আশরাফুলকে ক্ষমা চাইতে হবে.............
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মোহাম্মদ আশরাফুলের পৃথিবী রাতারাতি বদলে গেছে। সুড়ঙ্গের শেষেও আলো নেই। ‘আশার ফুল’ এখন কোন আশাই দেখছেন না। আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের (আকসু) রিপোর্টের ওপর ঝুলে আছে তার ভাগ্য। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগের তীর তার
দিকে। অভিষেক সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান হঠাৎ পথভোলা পথিক হবেন, ভাবেননি কেউ। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আশরাফুলকে আমরা যেভাবে চিনি সে সম্পূর্ণ বিরোধী কাজ করেছে। পুরো জাতিকে হতাশ করেছে সে। আমি নিজেও তার এমন কর্মে হতাশ। আইসিসির রিপোর্ট পাওয়ার পর যদি অভিযোগ সত্যি প্রমাণিত হয় তাহলে সমর্থক, পুরো জাতি, শুভাকাক্সক্ষী সবার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।
রকিবুল যোগ করেন, যদি এ ঘটনা সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে ফিক্সিং রোধে বোর্ডকে কঠোর হতে হবে। যা ঘটে গেছে তার যেন আর পুনরাবৃত্তি না হয়। তার জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আইসিসির রিপোর্টের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আলাদা তদন্ত করা উচিত। বয়সভিত্তিক খেলা নিয়ে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেসব বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হয়, যেমন অনূর্ধ্ব-১৩, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৭, অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেটারদের বিদেশ সফরের আগে তাদের নৈতিকতা সম্পর্কে শিক্ষা দিতে হবে। তাদের এসবের নেতিবাচক দিকগুলো বোঝাতে হবে। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যখন বিদেশ সফরে যাবে তখন অন্যদের কাছ থেকে আলাদাভাবে রাখতে হবে। সাংবাদিক, হোটেলের কোন স্টাফ বা অন্য কোন লোকের তাদের ধারে-কাছে ঘেষতে দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, ‘যে হোটেলে দল থাকবে সেখানে আগে বিসিবির কর্মকর্তারা চলে যাবেন। কোন সাংবাদিক যদি সাক্ষাৎকার নিতে যান তাহলে তার সামনে দলের ম্যানেজারকে থাকতে হবে। এছাড়া কোন সিরিজ বা সফরের সময় ক্রিকেটারদের কাছে মোবাইল ফোন রাখা যাবে না।’ রকিবুলের মতে, ‘আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটার উঠে আসে সফস্বল থেকে। এসব ক্রিকেটারকে সহজে অনৈতিক কাজে জড়ানো যায়। তাই তাদের আগে থেকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে হবে।
রকিবুল হাসানের সঙ্গে একমত আরেক সাবেক ক্রিকেটার ওয়াহিদুল হক গনি। তিনিও খেলোয়াড়দের শিক্ষিত করে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন। এই সাবেক স্পিনার বলেন, ‘লেখাপড়া মানে ডিগ্রি নেয়া নয়। নিজেকে শিক্ষিত করে তোলা। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ বোঝা।’ ওয়াহিদ গনি একজন কোচও। নতুন প্রজšে§ যারা ক্রিকেটের দীক্ষা নিয়ে বড় পরিসরে প্রবেশের অপেক্ষায়, তাদের খেলার পাশাপাশি নৈতিকতা শেখানোও কোচদের জন্য জরুরি বলে মনে করেন এই ক্রিকেট গুরু।
ক্রিকেটে দুর্নীতির ব্যাধি দূর করতে সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার প্রয়োজন বলে মনে করেন এ দুই সাবেক ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করার অবকাশ নেই কারও।
এখানে
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফিরে দেখা - ১৩ মে
১৩ মে ২০০৬
দমননীতির অদ্ভুত কৌশল
সরকার নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী দলের ওপর দমন নীতির আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দ্রুত বিচার আইন ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে দমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
কাঁচা আম পাড়ার অভিযান
গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমরা কেন এমন হলাম না!
জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি
২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন