থাইল্যাণ্ডে অস্থিরতা সামাল দিতে সরকার রাজধানী ব্যাংককসহ আশেপাশের প্রদেশগুলোতে বুধবার থেকে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
Published : 21 Jan 2014, 05:44 PM
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে পদত্যাগে বাধ্য করতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাজধানী অচলের কর্মসূচিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ আন্দোলনের মধ্যে গত সপ্তাহের শেষ দিকে সহিংসতার পর সরকার এ পদক্ষেপ নিল। মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকের পর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। উপপ্রধানমন্ত্রী সুরাপং তোভিচাকচাইকুল বলেছেন, “পরিস্থিতি সামাল দেয়া এবং আইন প্রয়োগের জন্য মন্ত্রিসভা জরুরি অবস্থার ডিক্রি জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
এর ফলে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো কারফিউ জারি করাসহ সন্দেহভাজনদেরকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই গ্রেপ্তার করা, গণমাধ্যমে কড়াকড়ি করা, ৫ জনের বেশি মানুষের রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করার মতো নানা ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে।
ইংলাকের পদত্যাগের দাবিতে নভেম্বরের শেষ দিক থেকে থাইল্যান্ডে শুরু হওয়া আন্দোলন-বিক্ষোভে এ পর্যন্ত বেশকিছু মানুষ নিহত হয়েছে।
ইংলাক তার ভাই ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার কথায় দেশ পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এ কারণে ইংলাকের তাৎক্ষণিক পদত্যাগ এবং তার ডাকা ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন প্রতিহত করতে বিক্ষোভ চলছে।