somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেকুব রাজ্যের বেকুব প্রজা !!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে জায়গা করে নিয়েছিল ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। তবে আমার মনে হয়না স্বাধীনতার স্বাধটুকু এখনও বাঙ্গালী জাতি সেরকমভাবে পেয়েছে।

যখনই ক্ষমতার পালাবদল হয় তখনি বদলে যায় দৃশ্যপট। হারিয়ে যায় স্বাধীনতার অস্তিত্ব। আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ সব হয়ে যায় পরাধীন।

মানুষের মনুষত্ত্ব ও গণতন্ত্র হয়ে যায় অসহায়। নিরীহ নির্বোধ জনগনকে যা বোঝানো হয় তাদের কে তাই বুঝতে হয়। আর না বুঝলেও করার কিছুই থাকেনা। ক্ষমতাসীন ও ক্ষমতাহীন দুই দলই ব্যাবহার করতে থাকে নিজেদের আবিস্কৃত মিডিয়া।

আমাদের এই মহান দেশে আলোচনার বিষয়বস্তুর শেষ নেই। একটা শেষ না হতেই আরেকটা শুরু ও হয়ে যায়। এইতো বর্তমানে, আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে, এইচ এম এরশাদের বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে শপথ গ্রহণ।

আমাদের দেশ একটা গুজবের দেশও বটে। এইতো কয়েক মাসে আগে এক দল দাবী করল যে, তারা নাকি আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী কে চাঁদে দেখেছে! তারপর এটাকে নিয়ে সরকারীদল ও তৎকালীন বিরোধীদল এবং তাদের মিত্র জামায়াতের কতো হাঙ্গামা-তামাশাই না দেখতে পেল এদেশের জনগণ।

গণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে হরতাল ও অবরোধের নামে নিরীহ জনগণের মালিকানাধীন গাড়ী ভাংচুর কিংবা গাড়ী জ্বালানো, নিরীহ মানুষ পুড়ানো কিংবা মানুষ হত্যা, দেশের অর্থনীতির চাকা অচল করে দেয়া এসব যেন বিরোধীদল ও তাদের মিত্রদের দৈনন্দিন কর্মকান্ডের এক বিশাল অংশ হয়ে গেছে।

তাদের প্রতিরোধ করার জন্য ছোড়া পুলিশ-বিজিবি-র‍্যাবের গুলিতে নিহত হচ্ছে সেই নিরীহ জনগণ।

দেশ ও জনগণের জন্য কারো কোনো মাথা ব্যথা নেই, সবাই নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত।

আর আমরা, বেকুব রাজ্যের বেকুব প্রজা নির্লিপ্তভাবে আশায় আছি কেউ হয়তো আমাদের মঙ্গলের জন্য চিন্তা করে আমাদের দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনবে, আমাদের দেশের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়ে আমাদের কে স্বাধীনতার স্বাধটুকু গ্রহণ করতে দিবে। কিন্তু কে সে ? কখন আসবে ? সে কি আদৌ আসবে ? তা কারো জানা নেই, কিন্তু স্বপ্ন দেখতে তো আর বাধা নেই।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ভ্রমণ স্মৃতি - ছাংশা, হুনান প্রদেশ, চীন ২০১৮ সাল

লিখেছেন নাঈম আহমেদ, ২৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২


জায়গাটির নাম ইউয়েলু শান বা 岳麓山 বা Yuelu Mountain. দক্ষিণ-মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের ছাংশা শহরে অবস্থিত। পাহারটি শহরের মাঝে বয়ে চলা শিয়াং নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত, ছবিতে আমার পেছনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সহেলিয়া তার নাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৯ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪১

সহেলিয়া তার নাম
ধাপারিয়া ছিল তার গ্রাম
আমার বাড়ির সামনে দিয়ে
আসতো যেতো প্রতিদিনই সে
জানালাটা খুলে আমি
তার দিকে চেয়ে তার
হেঁটে যাওয়া দেখতাম



মাথায় দুটি বেণি ছিল
দু পাশে দুটি লাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্যতার কলঙ্ক ইজরাইল

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৯ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

ইহুদিদের প্রধান ধর্মগ্রন্থের নাম তোরাহ। এটি ৫ টি পুস্তকের সমন্বয়ে গঠিত। ইহুদি এবং সকল একেশ্বরবাদীরা বিশ্বাস করে তোরাহ হচ্ছে প্রফেট Moses ( মুসা নবী ) এর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক থেকে ভালোবাসার পথে: আমার এবং মীমের গল্প

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ২:৩৭

## প্রথম অধ্যায়: অনলাইন থেকে অফলাইনে

ফেসবুকের পাতায় একটি সাধারণ দিন। আমি তখন নিউইয়র্কের ব্যস্ত শহরে বসে থাকি, চারপাশে মানুষের কোলাহল আর কাজের চাপ। হঠাৎ করেই ফেসবুকে একটি পোস্টে কমেন্ট করতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মোছাব্বিরুল হক, ৩০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮



শত মমতার গল্প গাঁথুনি পৃথিবীর ভাঁজে ভাঁজে
কিছু নয় তার মাতৃতুল্য মা তাঁর তুলনা নিজে।
কত প্রিয়জন বন্ধু-স্বজন প্রাণপ্রিয় সন্তান
হতে পারে পর এলে কভু ঝড়
ভুলে শত অবদান।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×