২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে নিযুক্ত শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার উন্নতির জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানাতে কাতারকে দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা।
Published : 31 Jan 2014, 05:26 PM
এক বিবৃতিতে ফিফা জানিয়েছে, “২০১৩ সালের নভেম্বরে কাতারের রাজধানী দোহায় ফিফার সভাপতি সেপ ব্লাটার যান। তারপর থেকে এ পর্যন্ত কাতারে কর্মরত বিদেশি শ্রমিকদের জীবন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য কী-কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা জানতে পারার ব্যাপারে ফিফা আশাবাদী।”
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, “ফিফার দৃঢ় বিশ্বাস, কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষা এবং তাদের অবস্থার উন্নতিসহ দেশটিতে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তন আনার ক্ষমতা বিশ্বকাপের রয়েছে।”
কাতার যে রিপোর্ট ফিফার কাছে পাঠাবে, তা আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে পেশ করবেন ফিফার নির্বাহী কমিটির সদস্য থিও সোয়ানসিগার।
কাতারে শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি প্রসঙ্গে সোয়ানসিগার বলেন, “এখন আমাদের প্রয়োজন কিছু স্বচ্ছ নিয়ম ও পদক্ষেপ। তাহলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বর্তমান পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। যে পরিস্থিতি বর্তমানে মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।”
কাতারে বিদেশি শ্রমিকদের ওপরে ‘নির্যাতন’-এর তীব্র সমালোচনা করেছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশন।
গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, কাতারে নির্মিতব্য বিভিন্ন স্থাপনায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে ‘অমানবিক’ আচরণ করা হচ্ছে। গত ৪ জুন থেকে ৮ অগাস্ট পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে কর্মরত ৪৪ জন শ্রমিকের অকালমৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুর কারণ ছিল হার্ট অ্যাটাক কিংবা কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্ঘটনা।
ঐ প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছিল, বিশ্বকাপের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের জন্য শ্রমিকদের দিয়ে জোর করে কাজ করানো হচ্ছে। তাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পাসপোর্ট নিয়ে নেয়া হয়েছে, কখনো-কখনো পানি পান করতেও বাধা দেয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনটিতে শ্রমিকদের কষ্টকর জীবনকে ‘আধুনিক যুগের দাসত্ব’র সঙ্গে তুলনা করা হয়।