চট্টগ্রামে সকালে পাহাড় থেকে এক যুবকের গলাকাটা লাশ পাওয়ার পর বিমান বন্দর সড়ক থেকে আরো একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
Published : 14 Jan 2014, 03:34 PM
এ নিয়ে দুই দিনে বন্দরনগরীতে তিন জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হল, যাদের কুপিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইপিজেড থানার এসআই রাজেশ বড়ুয়া জানান, মঙ্গলবার বিমানবন্দর সড়কের রুবি সিমেন্ট কারখানা এলাকায় একটি নর্দমা থেকে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে সকালে খুলশী থানার আমবাগান এলাকার রেলওয়ে জাদুঘরের পাশের একটি পাহাড় থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে এসআই রাসেল মিয়া জানান।
নিহত এই দুজনের কারো পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
আগের দিন নগরীর সিআরবি এলাকা থেকে চম্পক দেওয়ানজী নামে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়, যিনি একটি বিদ্যুৎ বিতরণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন।
বিমানবন্দর সড়কে যার লাশ পাওয়া গেছে তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর হবে বলে এসআই রাজেশ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নিহতের গলায় গামছা মোড়ানো এবং দুই চোখে মরিচের গুঁড়া লাগানো ছিল। পরনে ছিল চেক লুঙ্গি, শার্ট ও কালো জ্যাকেট ।
“ছিনতাইকারীদের হাতে তিনি খুন হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
এদিকে আমবাগান এলাকায় নিহত যুবকের বয়স আনুমানিক ২২ বছর বলে জানান খুলশী থানার এসআই রাসেল।
তিনি বলেন, নিহত যুবকের পরনে ছিল কালো জ্যাকেট ও কালো টি শার্ট। রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আগের দিন সকাল ৬টার দিকে নগরীর সিআরবির ডাকবাংলা সড়কের পাশ থেকে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির হাটহাজারী অফিসের সহকারী ব্যবস্থাপক (হিসাব ও প্রশাসন) চম্পকের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে কোতয়ালী থানার এসআই একরাম উল্লাহ জানান।
তার বুকের বাম দিকে ছুরিকাঘাতের জখম ছিল।
চম্পক বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নের মাস্টারপাড়ার চপল কান্তি দেওয়ানজীর ছেলে। থাকতেন মুরাদপুর এলাকায়।
তার বড়ভাই চিরঞ্জীব দেওয়ানজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, চম্পক প্রতিদিন সকালে সিআরবি এলাকায় সাইকেল চালাত। সোমবার সকালে সেখানে যাওয়ার পর তিনি আর ফিরে আসেননি।
চম্পকের মানিব্যাগ খোয়া যাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “ছিনতাইকারীরা তাকে হত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি।”