আমার ক্রিকেট! আমার বাংলাদেশের ক্রিকেট!!
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ব্লগে এর আগে ৭৫টা পোষ্ট করেছি, কিন্তু এত কষ্ট, এত যন্ত্রনা বুকে নিয়ে আর লিখিনি।
ডুবে যেতে থাকা মানুষ বাঁচবার জন্য খড়কুটো আকড়ে ধরে, গরিবের ঘরে শলায় বানানো পুতুলও দুঃখ কষ্টের সঙ্গী হয়। আমাদের দেশটা দরিদ্র। আমরা দিন আনি দিন খাই টাইপ মানুষ। দৈনন্দিন দুঃখ কষ্ট আর জাতীয়-ব্যক্তিগত হতাশার মাঝে ক্রিকেট আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। ক্রিকেটকে ধারন করেই এদেশের কোটি কোটি তরুন রঙ্গিন ভবিষ্যতের স্বপ্ন বুনে। আমরা বিশ্ব ক্রিকেটকে একদিন শাসন করব, আমাদের বীর ক্রিকেটারদের কাছে বাকি সব দল নাকানি চুবানি খাবে- এই স্বপ্নই যেনো জাতি হিসেবে আমাদের সামনে আগানোর সাহস যোগায়।
সেই ক্রিকেট, আমাদের অনেক স্বপ্নে বোনা ক্রিকেট, আমাদের শত নির্ঘুম রাত, চোখের জল, কোটি ভালোবাসা আর মায়ায় জড়ানো ক্রিকেটকে ফুটপাতের পপকর্নের মতন বেঁচে দিতে যাচ্ছেন পাপনেরা!! এটা কি সহ্য করা যায়? পাপন,আকরাম,দুর্জয়- যাদের বলতে গেলে আমাদের একই মায়ের পেটের ভাই জ্ঞান করতাম, আমাদের একই বাঙ্গালী রক্তের ধারক-তারা কিভাবে পারলেন আমাদের জাতির সাথে এমন প্রতারনা করতে? কিভাবে??
আমরা কি শেষ হয়ে গেছি? আমাদের কি আর কোনো জাতি স্বত্বা নেই? নাকি বিসিবি এখন বিসিসিআই-এর কাছে বিক্রি হয়ে গেছে,বিক্রি হয়ে দাস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে?
পাপন বলেছেন, "আগামী ১০ বছর টেস্ট খেলেও নাকি আমরা ৮ নাম্বারে আসতে পারবোনা"। তাঁর দাবি, বাংলাদেশ যদি এখন টু টায়ার সিস্টেমকে সাপোর্ট না দেয় আর বাকিরা যদি দেয় তাহলে বিসিসিআইয়ের রোষানলে পড়তে হবে আমাদের।
কি বলব এটাকে, নিজদেশের ক্রিকেটের প্রতি স্পর্ধা দেখানো, নাকি মেরুদন্ডহীনতা, নতজানু আত্মসম্মান? শুনেন ভাই, যাদের মেরুদন্ড আছে তারা এক কূলই রাখে এবং শক্ত করে ধরে রাখে। আর যাদের মেরুদন্ড নাই তারাই দুইকূল রাখার চেষ্টা করে আর শেষে দুইকূলই হারায়। আপনারা দ্বিতীয়টা বেছে নিচ্ছেন।
তাহলে আর কি, বিসিবি বিসিসিআই-এর সাথে একীভূত হয়ে যাক। বিসিবি'র আর যেহেতু "বাংলাদেশের ক্রিকেট"-এর স্বার্থ দেখার মেরুদন্ড নাই,তারা ভারতের স্বার্থই দেখুক। আমাদের আর কিছু রইলো না। আমরা ক্রিকেট প্রেমীরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
আমি অবাক হয়ে যাই যখন শুনি আকরাম খান টু টায়ার প্রস্তাবকে সমর্থন করছেন। এই আকরাম খানই কি সেই আকরাম খান নন,যিনি নির্বাচকদের উপর বোর্ডের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে পদত্যাগ করতে চেয়েছিলেন? এখন তার প্রতিবাদী স্বত্বা কোথায়?
৭১-এ ক্রিকেটার রাকিবুল হাসান ‘জয় বাংলা’ স্টিকার নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন। আমরা চাই আমাদের মুশফিকুর রহিমরাও ২৭ তারিখ শুরু হতে যাওয়া ম্যাচে ‘জয় বাংলার ক্রিকেট’ স্টিকার নিয়ে মাঠে নামুক। আমরা সেই স্টিকার বুকে ধারন করে মাঠে যাব খেলা দেখতে। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেব। ব্লগে পোস্ট দেব। প্রতিবাদী টিশার্ট বানাবো।দলমত নির্বিশেষে সবাই আওয়াজ তুলব।এই একটা জিনিস ‘ক্রিকেট’ই তো পারে আমাদেরকে সব ভেদাভেদ ভুলে এক করতে। জয় আমাদের ক্রিকেটের হবেই।
জয় ক্রিকেট।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
কে কাকে বিশ্বাস করবে?
করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।
সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন
বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়
গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন
বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন
সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?
আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?
রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন