বায়ার্ন মিউনিখকে গত বছর 'ট্রেবল' জেতানো কোচ ইয়ুপ হাইনকেস পেয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার।
Published : 13 Jan 2014, 11:17 PM
সংক্ষিপ্ত তিন জনের তালিকায় আরো ছিলেন ইপিএল চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন ও বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।
সোমবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফা ব্যালন ডি’অরের জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে হাইনকেসের হাতে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কারটি তুলে দেয়া হয়।
প্রত্যাশিতভাবেই সেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর জার্মানির প্রথম দল হিসেবে বায়ার্নকে ‘ট্রেবল’ (চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, বুন্দেসলিগা ও জার্মান কাপ) জেতানো হাইনকেস। এক মৌসুমে একজন কোচের পক্ষে যতগুলো ট্রফি জেতা সম্ভব তার সবই জিতেছেন তিনি।
দারুণ এই অর্জনের পরই বায়ার্নের কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেন সাবেক এই জার্মান খেলোয়াড়। অবশ্য ঐ বছরের শুরুতেই মৌসুম শেষে বায়ার্ন ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন হাইনকেস। বায়ার্ন ছাড়ার পরপরই এক বছরের জন্য কোনো দলের কোচিং না করানোর সিদ্ধান্তের কথাও জানান তিনি।
তবে গত ২১ জুন জার্মানির একটি সাপ্তাহিক পত্রিকাকে তিনি জানান, ভবিষ্যতে আর কোনো দলকে কোচিং করাবেন না তিনি।
পুরস্কার জেতার পর প্রতিক্রিয়ায় হাইনকেস জানান, “আজ এই ট্রফি জিততে পেরে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। ক্যারিয়ারে শেষ লগ্নে এসে এই ট্রফি জিততে পারাটা আমার কাছে অনেক বড় একটা ব্যাপার।”
বায়ার্নের হয়ে 'ট্রেবল' জয়ের অসাধারণ এই কীর্তি গড়া দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় থাকায় সম্ভব হয়েছে বলে জানান হাইনকেস। কোচিংয়ে সহকারীদেরও ধন্যবাদ জানান বিশ্বসেরা এই কোচ।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে হাইনকেসের পক্ষেই কথা বলেন বরুসিয়ার কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, “ইয়ুপ হাইনকেস সবগুলো শিরোপা জিতেছেন, সুতরাং তিনিই এর (বর্ষসেরা কোচের) দাবিদার। তিনিই আমার ফেভারিট।”
সংক্ষিপ্ত তালিকার তৃতীয় কোচ ফার্গুসন ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। গত মৌসুম শেষে অবসরের ঘোষণা দেওয়া এই তারকা বার্বাডোজে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে আছেন।
মহিলা ফুটবলের বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার পেয়েছেন জার্মানির জিলভিয়া নাইড। ২০০৫ সাল থেকে জার্মান দলের দায়িত্বে আছেন তিনি। গত বছর তার অধীনে উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল জার্মানি।
২০১৩ সালের ফিফা ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান।