somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সেলিম আনোয়ার
পেশায় ভূতত্ত্ববিদ ।ভালো লাগে কবিতা পড়তে। একসময় ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম। এখন সময় পেলে কবিতা লিখি। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কার্জন হল ভালো লাগে খুব। ভালোলাগে রবীন্দ্র সংগীত আর কবিতা । সবচেয়ে ভালো লাগে স্বদেশ আর স্বাধীন ভাবে ভাবতে। মাছ ধরতে

বিদায় সুচিত্রা দি

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




নিয়তি

ফিকে হয়ে আসে পূর্ণিমার উজ্জ্বল জোছনা
রূপালী আলোকছটা মিলিয়ে যায় একসময়
বুঝি ধূসর হয়ে যাওয়াটা চিরন্তন নিয়ম
রংধনুর কোন রং আর অবশিষ্ট থাকেনা।

সবুজের স্বপ্নীল চোখ স্বপ্ন খোঁজে ফেরে না আর
ঢেউ ওঠে না আর গঙ্গাজলে
স্মৃতিগুলো একদিন ঝাপসা হয়ে আসে
পথে হয়ে যায় দেরি
তবু এ পথ অনন্ত নয়।

একদিন শেষ হয়ে যায়
বদ্ধ কপাট সেদিন খুলে যায়
শেষ হয় অন্তবাস।

নিজেকে লুকিয়ে রাখার প্রচেষ্টার ইতি হয়
সবার সামনে এসে বিদায় নিতে হয়।

থেকে যায় যুগ যুগ ধরে স্বর্ণাক্ষরে
যৌবনের লাল -নীল -শাদা
চোখ ধাঁধানো আলোক জ্যোতি
রূপালী ফিতায় মেকি বিরহ - ভালবাসা-যৌবন
থেকে যায় দারুণ প্রত্যয়ে সুরক্ষিত।

সেগুলোর মৃত্যু নেই
সেগুলি মানব ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকে ।

-----------------------------------
‍দুই বাংলায় সমান জনপ্রিয় কিংবদন্তী নায়িকা সুচিত্রা সেন আর নেই। চলে গেছেন দূর অজানার অচীন দেশে। অভিনয় জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। বাংলাদেশে জন্ম নেয়া এই কিংবদন্তীর অভিনয়ে মুগ্ধ হননি এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাদাকালো সময়ের অভিনেত্রী হয়েও এই সময়কার আধুনিক তরুণ তরুণির কাছে তিনি হয়ে ওঠেছেন দারুণ ভাল লাগার একজন।সময়কে পিছনে ফেলে জায়গা করে নিয়েছেন চিরকালীন এক শ্বাশ্বত অবস্থানে ।ডাগর ডাগর চোখ, নিস্পাপ চেহারা ,চমৎকার অভিনয়ে তিনি হয়ে ওঠেছিলেন অনন্য।




১৯২৯ সালে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের পাবনার মেয়ে রমা দাশগুপ্ত পরে সুচিত্রা নাম নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রীতে পরিণত হন। উত্তম কুমারের সঙ্গে জুটি বেঁধে তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলো আজও বাঙালির হৃদয়ে অমলিন।

সুচিত্রা অভিনীত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র- শাপমোচন, সাগরিকা, পথে হলো দেরি, দীপ জ্বেলে যাই, সবার ওপরে, সাড়ে চুয়াত্তর, সাত পাকে বাঁধা, দত্তা, গৃহদাহ, রাজলক্ষ্মী-শ্রীকান্ত ইত্যাদি। হিন্দি চলচ্চিত্র আঁধিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

শিল্পপতির ছেলে দীবানাথ সেনকে বিয়ে করেন সুচিত্রা, মুনমুন তাদের একমাত্র সন্তান।

তার অভিনিত প্রথম চলচ্চিত্র ‘শেষ কোথায়’ (১৯৫২ )। হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেও সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

‘দেবদাস’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৫৫ সালে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। ক্যারিয়ারের মধ্যগগণে এসে ‘আঁধি’ ছবিতে রাজনৈতিক দলের নেতা হিসেবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় করে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেন সুচিত্রা।

‘সাত পাকে বাঁধা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য ১৯৬৩ সালে ‘মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভালে’ সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পান তিনি। ভারতীয় কোনো অভিনেত্রীর জন্য সেটিই ছিল বড় মাপের প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার।

১৯৭৮ সালে ‘প্রণয় পাশা’ ছবিতে সর্বশেষ অভিনয় করেন জনপ্রিয় এই নায়িকা। এরপর আকস্মিকভাবেই অভিনয় জীবনের ইতি টেনে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান। পরিবারের লোকজন ছাড়া আর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারনেনি।

২০০৫ সালে সুচিত্রাকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হলেও ভারতের রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পুরস্কার নিতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দিল্লি যেতে রাজি হননি তিনি। ফলে তাকে আর পুরস্কারটি দেয়া হয়নি।

কলকাতায় তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, সেখানে মেয়ে ও দুই নাতনি রিয়া সেন ও রাইমা সেন ছাড়া গুটিকয়েক পারিবারিক বন্ধেই কেবল প্রবেশাধিকার পেত।


মৃত্যু হয়েছে তার। তারপরও তিনি থাকবেন অগণিত ভক্ত হৃদয়ে তার কর্ম মাঝে ।গভীর শোক প্রকাশ করছি তার মৃত্যুতে ।

তথ্যসূত্র:-View this link
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
২৭টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কোরআন কী পোড়ানো যায়!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৮

আমি বেশ কয়েকজন আরবীভাষী সহপাঠি পেয়েছি । তাদের মধ্যে দু'এক জন আবার নাস্তিক। একজনের সাথে কোরআন নিয়ে কথা হয়েছিল। সে আমাকে জানালো, কোরআনে অনেক ভুল আছে। তাকে বললাম, দেখাও কোথায় কোথায় ভুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেঞ্চুরী’তম

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


লাকী দার ৫০তম জন্মদিনের লাল গোপালের শুভেচ্ছা

দক্ষিণা জানালাটা খুলে গেছে আজ
৫০তম বছর উকি ঝুকি, যাকে বলে
হাফ সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি;
রোজ বট ছায়া তলে বসে থাকতাম
আর ভিন্ন বাতাসের গন্ধ
নাকের এক স্বাদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরানের প্রেসিডেন্ট কি ইসরায়েলি হামলার শিকার? নাকি এর পিছে অতৃপ্ত আত্মা?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২০ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯


ইরানের প্রেসিডেন্ট হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত!?

বাঙালি মুমিনরা যেমন সারাদিন ইহুদিদের গালি দেয়, তাও আবার ইহুদির ফেসবুকে এসেই! ইসরায়েল আর।আমেরিকাকে হুমকি দেয়া ইরানের প্রেসিডেন্টও তেমন ৪৫+ বছরের পুরাতন আমেরিকান হেলিকপ্টারে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভণ্ড মুসলমান

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

ওরে মুসলিম ধর্ম তোমার টুপি পাঞ্জাবী মাথার মুকুট,
মনের ভেতর শয়তানি এক নিজের স্বার্থে চলে খুটখাট।
সবই যখন খোদার হুকুম শয়তানি করে কে?
খোদার উপর চাপিয়ে দিতেই খোদা কি-বলছে?

মানুষ ঠকিয়ে খোদার হুকুম শয়তানি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আসবে তুমি কবে ?

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ২০ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪২



আজি আমার আঙিনায়
তোমার দেখা নাই,
কোথায় তোমায় পাই?
বিশ্ব বিবেকের কাছে
প্রশ্ন রেখে যাই।
তুমি থাকো যে দূরে
আমার স্পর্শের বাহিরে,
আমি থাকিগো অপেক্ষায়।
আসবে যে তুমি কবে ?
কবে হবেগো ঠাঁই আমার ?
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×