নাটোরের সিংড়া উপজেলায় এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে গুলি চালিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
Published : 18 Jan 2014, 02:17 PM
নিহত ফজলার রহমান ফুনু (৫৬) সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। কলম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলা সদরে এক বৈঠকের পর মোটর সাইকেলে সাঐল গ্রাম হয়ে কলম ইউনিয়ন পরিষদে যাওয়ার পথে ফজলার হামলার শিকার হন বলে পুলিশ জানিয়েছেন।
হামলায় ফজলারের সঙ্গী জাহেদুল ইসলাম (২৫) আহত হয়েছেন। নাটোর সদর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
সিংড়া থানর ওসি শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত নাটোর সদর হাসপাতাল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সাঐল গ্রামের শাহপাড়া এলাকায় চারজন দুর্বৃত্ত দুটি মোটর সাইকেলে আকস্মিক এসে ফজলারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে পড়ে যান তিনি। এরপর হামলাকারীরা তাকে ও তার ভাতিজাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা ফজলার ও জাহেদকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফজলারের মৃত্যুর পর জাহেদকেও ঢাকায় পাঠানো হয়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবুল কালাম আজাদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাহেদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা ছোরা ও কয়েকটি গুলির খোসা জব্দ করেছে। ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় লাশ সিংড়ায় নেয়া হয়।
থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান দাবি করেন, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কলমের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল ফটিকের সাথে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আহত জাহেদের কাছে তিনি শুনেছেন, এর আগের একটি হত্যাকাণ্ডের জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে।”
নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেছেন, ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানোর আগে জাহেদের সঙ্গে কথা বলেন তারা।
“তার দেয়া তথ্যমতে অভিযান চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে আমাদের ২টি টিম কাজ শুরু করেছে।”