চেহারাটা এমনিতেই যাচ্ছেতাই তারপর রঙটাও হয়েছে মাশাল্লাহ, সবই উপরওয়ালার দান। একবারতো আমার খালাত ভাই জাহাজি, ষ্টেশনারী দোকানে গিয়ে বলে “ ভাই এর কালারের একটা কলম দিন তো”। নে বাবা, ভাল প্রশংসা হল।
এইতো সেদিন, মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট করাবো বলে ফর্ম পূরণ করে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। মোটামুটি ফর্সা মতন এক লোক আমার সামনে তার ফর্মটা আগে অনলাইন করছে।
যে লোকটা কম্পিউটারে কাজ করছে সে হঠাত করে বলে উঠলো- “কি ভাই, গায়ের কালার ফেয়ার দিয়াছেন কেন? ব্রিটিশ পাসপোর্ট করাইতে আসছেন নাকি? এদেশে ফেয়ার বলে কারও কালার আছে নাকি? সবই ডার্ক হবে”।
নাহ! ভালই লাগলো কথাটা শুনে। কি এমন ইউরপিয়ান হয়ে গেছি যে গায়ের কালার ফেয়ার দিতে হবে! (যদিও আঙ্গুর ফল মাঝে মাঝে আমার কাছে টক বলেই মনে হয়)।
কলেজে পড়া অবস্থায় জুলফিকার আমাকে ডাকতো কোকো বলে। তবে সে ডাকের কারন অন্য। বাস্কেটবল খেলার সময় আমার সামনে বেচারার বল পেতে খুব কষ্ট হত। তাই বলে ভাববেন না যে আমি খুব ভাল খেলি। হঠাত করে নারকেল গাছের মত লম্বা হয়ে যাওয়াতে বল না পাওয়ার এই বিড়ম্বনা। আর তাতেই আমার এই নামের উতপত্তি, কোকোনাট ট্রি থেকে কোকো (তবে খালেদা জিয়ার ছেলে কোকোর থেকে আমার চেহারা যথেষ্ট ভাল বলেই আমার ধারনা)।
সুকুমার রায়ের মত "মন্দ নয় সে পাত্র ভাল" টাইপ তো অনেক প্রশংসা হল নিজের। শেষ একটা কথা দিয়ে শেষ করি।
আমার সে মাঝে মাঝেই বলে- “আমি বলেই এখনও আছি, না হলে তোমার কপালে আর কিছু জুটত না।“ এটার সাথে বেশিরভাগ বাঙালী নারীরই একমত হবেন বলে আমার ধারনা। তাই বলি কি, সবাই ই কোন না কোন ভাবে "মন্দ নয় সে পাত্র ভাল টাইপের" মধ্যেই পড়ে।