আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি শেষবারের মতো উড়বে বাংলাদেশ বিমানের বহরে থাকা বিশ্বের সব শেষ ডিসি-১০ উড়োজাহাজ। এরপর গবেষণার জন্য জাদুঘরে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে এই উড়োজাহাজের উড্ডয়নের ইতিহাস।
Published : 23 Jan 2014, 10:47 PM
ঢাকা-কুয়েত-বার্মিংহাম রুটে ওই ফ্লাইটের পরই ৩০ বছরের পুরনো এই উড়োজাহাজের ঠাঁই হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের মিউজিয়াম অব ফ্লাইটসে।
২০ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি এভিয়েশন সংশ্লিষ্টদের দেখার জন্য উড়োজাহাজটি বার্মিংহামে রাখা হবে বলে বৃহস্পতিবার বিমানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের এভিয়েশন উত্সাহীরা এ উড়োজাহাজ সম্পর্কে জানতে চায়। এ কারণেই আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি উড়োজাহাজটি দিয়ে তিনটি `সিনিক ট্যুর ফ্লাইট’ চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি ট্যুর ফ্লাইটে ১৪৪ জন যাত্রী থাকবে।
এই উড়োজাহাজের শেষ ফ্লাইটের টিকিট শুধু বিমানের ওয়েবসাইটে (www.biman-airlines.com) পাওয়া যাবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেভিন স্টিল বলেন, “প্রকৃত এভিয়েশন উত্সাহীদের ভ্রমণের আনন্দ দিতেই শুধু ওয়েবসাইটে টিকিট দেয়া হচ্ছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাকডোনেল ডগলাস নির্মিত ডিসি-১০ উড়োজাহাজ বর্তমানে বিশ্বের আর কোনো বিমান পরিবহন সংস্থা ব্যবহার করে না। এ কোম্পানির শেষ ডিসি-১০ তৈরি হয়েছিল ১৯৮৮ সালে।
বিমানের জনসংযোগ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৯ সালের ৭ জানুয়ারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে প্রথম একটি ডিসি-১০ উড়োজাহাজ যুক্ত হয়, যার নাম রাখা হয় ‘নবযুগ’।
বিমানের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে বোয়িংয়ের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কিনতে চুক্তি করে বিমান।
ওই চুক্তি করার সময়ই ডিসি-১০ উড়োজাহাজটি নিজেদের জাদুঘরে রাখতে আগ্রহ দেখায় বোয়িং কর্তৃপক্ষ।
ওই কর্মকর্তা বলেন, “ডিসি-১০ উড়োজাহাজগুলোর স্থায়িত্ব বোয়িংয়ের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণেই তারা উড়োজাহাজটি নিয়ে গবেষণা করতে চায়।”
ওয়াশিংটনে ১৯৬৫ সালে স্থাপিত বোয়িংয়ের ‘মিউজিয়াম অব ফ্লাইটসে’ বর্তমানে দেড় শতাধিক উড়োজাহাজ রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় চার লাখ দর্শনার্থী এ জাদুঘর পরিদর্শন করেন।