মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি বিএনপি জানিয়ে এলেও পাঁচ বছরের আগে ক্ষমতা ছাড়তে নারাজ টানা দ্বিতীয় মেয়াদে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 21 Jan 2014, 04:59 PM
আগাম নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি কোনো দেশ বা সংস্থার কোনো ধরনের চাপ নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে গত ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুনরায় সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অধিকাংশ দেশ এই নির্বাচনে হতাশা প্রকাশ করে সব দলের অংশগ্রহণে নতুন করে নির্বাচনের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছে।
আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিদেশের কোনো চাপ রয়েছে কি না- মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মুহিত বলেন, “হোয়াট ইজ চাপ?
“আমরা ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকার, ৫ বছরই থাকব।”
নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির উদ্দেশে সরকার বলেছে, যদি তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ এবং সহিসংতা বন্ধ করে, তবে সংলাপের মাধ্যমে আগাম নির্বাচন হতে পারে।
দুই বছর পর নির্বাচন হবে- রাজনৈতিক মহলে এই আলোচনার কথা তুলে ধরা হলে মুহিত বলেন, “এটা কই শোনেন আপনারা। আমি তো কোথাও শুনি না।”
বিএনপির সমালোচনা করে মুহিত বলেন, “নির্বাচনে না এসে বিএনপি টোটালি ফুলিশ খেলা খেলেছে। জামায়াত সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সারা দেশে হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা চালিয়েছে বিএনপি।”
পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন ‘না’ করে দেয়ার পর অন্য কোনো দেশ বা সংস্থার আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন কি না- এ প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, “না, তহবিল সহায়তা চাইনি। তবে এডিবির কাছে টেকনিক্যাল সাপোর্ট বরাবরই চেয়ে আসছি।”
অর্থমন্ত্রী হিসেবে আগের মেয়াদে পদ্মা সেতুর কাজ শুরুতে ব্যর্থতা এবার ঢাকতে মরিয়া মুহিত বলেন, নিজেদের অর্থেই ৪ বছরে শেষ হবে এই সেতু নির্মাণের কাজ।
“তবে কেউ অর্থ সহায়তা দিতে চায়, তাহলে আমরা তাদের সহায়তা নেব।”
কেউ আসবে এমন ইঙ্গিত পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এখনো পাইনি। তবে কানাঘুষা শুনছি- এডিবি-জাইকা আসবে। দেখা যাক।আমরা কাজ শুরু করব। কেউ আসলে আসবে।”
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, “বাংলাদেশ ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকগুলোর স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের কাজ যেখানে থেমেছিল সেখান থেকে শুরু হবে।”
বাংলাদেশ বিমানকে ‘অপদার্থ প্রতিষ্ঠান’ অভিহিত করে তিনি বলেন, “জন্ম থেকেই এটি একটি বোঝা। তবে আমাদেরও দোষ (বিভিন্ন সময়ের সরকার) আছে। ঠিকমতো আমরা এই প্রতিষ্ঠানটির দিকে নজর দেইনি।”
ফেব্রুয়ারিতে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনার কথাও জানান মুহিত।