somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামাজিক যোগাযোগ ও বিনোদনের উৎস কে নিরাপদ রাখা :: (পর্ব-১)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখনও এমন মানুষ পাওয়া দুঃস্কর নয় যারা বিনোদন বলতে বোঝেন কৌতুক কে। আর এক শ্রেণী তো কৌতুক বলতেই বোঝেন অশানীল কোনো কিছু। আবার অনেকে নিছক প্রেম করার উদ্দ্যেশ্য নিয়েই ফেসবুক রাজ্যে সাঁতার দেন। কেউ কেউ নিজের ভিতরের অশ্লীনতাকে সবার মাঝে বিলিয়ে দেবার কুৎসিত তৃপ্তি পেতেই ফেসবুকের মজা ভেবে থাকেন। এই সব রুচির মানুষদের সহযে চেনা যায়। সচেতন মানুষ তাদের এরিয়ে গিয়ে নিরাপদ থাকতে পারেন।

কিন্তু যারা এক্সপার্ট পাজির দল। যেমন ধরুন একটি মিথ্যাকে এমন এক কৌশলে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করলো যে সেই মিথ্যাই একদিন কাল হয়ে দাঁড়ালো। এই মানুষগুলোই বেশী ভয়ঙ্কর!

স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে – এমন একটু-আধটু সামান্য মিথ্যা বা রটনায় কি এমন ক্ষতি হতে পারে? দেখুন রটনা হলো গুজবের চেয়েও বেশী মারাত্মক। গুজবের মাঝে একটি সহজ কন্ডিশন থাকে যে যদি একটি গুজবকে মানুষ আপতদৃষ্টিতে যদি সত্যি বলে বিশ্বাস করে তাহলে সেই গুজবের সঙ্ক্রামন ও ক্ষয়ক্ষতি বেশী হবে। আর যদি গুজব হালকা ধরনের হয় তা মানুষ অবিশ্বাস করে বরং গুজবকারীকেই খারাপ বলে জানবে। গুজব গুজবই। গুজবের বিলুপ্তি ঘটবেই।

কিন্তু রটনা ব্যাপারটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করে মানুষের সরল মনের আকাশে কালো কালো মেঘের সৃষ্টি করে। রটনায় রটনায় সিক্ত হয়ে যখন সেই মেঘ গুরুগম্ভির হয়ে ঝড়ে পরে তখন তা শুধু বারিধারার বৃষ্টি নয় এসিড বৃষ্টি হয়েও ঝড়তে পারে।

দেখুন একটি শিশু, কৌশর বা সদ্য-যৌবনা মন ফেসবুক বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ নামক খেলায় আনমনে মেতে থাকতে চায়। তখন যে তার চোখ যে কোনো মেয়ের স্তনের দিকে যাবে না কিংবা যৌনতার ভাজ যে উৎসুক মন খুঁজবে না- তার তো কোনো গ্যারান্টি নেই। মানুষের মন কি কি চায় তা তো আপনারা নিজেদের দিয়ে অথবা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই অনুভব করতে পারেন। তারপরও এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ কেনো এ ব্যাপারে সিরিয়াস হয় না।

সিরিয়াস না হওয়ার ব্যাপারে অনেক যুক্তি হয়তো দেয়া যাবে। এর প্রধান যুক্তি হলো আমাদের সামাজিক বিনোদন বলতে ভুল ধারণা ও পঙ্গু পরিবেশ। দেখুন আমাদের এই নিরিহ মানুষগুলোর উপর এই নির্মম ও নির্দয় উপনিবেশ, সম্পদ লুন্ঠন, শোষন, অসুস্থ ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, বাজে শিক্ষা ব্যবস্থা ও শাসন ব্যবস্থার অদূরদর্শিতায় এমন ভাবে বাড়তে দেয়া হয়েছে যাতে আমাদের মধ্য এমন করে ভাবাটাই বরং স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমি বার বার বলেছি। এমন কি আমার গুরু নজরুল সহ অনেক সত্যদ্রষ্ঠা অনেক আগে থেকেই উপলব্ধি করেছেন যে ইঙ্গ-মার্কিন পলিসি দিয়ে যে মিথ্যাচার ও বিভিন্ন অপকর্ম মোকাবেলার নামে যে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়- তা মিথ্যে জ্ঞানে ভরপুর। কারো সম্পদ লুটে খাওয়া, সামান্য ১টি ব্যাক্তিরও স্বাধীনতা খর্ব করা হলেও তা সত্যের পরিপন্থি পলিসি বলে পরিগনিত। সত্যজ্ঞাণের বাইড়ে যে সব পলিসি গ্রহন করা হয় তার পরিমান কোনো কালেই মানব কল্যানের জন্য মঙ্গলদায়ক হওয়া সম্ভব নয়। অন্যের স্বাধীনতা বিনষ্ট করে যারা নিজেদের স্বাধীন রূপের জানান দিতে চান, সে জাতি হয়তো ছল-চাতুরীতে ওস্তাদ হতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে পূর্ণ স্বাধীন নয়। তাই তো যুগে যুগে কালে কালে মহামানবরা তাদের সত্যকে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষকে এই মিথ্যে কৌশল থেকে মুক্ত করে চিরস্থায়ী কল্যানের পথ দেখিয়ে চলেছেন। যারা সেই সত্যকে তার হৃদয় মন্দিরে দেবীতার আসনে বসিয়ে পূজাজ্ঞানে ধ্যানের মাধ্যমে নিজের অন্তরে দেবতার জানান পেতে সক্ষম হয়েছেন- তারাই মূলত মানবজাতির কান্ডারী বা সত্য যুদ্ধের সৈনিক। এই সৈনিক যদি দাবা খেলার পন এর মতো এক চাল এক চাল সামনে এগিয়ে নবম চাল পর্যন্ত গিয়ে তারপর মহাক্ষমতাধর কুইনে রুপান্তরিত হয়ে মানবজাতির কিংকে যথাযোগ্য সিকিউরিটি দিতে পেরেছেন। আর যারা অর্ধপথে হারিয়ে গেছেন তাদের ফলো করলেও যে সত্য জ্ঞান সুন্দর-মঙ্গল ছাড়া যে অমঙ্গল হয় না। যদি সত্য ছোট হয় তবুও সে ইউনিট সত্যই। আর মিথ্যে দৈর্ঘ প্রস্তে যত বড়ই হোক না কেনো তা ভঙ্গুর। আজ হোক কিংব কাল হোক সেই মিথ্যা চুর্ণবিচুর্ণ হয়ে যাবেই।

আজ সময় এসেছে বন্ধু! উপলবদ্ধি করুন অনাগত সেই মিথ্যে ও অসুন্দর ভবিষ্যৎ কে। যা আমাদের সিকিউরিটি ও মুক্তজ্ঞান বিকাশের জন্য দারুন হুমকি হয়ে ঝড়ের বেগে ছুটে আসার প্রতিক্ষায় আছে। এখনই যদি নির্ভুল ও সত্যিকারের আন্তরিকতা নিয়ে মোকাবেলার জন্য জরুরী পদক্ষেপ নেয়া না হয় তাহলে মাঝে মাঝে ছোট খাটো ঝড়ের মাধ্যমে সেই বিশাল ঝড়ের জানান-ধ্বামামা কম্পিত সুরে বেজে উঠে তারপর আসবে সেই মহা ধ্বামামা।

আজ ইন্টারনেটে বোমা বানানোর প্রায় সব কৌশল পাওয়া যাচ্ছে। আপনারা একটু ব্লাক নেট বা টরের জগতে ঘুরে আসলে দেখবেন সব ধরনের ক্ষতিকর জিনিসই মানুষের হাতের নাগালে। এতো খারাপ সহজলভ্য হলেও তেমন কোনো ভয় থাকতো না যদি না আমাদের মাঝে এতো কুলঙ্গার অবৈধ ভাবে এতো এতো সম্পদের মালিক বনে না যেতো। আমি বলি বেশী টাকা বা সম্পদ রাখার অধীকার শুধু তাদেরই আছে যারা প্রকৃত পক্ষে সত্যজ্ঞানে মানব মঙ্গলে ও শান্তিতে বিশ্বাসী। এমন মানুষের যদি লক্ষ গ্রহ ভরাও সম্পদ থাকে তা দ্বারা আর যাই হোক মানুষের কোনো অকল্যান সাধিত হবে না। এই অযোগ্য লোকদের বেশী সম্পদের প্রধান কারণ বিশ্বব্যাপি দূর্ণীতিকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে লালিত করা ও পরিবারতন্ত্র। আজও আমরা নেতার সন্তান কে নেতা হিসেবে মেনে নিতে পছন্দ করি। একজন নেতার প্রধান গুন হলো সৎ নেত্রীত্রের যোগ্যতা থাকা। যোগ্যতার উত্তরসুরি হতে হবে যোগ্যতা দিয়ে শুধু বির্য্যের দ্বারা নির্ধারিত প্রজন্ম নয়। যিনি সকল প্রজন্মর সমস্যা কে তার অন্তরে ধারণ করে শান্তি পূর্ণ সমাধান দিতে সক্ষম তিনিই জননেতা হবার যোগ্যতা রাখেন।

এন্টারটেইনমেন্ট এক জিনিস আর বিজনেস পলিসি/ বিজনেস ট্রেড ভিন্ন জিনিস। যখন দু’টো জিনিস একদম কাঁধে হাত দিয়ে গলাগলি করে অভিন্ন উদ্দ্যেশ্য নিয়ে সামনে এগিয়ে আসে তখনই তাতে করে অমঙ্গল নেমে আসে। সেই অশান্তি তিলে তিলে অগ্নীরূপে সভ্যতাকে ঘায়েল করে। যেমন ধরুন ঝর্ণাধারা পাহাড় হতে নেমে এসে অপরূপ সৈন্দর্য্য সৃষ্টি করে। শুধু জলের ধারা পাহাড় বেয়ে নিচে নেমেই সৈন্দর্য বিকাশিত করে সেই সাথে মিষ্টি পানিও উপহার দিয়ে মানুষের চাহিদাও মিটায়। এবার কল্পনা করুন পাহাড় আর ঝর্ণা যদি দুটোই একসাথে প্রবাহিত হতো তাহলে কত্ত বড় অসংগতি ও ক্ষয়ক্ষতি হতো। তাতে বিজনেস এর সাথে এন্টারটাইনমেন্ট মিলে মানুষের স্বাভাবিক জীবন জাপনের উপরই মহাদূর্যোগ নেমে আসাই সম্ভব বলে পরিগনিত হতো সাথে সাথে সৌন্দর্য্যের কোনো চিহ্নই থাকতো না। আজকে এই দূর্য্যগ কিন্তু এখানেই। আমরা বিনোদন ও মনের খোরাকের সরল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে ব্যাবসায়ীক ফায়দা নেয়ার জন্য সদা তৎপর। শুধু বিনোদনের যোগান দিয়েও ব্যবসা করা সম্ভব তাতে মুনাফা হয়তো সামান্য হবে কিন্তু এর ফল হবে মিষ্টি। সত্য সুন্দর ও শিক্ষার উৎকৃষ্ট ব্যবহারের মাধ্যমে যে বিনোদন এর জগত সৃষ্টি করা যায়- সেই জগত কখনও হারায় না। এই রকম সেবা দিলে মুনাফা কম হলেও তা চিরস্থায়ী ভাবে মানুষের মনকে রাঙানোর যোগ্যতা রাখবে।

আমি ফেসবুক, টুইটার, বিভিন্ন কমিউনিটি ব্লগের নির্ভেজাল ব্যবহারের ব্যাপারে আশাবাদি। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি যৎসামান্ন কিছু ব্যবস্থা নিলে এই সুন্দর বাগানে কুৎসিত-অসুন্দর-মন্দের প্রভাব ঠেকানো সম্ভব। এগুলোই স্থায়ী ভাবে মানুষের মনকে আরো সুন্দর করে মানুষকে নির্ভেজাল বিনোদনের পাশাপাশি মানবকল্যান ও শান্তির জন্য কাজ করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে স্পষ্ট কিছু নীতিমালা তৈরি করতে আমি বদ্ধ পরিকর। তার আগে আমার কাছে এসব প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিজ উদ্দ্যোগে সাহায্য চাইতে হবে। তারপর আমি সেবা, প্রতিষ্ঠান, কাজের ধরণের কথা ভেবে সমাধান দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ্। আমাদের একটি প্রধান ভ্রান্তি হলো কোনো বিষয়ে খারাপের আবির্ভাব হলে ঐ বিষয়কে এরিয়ে গিয়ে নতুন এক ভালো মনে করে বাজের জগতে পা দেই।

নীতিমালার কথা বলছি কেনো জানেন?
যখন দেখবেন আপনার বাহারী-রঙীন-সুন্দর-গুলবনের গুলবদনে কিছু অসভ্য নিষ্ঠুর ভয়ঙ্কর যন্ত্রু-জানোয়ার দ্বারা মাঝে মাঝে আক্রান্ত হচ্ছে। তখনই প্রয়োজন হলো একটি সুঠাম বেড়া দেয়া বা বেড়া মেরামত করা। কিন্তু বাগান নষ্ট করা ও বিলুপ্ত ঘোষনা করা ঠিক না। বা ঐ বাগানের বৃক্ষ অন্য স্থানে সরিয়ে নিলেও পোকা কিন্তু পাত্তা পাত্তা বোটায় বোটায় থেকে যাবে।

সামাজিক যোগাযোগ ও বিনোদনের সমস্যার কথা অনেক বললাম এবার বলবো সমাধানের কিছু উপায়। একবারে লিখলে বেশীরভাগ অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরা সম্ভব হবে না। তাই একাধিক পর্ব আকারে দিয়ে দিবো।

ফেসবুকের মধ্যে অনেক বেশী পয়জনের প্রাদূর্ভাব লক্ষ্য করা যায়। তাই এগুলো চিহ্নিত করা প্রধান কাজ। খারাপ ও অমঙ্গলকে পুরোপুরি চিহ্নিত করতে না পারলে নিশ্চিহ্নের প্রশ্নই আসে না। খেয়াল করে দেখতে হবে আপত দৃষ্টিতে কোনো বড় ধরনের সমস্যা মনে হচ্ছে না- এমন কোনো বিষয় কে এরিয়ে গেলে চলবে না। যেহেতু বিনোদন একটি গ্লোবাল বিষয় তাই এখানে কোনো একক জাতি বা বড়-ছোট, ধনী-গরীব, উন্নত-অনুন্নত দেশের আইন ও বিশ্বাসের প্রতি পক্ষপাত করলে সমস্যা এড়ানো সম্ভব নয়। যেমন ধরুন একদম গরীব, শার্ট খুললে খালি অনাহারি পেট দেখা যায় এমন একজন আফ্রিকানের ভিতরে যে মন থাকে সেইরকমই একটি মন আছে জাতি সংঘ মহাসচিবেব। দেখাগেলো জাতিসংঘ মহাসচিব বিনোদন নিতে গেলে তার ভিতরের জেলাপীর প্যাঁচের মধ্য বিনোদন পরে বিকৃত স্বাদ রোচতে পারে আবার ঐ গরিবের মধ্যে যে ধণী মনটি বাস করে তা নির্ভেজাল ও জেলাপীর প্যাচ মুক্ত হতে পারে। অর্থনীতি দিয়ে হয়তো বিশ্বমায়ের সন্তান কান্ট্রিগুলোর ইকোনোমিক্যাল অবস্থান দেখা যেতে পারে। ইউনাইটেড রাজ্য সমূহকে পাশাপাশি রেখে দেখা যেতে পারে কোন রাজ্যের চেয়ে কোনো রাজ্য বেশী শক্তিশালী বা প্রভাবশালী। কিন্তু যদি বর্তমানের প্রচলিত সামাজিক অসাম্য অবস্থান থেকে গরীব মানুষের মনের রাজ্যের সম্পদ আর ধনী মানুষের মনের রাজ্যের সম্পদের ইকোনোমিক্যাল ও ট্রেড ভ্যালু নির্ধারণ করতে চান তাহলে তা সম্ভবের চেয়ে অসম্ভব বেশী। আজকাল মানুষ মানুষ কে দেখেই বিচার বিবেচনা করে সাথে সাথে রেজাল্ট বেড় করে ব্রেনের মধ্যে মিথ্যে রিপোর্টের প্রিন্ট কপি সংরক্ষন করে। যাচাই করার প্রয়োজনও বোধ করে না যে আমি এই অসত্যকে কিভাবে মগজে ঢুকিয়ে মগজটাকেই যে মিথ্যে জঞ্জালে পরিনত করে ফেলেছি। তাই ইন্টারনেটের প্রাদুর্ভাব দূর করার প্রক্রিয়ায় সবার আগে পুরো বিশ্বের সকল জাতি স্বত্ত্বা ও ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর সম্মান দেখিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। একমাত্র আল্লাহ কে ভয় করে তাওহিদের প্রতি পূর্ণ আস্তা নিয়ে সত্য জ্ঞানে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে ভন্ডামি করলে তাতে ধর্মেরও বড় কোনো ক্ষতি হয় না আবার যে জাতির বাক স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে তাদেরও বড় কোনো উপকার হয় না—বরং মানব সন্তানদেরই শান্তি বিনিষ্ট হয়।

আমি যদি অযুক্তিক ভাবে কোনো মানুষকে শুধু মাত্র তার সাংস্কৃতি, সামাজিক অবস্থা, ধর্মীয় বিশ্বাস ও আকৃতি নিয়ে ভৎসনা করার নাম আর যাই হোক না কেনো বাক-স্বাধীনতা না। আমি বিশ্বাস করি মানুষের মনে আঘাত দেয়া যায়। যদি সে আঘাত মানবতার মুক্তি ও সত্য-সুন্দর শান্তিকে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে হয় তাতে করে ঐ মানুষটি সাথে সাথে উপলব্ধি করতে না পারলেও তিনি যেদিন সেই সত্য আঘাত কে হৃদয়ের সুরের মাধ্যমে জাগ্রত করতে পারবেন তখন সেই আঘাত দেয়া দেবতার চরনেই তার ফুল-চন্দন-সুগন্ধী-প্রসাধ দিয়ে নমষ্কার করবে।

বাংলাদেশ পুলিশ কে আমরা খারাপ বলতে ভালোবাসী। বাংলাদেশের চলচিত্রকে আমরা খারাপ বলতে ভালোবাসী। আই.ই.এল.টি.এস এর প্রাকটিস করতে যাওয়া কোনো ধনীর দুলাল বাংলা ভাষাকেও ঘৃনা করতে ভালোবাসতে পারে।

মনে রাখবেন বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি বিশ্বাস আমরা দূর্ণীতি বা ঘুসের কারনে যত খানী ক্ষয় করেছি তারচেয়ে অনেক বেশী ক্ষয় হয়েছে যুগ যুগ ধরে অপপ্রচারের কারণে।
চলচিত্র কুশলী-শিল্পী-প্রযোজক-পরিচালক-সরকারের কারণে নষ্ট হয় নি, নষ্ট করা হয়েছে অপপ্রচার, অমানবিক ও বাজে ভাবে নিয়ন্ত্রন ও প্রচারের কারণে।
যদি কোনো ইংরেজী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই বাংলাদেশের মাটিতে বসে বাংলা ভাষা কে সবার আগে গুরুত্ব দিতে না জানে তারা কোনো ভাবেই ইংরেজী ভাষা শিখানোর যোগ্যতা রাখে না। আসুন আমরা এই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।

সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:১৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রজাতির শেষ জীবিত প্রাণ !

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫১



বিবিসির একটা খবর চোখে এল সেদিন । উত্তরাঞ্চলীয় সাদা গন্ডার প্রজাতির শেষ পুরুষ গন্ডারটি মারা গেছে । তার নাম ছিল সুদান । মৃত্যুর সময় তার বয়স ৪৫। বিবিসির সংবাদটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=কবিতাগুলো যেনো এক একটি মধুমঞ্জুরী ফুল=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:২০



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনের মাধুরী মিশিয়ে যে কবিতা লিখি
কবিতাগুলো যেনো আমার এক একটি মঞ্জুরী লতা ফুল,
মনের ডালে ডালে রঙবাহারী রূপ নিয়ে
ঝুলে থাকে কবিতা দিবানিশি
যে কবিতার সাথে নিত্য বাস,
তাদের আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০, কিংবা ২/১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, বুঝবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



আপনার পোষ্ট যদি ক্রমাগতভাবে ০ কিংবা ১'টি মন্তব্য পেতে থাকে, তখন খোঁজ নিলে দেখবেন যে, সোনাগাজী সেমি-ব্যানে আছে!

কোন বিষয়ের উপর অনেক মানসম্পন্ন পোষ্ট লিখলেও সামুতে আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×