somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুভ নববর্ষ ! মদ নেশা যৌনাচার ! কি চমৎকার করে নববর্ষ বরণ !

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
নববর্ষের উদ্যমতা শেষে মহানগরি, এই কুয়াশা ভেজা হিমেল প্রভাতে এখনও চরম নিদ্রায়। সবাইকে প্রথমেই নববর্ষের শুভেচ্ছা।




আমি জীবনের বিবর্তনধারায় অবিশ্বাসি হলেও, সামাজিকতা মুল্যবোধ ইত্যাদির বিবর্তন চোখে দেখেই বিশ্বাস করছি। তার ধারাবাহিকতায় নববর্ষ পালনের প্রসঙ্গটা চলে আসছে।


যে নদী দিক পরিবর্তন করতে অক্ষম সে মরে যায়। তাই সমাজকে মৃত্যু থেকে বাচাতেই সামাজিক পরিবর্ত্তনের প্রয়োজন। সময়ের সাথে সব কিছু যে বদলায়, এটা কোন মিথ না।

গ্রাম্য অর্থনীতি থেকে শহুরে অর্থনীতির উত্তরণে আমাদের অর্থনীতির চাকা এখন অনেক সবল। সে কারণে কৃষি প্রধান বাংলাদশের সংস্কৃতির চালিকা শক্তি এখন নগর। মোটা দাগে বলা যায় ঢাকা শহর কেন্দ্রিক।



আর অর্থনৈতিক উন্নতির সাথে সাথে সাথে সাথে পরিবর্তন
আসবেই। সেই পরিবর্তনের ছোয়া সমাজ, সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার মধ্যেও পড়বেই।

আমরা যতই চেচামেচি করি না কেন, এই পরিবর্তন রোখা সম্ভব নয়।

স্বাধীনতার পর সামান্য প্রেমের চিঠি চালাচালিকে কেন্দ্র করে এক সময় তুলকালাম কান্ড ঘটতে যেতো।



আর এখন লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে ললিপপ চূষার ঘটনা দৃশ্যমান হলেও,ঘটনার পাত্র পাত্রির মান সম্মান বা সামাজিক অবস্থানের কোন ক্ষতিবৃদ্ধি হয় না। এদের অনেকেই আবার তারকা খ্যাতিও অর্জন করে ফেলে।

আমাদের অর্থনীতি পুজিবাদি হবার সুবাদে, আগেও ইংরেজি নববর্ষ পালন করা হতো। তবে কিনা পয়সা কড়ির অভাবের কারণে এই রকম জৌলুস বা ব্যাপকতা দেখা যেতো না।

আগে যারা পালন করতেন, তারা সমাজের উচু তলার মানুষ। হরহামেশা বিদেশ ঘোরা লোক। এই সংস্কৃতিটা মুলত তাদেরই আমদানি করা।

অর্থনৈতিক বিবর্তনের কারণে কালো হোক বা ধলা, দেশে এখন লাখ লাখ কোটিপতি। পয়সা থাকলে দুনিয়া মেলে। তাছাড়া পশ্চিমাদের শিক্ষা এবং পুজিবাদ গ্রহন করবো, আর ভোগ বিলাস রপ্ত করবো না তাই কি হয়?

তাছাড়া কর্পোরেট পুজিবাদ মুনাফা ছাড়া কিছু বোঝে না। তাই নব্য ধনীর শখ আল্লাদের আগুনে ঘি ঢেলে দেয় তারা।

জাতি হিসাবে আমরা সব সময়েই অনুগামি। তাই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটলেও নিজস্ব ভাষা সংস্কৃতি এবং নৈতিকতার উন্নতি আমরা ঘটাতে পারিনি। তাই যতই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে, উল্লেখিত বিষয়গুলিতে আমাদের ততই অধোঃপতন হচ্ছে।

আমাদের ভাষা এখন হিন্দি ইংরেজির মিশেলের জগাখিচুরি। সংস্কৃতি হলো ডিজে-আর জে এবং ডিজুসের তরল মিশেল।

হ্যা, ফেব্রুয়ারি আসলে লোক দেখানো ভাষা প্রেম কিংবা পয়লা বৈশাখে হয় প্রভাত ফেরি অথবা রবিন্দ্র সংগিত উপভোগে বাঙ্গালিত্ব প্রকাশের সুযোগ কেউ কেউ নিয়ে থাকে বটে !

তাতে কিছু যায় আসে না।

আর নৈতিকতার কথা কি বলবো?

প্রেমের মানেই তো অবাধ যৌনাচার। কোন কথা নেই। ছেলে হোক বা মেয়ে হোক, যৌবনে সামান্য নাড়া পড়লেই হলো।

কবির ভাষায় ত্যাগেই মুক্তি জ্ঞান করে শুরু হয়ে যায়। থামাথামি নেই, জড়তা নেই্‌ দ্বিধা নেই, ভয় নেই। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে, ১০০ ঘাটের জল খেলেও নৌকা এক সময় তীড়ে ভেড়েই।

তাহলে আর সমস্যা কি?

আর সব খুইয়ে বিয়ের পিড়িতে বসার আগে সবাই সৎ ও সতি হয়ে যায়। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ রহস্যটি যখন আগেই উন্মোচিত, তার কাছে বিয়ের আনন্দটা পানসে হয়ে যেতে কতক্ষণ?

পাত্র পাত্রি তখন স্বাদ বদলাতে চায়। অনাচারের পেয়ালা পুর্ণ হতে থাকে। এর পর হয় বিবাহ বিচ্ছেদ। কিংবা সংসার করার নামে একে অন্যকে প্রতারণা করে চলা।

এভাবেই সংসার নামের খুটিটি আলগা হয়ে যায়। খুটির পর খুটির ভাঙ্গনে সামাজিক বাধণগুলি হয়ে যায় নিতান্তই ঠুনকো !

শুধু যৌনাচারের কথাই বলি কেন? অবক্ষয়ের আগুণে পুড়েনি এমন কোন ক্ষেত্র কি আর আছে?

এক জন আরেকজনকে মেরে হলেও নিজে বাচতে চায়। শুধু বাচার কথা হলেও সান্তনা থাকতো। কে কাকে মেরে কত উচুতে উঠবে, তারই কুৎসিত প্রতিযোগিতা চলে। অথচ এই উচ্চতার কোন সীমারেখা কিন্ত নেই। এর পরেও এই অসুস্থতা চলছেই।

আপনার টাকা আছে, প্রভাব আছে, ক্ষমতার জোর আছে, চরিত্রে দোষ আছে, তাই আপনি মদ খেয়ে নেশা করে অবাধ যৌনাচার করে ক্লান্ত শ্রান্ত পরিশ্রান্ত দেহ মনে নিশ্চিন্ত ঘুমিয়ে নববর্ষকে আপন করে নিতে পারেন।

কিন্ত একটি ক্রমাগত নিমজ্জিত অনুগামি জাতির অনেকেরই তো সাধ আছে, সাধ্য নেই। তারা কি করবে? তারা ছিনতাই করবে, সন্ত্রাস করবে, পাকে জড়িয়ে পড়বে। কেননা, তারা আপনাকেই অনুসরণ করতে চায়। ভোগের মত এমন চরম আকর্ষনীয় আর কি কিছু আছে?

এর বলি হবে ক্ষমতা প্রভাবহীন মানুষ ! ক্রমাগত পিছু হটতে হটতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে এই সাধারণ মানুষগুলিই হয়ে উঠবে অপ্রতিরোধ্য ! তাদের ক্রোধের আগুণে কত রাজাধিরাজের পতন হয়েছে।

আপনাদের অর্থ, বিত্ত সম্পদ মেধা এসব কি সুপথে পরিচালনার জন্য ব্যয় করা যায় না। মানুষের জন্য না হোক, একটি স্বাধীন দেশের জন্য। লাল সবুজ ঐ পতাকার জন্য। যা অর্জিত হয়েছিল লাখ লাখ সাধারণ মানুষেরই আত্মত্যাগের মাধ্যমে?

অটঃ; জাতিয়বাদি ব্লগাররা এই পোস্টে একটু আওয়াজ দিয়ে যাবেন দয়া করে।
৪৮টি মন্তব্য ৪৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো - ছবি ব্লগ

লিখেছেন শোভন শামস, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:১৯

"পেইন্টেড লেডিস অফ সান ফ্রান্সিসকো", কিংবা "পোস্টকার্ড রো" বা "সেভেন সিস্টারস" নামে পরিচিত, বাড়িগুলো। এটা সান ফ্রান্সিসকোর আলামো স্কোয়ার, স্টেইনার স্ট্রিটে অবস্থিত রঙিন ভিক্টোরিয়ান বাড়ির একটি সারি। বহু... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×