মোবাইল অপারেটরদের নিরীক্ষা আবার শুরু

দুবছরেরও বেশি সময় পর আবারো মোবাইল অপারেটরদের হিসাব নিরীক্ষার জন্য আগ্রহী দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আগ্রহপত্র চেয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2014, 05:05 PM
Updated : 2 Feb 2014, 06:45 PM

রোববার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়।

২০১১ সালে দেশীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে হিসাব নিরীক্ষা করায় মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানগুলো নিরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে গেলে নিরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানও নিরীক্ষার দরপত্রে অংশ নিতে পারবে।

তবে আবেদনকারী নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশে (আইসিএবি) নিবন্ধিত হতে হবে।

এছাড়া নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি নিরীক্ষা বা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে (জয়েন্ট ভেঞ্চার) আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে বলে শর্ত দিয়েছে বিটিআরসি।

মোবাইল অপারেটরদের নিরীক্ষার যাবতীয় খরচ বিটিআরসি বহন করবে জানিয়ে আগামী ৩ মার্চের মধ্যে আগ্রহী নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগ্রহপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।

টেলিকম খাতে নিরীক্ষায় অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিটিআরসির নথির সঙ্গে অপারেটরদের আমদানি যন্ত্রপাতির দাম যাচাই করে দেখবে। এছাড়া বিটিআরসি ও এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অপারেটরদের দেয়া প্রকৃত রাজস্ব হিসাব ঠিক আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখবে।

অপারেটরদের ফাইনান্সিয়াল স্টেটমেন্ট যাচাইও নিরীক্ষার অংশ থাকবে।

২০১১ সালে ৩ অক্টোবর দেশীয় একটি কোম্পানি নিরীক্ষা করার পর গ্রামীণফোনের কাছে তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা চেয়ে চিঠি দেয় বিটিআরসি।

গ্রামীণফোন দেশীয় ওই নিরীক্ষার ভিত্তি নিয়েই প্রশ্ন তোলে। এরপর ওই চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করতে প্রতিষ্ঠানটি আদালতে আবেদন করে।

২০১১ সালের ২০ অক্টোবর গ্রামীণফোনকে দেওয়া বিটিআরসির চিঠির ওপর ‘স্থিতাবস্থা’ দেয় হাইকোর্ট।

এঘটনার পর থেকেই আন্তর্জাতিক কোম্পানি দিয়েই নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়ে আসছিলো মোবাইল অপারেটররা।