somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি ''হু'' ফিচারিং স্কাইপি লুল কথোপকপন ;)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা এক ছোট্ট বালিকা প্রশ্ন করিলো বালককে ,
"বড় হইয়া কি হইতে চাও নিষ্ঠুর এ ভূলোকে?"

বালক কহিল,
"বিবাহ করিবো আসমানের ঐ পরীকে , আমারে সে লইয়া যাইবে
রহস্যে ঢাকা দুল্যোকে.."

বালিকা কহিল,
"আকাশের পরী পাইবা তুমি কিসে ? সে তো আকাশেতে উড়িয়া বেড়ায়
বাতাসের সাথে মিশে "

বালক কহিল,
"বড় হইয়া পাইলট হব, যাইবো বাতাসের সাথে ..
পরীকে তখন নিয়া আসিবো পৃথিবীর মেঠো পথে .."
বালক জিজ্ঞাসু,
"তুমি বালিকা কি হইবার চাও ?

বালিকা তখন মুচকি হাসিয়া দোলাইয়া ঠোঁটের নাও ,
"বড় হইয়া হইতে চাই এমন এক পরী,
প্রতীক্ষায় থাকিবো কবে আসিবে আমার পাইলটের তরী .."

টুক করে স্কাইপির লাইনটা কেটে দিলাম। আমি চাই না আমার কারো উপরে 'বমি বমি' ভাবের উদয় হোক :-*


যাই হউক, দিন কয়েক আগে খেয়াল করলাম বিটীভী এর সাথে ফেসবুকে একযোগে শিশু শিক্ষা কার্যক্রম চালু হইছে। মজার কাহিনি হইলো এই ভিন্নধর্মী বিনোদনমূলক শিক্ষা কার্যক্রম সিসিম পুরের থিকেও পাব্লিক বেশি হুমড়ি খায়া দেখতেছে! বুঝলাম না কাহিনী। বিজ্ঞাপন নাই, নাই কোন স্পনসার কেমনে কি? এত পাবলিকের হুমড়ি খায়া দেখতেছে ক্যরে ? :-/যেই যামানা পরছে পোলাপাইন এত ভালা না যে, ভালা যিনিস হুমড়ি খায়া দেখবো! আমি আবার ভালা মানুষের দলে পরলাম কবে? :P পরিচিত কেও দেখেফেলার ভয়ে আমিও সেই প্রোগ্রামে মুখ লুকিয়ে প্রবেস করলাম। ও মরণ X( মনে করলাম এত মানুস হুমড়ি খায়া দেখতেছে সেটা নির্ঘাত কোন অ্যাডাল্ট এডুকেশন প্রোগ্রাম! ধুর ছাতা এইটা দেখি প্রাইমারি ইস্কুলের ২য় সাপ্তাহের ক্লাসের লিসন চলতেছে! X(( হেইডাও বুঝলাম মাগার কাহিনী হইলো “ক, খ, গ, ঘ” দিয়া ক্লাস সুরু কইরা আদি অক্ষর “ভ” তে শেষ হইলো ক্য? মাস্টারের উপরে পুরাই ফেডাপ X(( এইডা কিছু হইলো মাসটার? “হু”

লাস্টের লাইন পইরা তো পুরাই ইস্পিকার খায়া গেলাম! মাষ্টার তো সেই লেভেলের মাষ্টার বাংলা বর্ণমালা ক্লাস নিয়া সাইকোলজির কোর্সন পেপার দিতাছে :P এইডা কিছু হইলো “হূ” ?

মাস্টারের ছাত্র গুইলাও একেকটা ছাতুর দানা X(( নাহ, মাষ্টার সাহেবের ছাত্ররা ঠিক ঠাক মত লেখা পরা করে না! সিম্পল একটা কোর্সন করছে তাতেই ছাত্রের একজনের “মাথাই নস্ট” কমেট থুক্কু উত্তর। এই উত্তর দাতার ক্যারেক্টার নিয়াই আমার যত চিন্তা, বাবা নিজের পটুতে ভ্যজলিন লাগায়া ঘুরস ঠিক আছে, ক্যন মাইন্সের চরিত্র নিয়া কথা কস? যদিও এই ক্লাসের জন্য নাম রেজিস্ট্রেশন তো দুরের কথা ফর্ম’ই কিনি নাই তাও এইহানে সেই কোর্সন এর সমান্তরাল নৈবেত্তিক উরর দিলাম -_- [আমি আগেই কইলাম ভালা ছাত্র না, “হু” ]



১ নাম্বার প্রস্নের 'ক' উত্তর

অবহেলা কেউ সয্য করে না। প্রেমিকা হোক আর পেঁয়াজের ব্যাপারি হোক, সবাইকেই খাতির করতে হয়। অবহেলা করলে লাত্থি দিয়ে চলে যাবে।

১ নাম্বার প্রস্নের 'খ' উত্তর
নিম্নে ঠিক মেয়েটির না "মেয়েদের মানসিক" দিক গুইলা বর্না করা হইলো

১-মেয়েরা কোন ছেলেকে প্রোপোজ করে রিফিউজড হয় তাহলে না পাওয়ার কষ্টের চেয়ে তাদের আত্নসম্মানে ব্যাথা লাগে বেশী।

২-মেয়েরা প্রেমে পড়লেও সাধারণত জানাতে চায় না, তারা সবসময় চায় ছেলেটা তাকে আগে প্রোপোজ করুক।

৩-একটা ছেলে যখন কোন মেয়েকে প্রোপোজ করে তখন মেয়েটা ছেলেটার ইমোশন কিংবা ভালবাসা নিয়ে চিন্তা করে না। মেয়েটা ছেলেটার ভবিষ্যত ,স্মার্টনেস ও পারিপার্শ্বিকতাচিন্তা করে।

৪-আপনি একটা মেয়েকে প্রোপোজ করলে সে যদি রিফিউজ ও করে তবুও সে কিন্তু চাইবে না আপনি তাকে ভালবাসা বন্ধ করে দেন। সে চাইবে আপনি তাকে ভালবেসেই যান।

৫-অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েরা একটা ছেলেকে পছন্দ করতে অনেক সময় নেয়।কিন্তু ছেলেরা চট করেই একটা মেয়েরে পছন্দ করে ফেলে।

৬-রিলেশনশীপের মধ্যে একটা মেয়ে যখন ছেলেটাকে খুব ভালবেসে ফেলে তখন সে ছেলেটার প্রতি মাত্রাতিরিক্ত কেয়ারিং হয়ে ওঠে।আর প্রথম প্রথম ছেলেগুলা বেশ enjoy করে কিন্তু পরবর্তীতে সম্পর্ক দীঘদিন হয়ে গেলে এই অতিরিক্ত কেয়ারিং গুলাতে অসহ্য feel করে।

৭-রিলেশনের পর আপনার কোন ক্লোজ বান্ধবী থাকুক মেয়েটা কখনোই সহ্য করতে পারবে না।কিন্তু তার ক্লোজ বন্ধু থাকলে আপনাকে সহ্য করতে হবে।

৮-মেয়েরা চায় তারা বলবে আর ছেলেরা শুনবে।আর তারা চায় আপনি তার সর্ম্পকে সবসময় কথা বলেন।

৯-রিলেশনের পর মেয়েরা ভবিষ্যত ভাবতে ভালবাসে।আর ছেলেরা ভবিষ্যত ভাবতে ভয় পায়।তাদের বর্তমান নিয়েই অনেক চিন্তা করতে হয়।

10-রিলেশনের পর মেয়েদের পারসোনালিটি একটু হলেও কমে যায় ।আর ছেলেদের বেড়ে যায়।কিন্তু অনেক ছেলেই পারসোনালিটিহীন হয়ে যায় তাদের রিলেশন অবশ্য টিকে না

১১-সব শেষ কথা ভদ্র ও ভদ্রতে প্রেম জমে,অভদ্র ও অভদ্রতে প্রেম টিকে না তবে জমে,সবচেয়ে ভাল প্রেম জমে ভদ্র ও অভদ্রতে।:-P

= "হু" মাষ্টার বুঝতে হবে, ভন্ড বিপ্লবীরা চে গুয়েভা রেই চিনে মাষ্টার দ্য সূর্যসেন রেই চিনেন না "হু"

= পয়েন্টে আপনার দ্বিমত থাকতেই পারে কিন্তু কথাগুলো অনেকাংশেই সত্য

১ নাম্বার প্রস্নের 'গ' উত্তর

দূর্বল প্রজাতির ছেলে এবং মেয়েদেরকে সবল প্রজাতির মেয়ে এবং ছেলেরা নাকে দড়ি দিয়ে ঘোরায়। কারণ, দূর্বল প্রজাতি ছ্যাকার ভার বহন করিতে অক্ষম। ছ্যাকা দিলে তারা নাকের পানি চোখের পানি রাতের ঘুম হারাম করে কানতেই থাকে, কানতেই থাকে। যাকে বলে কেন্দে জারেজার হয়ে যায়। কেইস বেশি খারাপ হইলে, ঘুমের টেবলেট খায়। বাজারে অতিমাত্রার ঘুমের টেবলেটে ভ্যাজাল জনিত কারণে, পরবর্তীতে ওয়াশ দিতে হয়। আজাইরা টেকা পয়সা খরচ হয়।

সবল প্রজাতি ছেলে এবং মেয়েরা যদি সবল প্রজাতির মেয়ে এবং ছেলেদের সাথে প্রেম করে, তবে ই শুধুমাত্র এবং কেমবলমাত্র একজন কর্তৃক অন্যজনের ছ্যাকা খাওয়ার পসিবলিটিজ প্রবল।

প্রমাণিত হইলো, ছ্যাকা কঠিন হৃদয়ের ওপর বর্তায়, আর নরম হৃদয় হয়ে যায়, ছাগলের তিন নম্বর গাঁধা



১ নাম্বার প্রস্নের 'ঘ' উত্তর

একটি অর্ধেক পানি ভর্তি গ্লাস দেখে মানুষের প্রকাশভঙ্গি কেমন হতে পারে??..
.....
.....
নৈরাশ্যবাদী বলবেন – অর্ধেক খালি .
আশাবাদী বলবেন – অর্ধেক পূর্ণ .
একজন প্রকৌশলী বলবেন – পানির ঘনফলের তুলনায় গ্লাসটা বড়

মাস্টারের মর্জি হউক আমারে ফুল মার্ক না দিয়া পাস মার্ক দিক :((

পুনচ;- কোর্সেন পেপারে প্রথম দিকে “থার্ড পার্সন ফাস্ট পার্সন” একটু গোলমেল দৃষ্টি কটু পাকায়ে ফেলছে! আশা করি পরবর্তী কোর্সনে এই ভুল থাকবে না, নেক্সট কোর্সেন এর অপেক্ষায় রইলাম


উত্তর পত্র লিখতে না লিখতেই মোবাইলে কল আইসা পরছে, কি বিপদ! লেখা কি রিভিশন দিতে দিবোনা নাকি? :-* শুনছি মাষ্টারসাব নাকি খুব করা মানে ভালর ভালো মন্দের মন্দ! এম্মা রাত বাজে ৩টা, একি +১ দিয়া সুরু তার মানে আম্রিকান নাম্বার :-* হাবার মত রিসিভ করলাম



---ঐ স্কাইপি কাটলি ক্যন? :)

হ্যলো কে? :|

---আমি! আমি এলিটা ;)

তাইলে আমিও সাধক বন্য সঙ্কর নিমাই X( [গম্ভির গলায়]

---হায় হায় ! সইন্নাসি হইলেন নাকি? রাম ছাগল :P

হ্য মা! X( [গম্ভির গলায়]

---ইয়াক ! তুমি মা বলতেছো কারে? :-/

জগতের সমস্ত নারীরেই X( [গম্ভির]

---- বেক্কল নাকি ? :((

“নারী জন্ম অতি নিকৃষ্ট জন্ম” আমি আর পাইলটের লাইনে নাই

--- ওহ তুই অসহ্য! টু...... টু...... টু...... X( X(

/.............................................................../
_.|._ ১ নাম্বার প্রশ্নের বৈদ্য অক্ষর "ঝ" এর উত্তর মধ্যা আঙ্গুলি
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪০
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ড্রেনেই পাওয়া যাচ্ছে সংসারের তাবৎ জিনিস

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫০



ঢাকার ড্রেইনে বা খালে কী পাওয়া যায়? এবার ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর) একটি অভুতপূর্ব প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। তাতে ঢাকাবাসীদের রুচিবোধ অথবা পরিচ্ছন্নতাবোধ বড় বিষয় ছিল না। বড় বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×