somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

সালমা হায়েক

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমার খুব প্রিয় একজন অভিনেত্রী হচ্ছেন- সালমা হায়েক। জীবনের প্রথম ক্যামেরার সামনে নগ্ন হতে গিয়ে অনেকক্ষণ কেঁদেছিলেন সালমা হায়েক। বেশ কিছু দাতব্য কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত এবং বেশ কিছু মানবিক বিষয়ে গণসচেতনতাবৃদ্ধিমূলক কাজে সোচ্চার। এর মধ্যে আছে নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অভিবাসীদের প্রতি বৈষম্য। সালমা হায়েক ১৯৬৬ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে পৃথিবীতে আসেন। গুজব রটেছিল মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গোপন সম্পর্ক ছিল সালমার! 'ব্যবসায়ী বাবা আর সংগীতশিল্পী মায়ের আহ্লাদে একেবারে বিগড়ে গেছে'_পাড়া-প্রতিবেশী, আত্দীয়স্বজনের এমন ধারণা ছিল সালমা হায়েক সম্পর্কে।

'ডেসপারেডো’ মুভি দেখে একবার হলেও সালমা হায়েকের প্রেমে পড়েননি, এমন দর্শক তো পাওয়া দুষ্কর। সুপার-ডুপার হিট ব্যবসা করে ছবিটি। এন্টারটেইনমেন্ট উইকলি “টেলিভিশনের ২৫ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন শিল্পী” তালিকায় হায়েকের অবস্থান ১৭তম বলে ঘোষণা করে। মেক্সিকোর ওয়েল বুম টাউনে জন্ম নেওয়া সালমার পাঁচ বছর বয়সে প্রথম নায়িকা হওয়ার স্বাদ জেগেছিল। '৭১-এর দিকের কথা, স্থানীয় একটি সিনেমা হলে 'উইলি ওঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি' ছবিটি না দেখলে হয়তো সালমা হায়েক থেকে যেতেন আর দশজন মেক্সিকান সুন্দরীর তালিকায়। 'উইলি ওঙ্কা অ্যান্ড দ্য চকোলেট ফ্যাক্টরি' দেখার পরই 'নায়িকাই হব' ভাবনাটি চেপে বসে তাঁর মাথায়।

হলিউড সুপারস্টার সালমা হায়েক ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ফরাসি বিলিয়নিয়ার অঁরি পিনোকে। স্বামী ও চার বছরের মেয়ে ভ্যালেন্টিনাকে নিয়ে তিনি বর্তমানে প্যারিসে বসবাস করছেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে একটি বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৪৬ বছর বয়স্কা এই হলিউডি তারকা। প্রথম ক্যামেরার সামনে নগ্ন হয়ে দাঁড়ানোর যে বাজে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন যাতে তার মেয়েকে না হতে হয়, এমনই শিক্ষায় বড় করছেন মেয়েকে। ২০০৩ সালে 'দ্য মেলাডোনাডো মিরাক্যাল' পরিচালনা করে ডে টাইম অ্যামি অ্যাওয়ার্ডে অনবদ্য পরিচালকের বিভাগে মনোনীত হন।

ডেসপেরাডো', 'ফ্রিদা', 'ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো' তিনটি ছবিতে গানে গলাও দিয়েছেন হায়েক। ভালো পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে '৯৬-তে রডরিগুয়েজের আরেকটি ছবি 'ফ্রম ডাস্ক টিল ডাউন'-এ অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। এরপর আর পেছন ফিরতে হয়নি তাঁকে। একে একে উপহার দেন 'ফুলস রাশ ইন', 'ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট', '৫৪', 'ফ্যাকাল্টি' 'ডগমা', 'টাইম কোড', 'ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মেক্সিকো'র মতো ছবি। ২০০১ সালে একটি তাইওয়ান ম্যাগাজিনের করা জরিপে বিশ্বে ১০০ আবেদনময়ী নারীর তালিকায় অষ্টম হওয়া এই তারকা।'

সালমা হায়েক বলেন, 'আমি অনেক কাজের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে দিয়েছি। কিন্তু এর জন্য আমার কোনো অনুশোচনা নেই। পরিবারের সঙ্গে থাকতে এবং পারিবারিক জীবন উপভোগ করতে ভালোবাসি আমি।' ২৪ বছর বয়সে লস অ্যাঞ্জেলেসে 'স্ট্রিট জাসটিস, দ্য সিনবাদ শো, নার্সেস, ড্রিম অন'-এর মতো সিরিজে কাজ করেন সালমা হায়েক। বাঘ পুষতেন মেক্সিকান অভিনেত্রী সালমা হায়েক। এ পর্যন্ত তিনি তিনটি বাঘ পুষেছেন। তবে কোনোটিকেই খুব বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারেননি। সর্বশেষ তিনি র‌্যাম্বো নামের একটি বাঘ পুষেছেন। বাঘটিকে তিনি তিন বছর যত্নসহকারে লালন-পালন করেছিলেন। র‌্যাম্বোর সঙ্গে খেলাধূলা করেই অবসর সময়টা কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু র‌্যাম্বোও খুব বেশিদিন বাঁচেনি। শৈশব থেকেই সালমা ভীষণ পশুপ্রেমী। বাঘ, বানর, কুকুর, বিড়াল- সবই পুষতেন তিনি।

সালমা হায়েকের দাদি ছিলেন সে সময়ের একজন সফল বিজ্ঞানী। তখন কোনো নারীর জন্য এটা ছিল এক বিশাল অর্জন। সে যুগে তিনি রূপচর্চার ক্রিম আবিষ্কার করে সাড়া তুলেছিলেন। কিন্তু তার দিনের অধিকাংশ সময় কাটত রান্নাঘরে। রান্নাঘরের এক কোণেই ছিল তার গবেষণাগার। কারণ কাজ করতে গিয়ে যেন পরিবারের সময়ের কোনো কমতি না হয়। তার কাছে পরিবারই ছিল প্রধান। মা-বাবা ও দাদির সেই গুণ ও মানসিকতা বড় প্রেরণা হয়ে আছে সালমা হায়েকের জীবনে।
১০টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশি নির্মমতা

লিখেছেন এমজেডএফ, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১১



সমগ্র যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে বিক্ষোভের ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও তেমন সফল... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ ০১

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৫



নতুন নতুন শহরে এলে মনে হয় প্রতি টি ছেলেরি এক টা প্রেম করতে ইচ্ছে হয় । এর পেছনের কারন যা আমার মনে হয় তা হলো, বাড়িতে মা, বোনের আদরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

হিটস্ট্রোক - লক্ষণ ও তাৎক্ষণিক করণীয়

লিখেছেন ঢাকার লোক, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:০৭

সাধারণত গরমে পরিশ্রম করার ফলে হিটস্ট্রোক হতে পারে। এতে দেহের তাপমাত্রা অতি দ্রুত বেড়ে ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট বা তারও বেশি হয়ে যেতে পারে।

হিটস্ট্রোক জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহকে অবিশ্বাস করার সংগত কোন কারণ নাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩



সব কিছু এমনি এমনি হতে পারলে আল্লাহ এমনি এমনি হতে সমস্যা নাই। বীগ ব্যাং এ সব কিছু হতে পারলে আল্লাহও হতে পারেন। সব কিছুর প্রথম ঈশ্বর কণা হতে পারলে আল্লাহও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×