আমরা বাস যাত্রী। কপালের লিখন।
প্রতিদিন যাত্রী কন্টাক্টরে খেচাখেচি শুনতে শুনতে যাওয়া আসা, শুধু স্রোতে ভাসা।
বিশেষ বিশেষ যাত্রীর না গোছল করা ঘামের র্দুগন্ধে, বোটকা সিগারেটের গন্ধে মাথা ধরা।
পিষে পিষে ডলে ডলে যাত্রীদের বাসের দরজায় পৌঁছানো।
কাহাঁতক আর সহ্য করা যায়??
প্রতিদিনের এই অনাকাঙ্খীত ডলাডলি থেকে কে রক্ষা করবে ??
এই বাস, মিনিবাস সব বাউনা দেশ কোরিয়া চায়না থেকে রিকন্ডিশনের সবচেয়ে খারাপ দশার আমদানী।
ঐ বাউনাগো গাড়ী গুলা লম্বায় ছোটো। স্বাভাবিক উচ্চতার বাংলাদেশীদের ঘাড় বাঁকা করে দাড়াতে হয়। সিটগুলা কিন্তু স্বাভাবিক দূরত্বে বিন্যস্ত থাকে মাগার এইহানে আমাগো মেকানিক বায়েরা কেরামতি করে। সব গুলা সিট খুইলা আবার ঘন করে লাগানো হয়। স্বাভাবিক উচ্চতার মানুষের সেকি যাতনা এই সব সিটে বসায়।
শুধু যদি এক জোড়া সিট কম বসায়ে ঐখান দিয়ে একটা দরজা করে দেয়া যায় তবে অনেক হাঙ্গামা হুজ্জত থেকে যাত্রীরা পরিত্রাণ পায়। সবাই উঠবে সামনের দরজা দিয়ে নামবে পিছন দরজা দিয়ে। ওয়ান ওয়ে। আমার গায়ের দুগর্ন্ধ ডলে আপনাকে ঐ একমাত্র দরজায় কুস্তি করে যেতে হবেনা আমিও আপনার সদ্য পালিশ করা জুতা মাড়িয়ে গেলাম না।
কন্টাক্টরেরও ধ্বস্তাধ্বস্তি করে চৌদ্দবার আগে পিছে করা লাগে না। পিছনে দাড়াবে, লোকে নামার সময় বা আগেই ভাড়া দিয়ে নেমে যাবে।
(যৎসামান্য ভাড়া যে যাত্রী মারার তালে থাকে তাকে যত কড়া সিস্টেম দেন না কেন সে ভাড়া মারবেই)
এতে সবচেয়ে বেশী বেচেঁ যাবে আমার আপনার মা বোনের প্রতি অবাঞ্ছিত টেপাটেপি।
ধাক্কা ধাক্কিও কমবে। বেশির ভাগ ধাক্কা ধাক্কি হয় অবশ্য পকেট মারদের কারসাজিতে। সেটাও কমবে।
প্রতিদিনের গ্লানিময় যাত্রা ভোগান্তি কমবে শুধুমাত্র দুটি দরজার সংযোজন করলে। হোক সে গাড়ী যত ছোট। টাটা ন্যানো, হুন্দাই, মাইক্রোবাসে যদি চার দরজা থাকতে পারে তবে বাসতো বটেই, মিনিবাসেও দুই দরজা অবাস্তব নয়।