দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রেক্ষিতে অনুপ্রবেশের মতো ঘটনা ঘটবে না বলে ভারতকে আশ্বস্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
Published : 20 Jan 2014, 10:49 AM
তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
ঢাকার উদ্দেশ্যে নয়া দিল্লি ছাড়ার আগে গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেননের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
রোববার তোফায়েল সাংবাদিকদের বলেন, “আমি তাদের দুজনকেই বড় ধরনের অনুপ্রবেশের শঙ্কার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছি। আমাদের সরকার ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার পাশাপাশি সহিংসতার ঘটনাও কমে এসেছে।”
জামায়াত ও তাদের শরিকরা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত বলেও দাবি করেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তবে বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাস করে না। ওই ঘটনার পর সাধারণ জনগণের মাঝে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আমাদের প্রশাসনও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে রয়েছে। সুতরাং অনুপ্রবেশ নিয়ে ভারতের চিন্তার কোনো কারণ নেই।”
সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার সংখ্যালঘুরা জামায়াতের তাণ্ডবের শিকার হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “১৯৭১ এ পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে জামায়াতে ইসলামী সব সময়ই তৎপর। তারা ওই পরাজয় মানতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।”
সফরকালে তিস্তার পানি বণ্টন ও স্থলসীমা চুক্তি বাস্তবায়নেগঠনমূলক পদক্ষেপ নিতে তিনি ভারতের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্যে রপ্তানি শুল্ক কমানোর আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা।
সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিশ্ব এখন জানে কারা বাংলাদেশের সমস্যার মূলে রয়েছে, কারা নির্বাচন ভণ্ডুল করতে চেয়েছিল।
“ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও এখন তারা বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে।”
বিএনপির বেশিরভাগ নেতা বুঝতে পেরেছেন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানপন্থীদের আপত্তির কারণে বিরোধীদলে থেকেও তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি, বলেন তোফায়েল।