'বহূদলীয় গণতন্ত্র ' কথাটা শুনে তারা গলে গেছে!
মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকেরা জেনারেল জিয়াকে হত্যা করে শেখ সাহেবের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়। এরশাদ সুযোগ মতো জেনারেল জিয়ার পার্টি থেকে ক্ষমতা দখল করে নেয় আরেক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে; এরশাদ ক্যাপিটেলিজমকে সামনে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে মানুষ এরশাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে; অবশ্য পেচনে কোন উদ্দেশ্য ছিল না: বাংগালীরা এক ঘেয়েমী পছন্দ করে না; ক্ষমতা পেলো খালেদা বেগম, পাকিস্তানীরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিজের লোককে প্রতিস্ঠিত করলো।
খালেদা বেগম শুরু করলো ক্ষমতা না ছাড়ার ষড়যন্ত্র: ১৯৯৬ সালে , ২ বার ভোট করে উনাকে নামানো হলো। এবার এলো শেখ হাসিনা, উনি জেনারেল জিয়ার ক্যাপিটেলিজমে পানি ঢাললেন; কিন্তু ক্ষমতা না ছাড়ার ব্যাপারে একমত; কোন এক ষড়যন্ত্রের ফাঁক দিয়ে তিনি নিজের অজান্তেই ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন।
২০০৭ সাল, খালেদা বেগম ষড়যন্ত্র করলেন ক্ষমতা ধরে রাখতে; অনেক চেস্টা করেও, নতুন ষড়যন্ত্রের কাছে হেরে যান; এবার ষড়যন্ত্রের মাতা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেন; ২০১৪ সালে, উনি খালেদা বেগমের ষড়যন্ত্রের উপর ষড়যন্ত্রর ট্রাম্প করেন; এখন ৩৮ বছর চলছে। দেশবাসীর ৯৮% এগুলোর কিছু বুঝার সামর্থ রাখে না: তাঁরা ষড়যন্ত্রকে গণতন্ত্র মনে করে, সব সময় ষড়যন্ত্রের পক্ষ বা নতুন ষড়যন্ত্রের পক্ষে অবস্হান গ্রহন করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৯