কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের নেতাদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার পর দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কারণ দর্শাতে বলেছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি।
Published : 01 Feb 2014, 11:10 PM
শনিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নির্ধারিত টেন্টে গিয়ে সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের মিষ্টি খাওয়ান ইসলামী ছাত্র শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটির নেতারা।
এরপর সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীম খান ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবুজর গিফারী গাফ্ফারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে শামীম ও গাফ্ফারকে কেন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না সে বিষয়ে আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো. আসাদুল্লাহকে সভাপতি এবং আতিকুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক করে শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিবিরের নতুন কমিটি হয়। সকালে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দলীয় টেন্টে এসে নেতাদের শুভেচ্ছা জানান শিবিরের নতুন কমিটির নেতারা। এসময় ছাত্রলীগের কয়েক নেতা শিবির নেতাদের কাছে মিষ্টি খেতে চাইলে তারা মিষ্টি নিয়ে আসেন।
শিবির সভাপতি আসাদুল্লাহ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক শামীমের মুখে মিষ্টি তুলে দেন। এরপর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুজর গিফারী গাফ্ফার, সাজন মৃধাসহ উপস্থিত অনেক নেতাকে মিষ্টি মুখ করান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী এ ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
এ সময় ছাত্রলীগের কয়েক কর্মী শিবির নেতাদের কাছ থেকে মিষ্টি খাওয়ার প্রতিবাদ করলে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়া হয় বলে বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ছাইফুল ইসলাম জানান।
ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল্লাহ বলেন, “ছাত্রশিবিরের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মিষ্টি খাওয়ার ঘটনা ট্রাডিশনাল। সবাইকে যেভাবে মিষ্টি খাওয়ানো হয়েছে ছাত্রলীগ নেতাদেরও তাই করা হয়েছে।”
এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে কুষ্টিয়া শহরে এক নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের সঙ্গে করমর্দন করে দলে যোগ দেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর রোকন নওশের আলী।
এ ঘটনা জানাজানির পর দেশজুড়ে ব্যাপক হৈ চৈ হয়।