কিছুদিন আগে আমার ফেসবুকের এক বন্ধু একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটির শুরুতেই তিনি তাঁর সম্মানিত পাঠকদের উদ্দেশ্যে একটি প্রশ্ন রেখেছেন। আমি তার সেই স্ট্যাটাসটি এখানে হুবহু উল্লেখ করছিঃ
“বাংলা সিনেমায় ধর্ষণের দৃশ্য দেখেছেন কখনও...??? ভিলেন নায়িকাকে জোর
করে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে...অর্ধনগ্ন দেহ নিয়ে নায়িকা দৌড়াতে দৌড়াতে সা ধাক্কা...।
অতঃপর মিনিট পাঁচেক ঢিসুম ঢুসুম |নায়ক সাহেব ভিলেনের হাত থেকে নায়িকাকে বাঁচিয়ে শুরু
করে দেয় বাংলা প্রেম। অতঃপর শুরু হয় নায়ক কর্তৃক নায়িকার হালাল
তরিকায়ধর্ষণ...... আই মিন, ভিলেন আর নায়কের মধ্যে তফাৎ হচ্ছে, একজন জোর
করে ধর্ষণ করে। আরেকজন ভালোবেসে ধর্ষণ করে| এই আর কি| অসহায় নায়িকা চিরকালই ধর্ষিত| আর দর্শক শুধু দর্শন করেই বিনোদিত। আজ দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে তফাৎ একটাই| একদল
দেশকে জোর করে ধর্ষণ করে, আরেকদল দেশকে ভালোবেসে ধর্ষণ করে| এই আর কি| অসহায় বাংলাদেশ চিরকালই ধর্ষিত| আর জনগণ দর্শক হয়ে, শুধু দর্শন করেই বিনোদিত |”
আমার এই বন্ধুটি নিঃসন্দেহে বিশেষ জ্ঞানী, তাঁর প্রজ্ঞায় আমার বিন্দু মাত্র সন্দেহ নেই। অনেকেই তাঁর সেই স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুকের ওয়ালে, অনেকেই আবার বিস্তর প্রশংসার বুলি আওড়েছেন কমেন্টের জায়গায়। কিন্তু তাঁর স্ট্যাটাস্টি পড়ার পর মনের অন্তঃস্থলে একটা সম্পুরক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে...
-“প্রিয় বন্ধু আমার তাহলে কি ধরে নেব আমার ভাবীও প্রতি রাতে ধর্ষিত হচ্ছেন? সেটিও তোমার মাধ্যমে??”
এই প্রশ্নটি আমার তাঁর ফেসবুকের বন্ধুদের জন্যও প্রযোজ্য যাঁরা এই স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেও সাধুবাদ কুরিয়েছেন!
পুনশ্চঃ বন্ধুটি আমার খুব কাছের বিধায় প্রশ্নটি তাঁকে ফেসবুকেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করল না। আমার এই অপারগতায় আমি ক্ষমাপ্রার্থী।