কাজের খোঁজে অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে এসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বাংলাদেশের দুই তরুণী।
Published : 20 Jan 2014, 11:08 AM
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা এলাকায় নদীর তীরে একটি নৌকায় তাদের ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাইঘাটা থানা পুলিশ জানিয়েছে, নৌকার দুই মাঝি এবং এক যুবক এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ধর্ষিতা দুই তরুণী সম্পর্কে বোন।
রোববার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আংরাইল ক্যাম্পের সদস্যরা ধর্ষিতা দুই তরুণীকে উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাদের বনগাঁও মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুজনের ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়েছে।
বিএসএফ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, নির্যাতনের শিকার দুই তরুণীর বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় এক যুবক কলকাতার বিউটি পারলারে কাজ দেয়ার লোভ দেখিয়ে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সী দুই তরুণীকে অবৈধভাবে নদীপথে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটায় নিয়ে আসে।
দৌলতপুর থেকে নৌকায় করে তারা কলকাতার উদ্দেশে রওনা হলেও ইছামতি নদী অতিক্রমের সময় নৌকার দুই মাঝি এবং এক যুবক দুই তরুণীকে ধর্ষণ করে।
নির্যাতনের শিকার দুই বাংলাদেশি তরুণী পুলিশকে জানিয়েছে, গাইঘাটায় ধর্ষণের পর পর দুর্বৃত্তরা তাদের নৌকা নদীর তীরে ফেলে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে গাইঘাটা থানায় হস্তান্তর করে।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।
ধর্ষিতারা জানিয়েছে, তাদের এক কাকা কলকাতার বিউটি পারলারে কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল। পাচারকারীরা তাদের বুঝিয়েছিল, সীমান্ত অতিক্রম করতে কোনো সমস্যা হবে না।
দুই তরুণীর পরিচয় প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে গাইঘাটা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে তারা ধর্ষিতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার চেষ্টা করছেন।