somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আচরণে ধার্মিক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আচরণে ধার্মিক
##########################
*****
‘হঠাৎ ধার্মিক’ এবং ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-দের দাপাদাপি
----------------------------------------
কিছু ‘হঠাৎ ধার্মিক’-এর এবং কিছু ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-এর দাপাদাপিতে সমাজের সভ্যদের বিরক্ত হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি, -ঐ সকল যুক্তিবহুল কোন্দলিত মানবশাবকদের কীর্তিকলাপ দেখে দেখে বিজ্ঞানের চর্চায় চলমানেরা এবং ধর্মের চর্চায় সমর্পিতরা যে অফুরন্ত ধৈর্যের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগ করবে, সেটাও অবাস্তব নয়, বরং এ মহারঙ্গপুরে দৃশ্যমান এবং এখানেও প্রমাণিত।


মহারঙ্গপুর : নিত্যসম যথাকালীন

*****
আচরণে ধার্মিক
------------
তোমার ধর্মই তোমার কর্মের নিয়ন্তা, আমরা তা’ মানি এবং বাস্তব হিসেবেই মানি। তবে, এটাও সত্য যে, কেউ তার কর্মে ধরা পড়লে কোনো জগতেই তার ধর্ম তাকে উদ্ধার করতে পারে না।
যারা কেবল ভাবধার্মিক তাদেরকে তো বাস্তবে ধর্মের কোনো কাজেই লাগে না হে করণিক।
ধর্ম নয়, বরং কর্মেই মুক্তি, -এই ধারণাটুকু যারা মর্মে ধারণ ক’রে নিয়ে চেষ্টা চালাতে পারে, কেবল তারাই আচরণে ধার্মিক হওয়ার যোগ্য।

রঙ্গপুর : ২৯/০১/২০১৪খ্রি:

*****
সাম্প্রদায়িক ধর্মগুলো প্রচলিত থাকার গুরুত্ব
---------------------------------
(কিছু ‘হঠাৎ ধার্মিক’-এর এবং কিছু ‘হঠাৎ বৈজ্ঞানিক’-এর দাপাদাপিতে সমাজের সভ্যদের বিরক্ত হওয়াটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি, -ঐ সকল যুক্তিবহুল কোন্দলিত মানবশাবকদের কীর্তিকলাপ দেখে দেখে বিজ্ঞানের চর্চায় চলমানেরা এবং ধর্মের চর্চায় সমর্পিতরা যে অফুরন্ত ধৈর্যের পরীক্ষায় উর্ত্তীর্ণ হওয়ার সাথে সাথে নির্ভেজাল আনন্দ উপভোগ করবে, সেটাও অবাস্তব নয়, বরং এ মহারঙ্গপুরে দৃশ্যমান এবং এখানেও প্রমাণিত।)
জ্ঞানপ্রাপ্ত মানবসমাজে বিভিন্ন সাম্প্রদায়িক ধর্মগুলো প্রচলিত থাকার গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না এজন্যেই যে, প্রত্যেকে নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ মহাজ্ঞানী না-ভেবে তার গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধাবনত থাকতে পারলে তাদেরকে কোনো সতর্কবাণী শোনানোর প্রয়োজনীয়তাই থাকে না।
অন্যদের ওপরে নির্দেশদাতা হওয়ার সহজাত আবেগের প্রবণতাটিকে স্বেচ্ছায় দমিয়ে প্রত্যেকে অন্যদের নির্দেশ পালন করতে ইচ্ছুক হ’তে পারলে, বিবেকবানেরা নীরব থাকতে পারতেন এবং কোনো জনসমষ্টিতে ধর্মের শাসন কিম্বা কোনো ধরণের বিধান প্রচার বা প্রবর্তনের সমকালীন ধকল সহ্য করার অনিবার্যতাও থাকতো না কোনো পরিণামদর্শীর বরাদ্দে।

রঙ্গপুর : ০১/০২/২০১৩খ্রি:

*****
ধর্মপ্রাণ আবেগাক্রান্তের সাথে ধার্মিকের পার্থক্য
===============
ধর্মপ্রাণ আবেগাক্রান্তের সাথে ধার্মিকের পার্থক্য সুস্পষ্ট।
ধর্ম সর্বকালেই বিবেকপ্রসূত এবং বিবেকে আশ্রিত।
মনুষ্য বিবেকেই মানুষের পালনীয় ধর্ম ধারিত হয়।
আবেগ কোনো নিয়মনীতি মানতে পারে না। আবেগতাড়িত অবস্থায়, পাশবিক কিম্বা মানবিক কোনোটাই নই, -আমরা উন্মত্ত। আবেগাক্রান্তরা কখনোই কোনো ধরণের ধার্মিক রূপে স্থির বা আত্মনিয়ন্ত্রিত থাকতে পারে না। উন্মত্ততা উন্মাদকে যখন যেভাবে চালায় উন্মাদ চলতে বাধ্য। প্রজ্বলিত করে দিলেই তেজোদীপ্ত উন্মাদেরা জড়র মতোই চলতে থাকে। আবেগে চালিতরা নিজেদের ইচ্ছায় চলতেও পারে না, আর চলতে থাকলে থামাতেও পারে না নিজেরা নিজেদেরকে।
আবেগাক্রান্তের অস্থির আচরণকে ধর্মাচার ভেবে ভুল করাটা, ধর্মপ্রাণ অজ্ঞদের জন্যেই শোভনীয়।
অজ্ঞদের অজ্ঞতার জন্যে দায়ী, অজ্ঞদের কাছের জ্ঞানীজনেরা, যারা আশেপাশের অজ্ঞদের প্রতি উদাসীন। ঐ সকল জ্ঞানীদের জন্যেই বরাদ্দ যন্ত্রণাময় প্রায়শ্চিত্ত। অজ্ঞদেরকে অজ্ঞতার মধ্যে রাখার সাংঘাতিক পরিণতি ভোগ না-করা পর্যন্ত জ্ঞানীরা দায়বদ্ধ থেকে যায়।

রঙ্গপুর : ০৬/০৪/২০১৩খ্রি:

গণকরণিক : আখতার২৩৯
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৮:৪৩
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইসলামে পর্দা মানে মার্জিত ও নম্রতা: ভুল বোঝাবুঝি ও বিতর্ক

লিখেছেন মি. বিকেল, ১৯ শে মে, ২০২৪ রাত ১:১৩



বোরকা পরা বা পর্দা প্রথা শুধুমাত্র ইসলামে আছে এবং এদেরকে একঘরে করে দেওয়া উচিত বিবেচনা করা যাবে না। কারণ পর্দা বা হিজাব, নেকাব ও বোরকা পরার প্রথা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×