সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় আগুন লেগে নৌকাডুবির ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Published : 03 Feb 2014, 09:43 PM
সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রতাপপুর গ্রামের সুরমা নদীতে রান্না করার সময় চুলার আগুন নৌকায় ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করলে নৌকাটি ডুবে যায়।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণার পর পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।
উদ্ধার ১১টি লাশের মধ্যে চার জনের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে এসপি জানান।
এরা হলেন নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার পাচহাট গ্রামের রোকেয়া বেগম (৪০), একই এলাকার আব্দুল হেলিমের ছেলে কোহিনুর মিয়া (১২), কালু মিয়ার দুই ছেলে রুমান মিয়া (১২) ও সাকিব (৭)।
পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়ায় বাকিদের সনাক্ত করা যায়নি।
বিকাল পর্যন্ত আর লাশ না পাওয়া যাওয়ায় উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় বলে তিনি জানান।
সকালে এসপি হারুনুর রশিদ জানিয়েছিলেন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার কাজ চালান। তবে ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে রাতে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়েছে।
তিনি জানান, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আগুন লেগে নৌকাটি সুরমা নদিতে ডুবে যাওয়ার পর রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত স্থানীয়দের সহায়তায় ছয়টি লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর সকালে আবার উদ্ধার অভিযান শুরুর পর আরো পাঁচটি লাশ পাওয়া যায় বলে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার মো. তারেক জানান।
তিনি বলেন, লাশগুলো এতটাই পুড়ে গেছে যে সনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
তবে নিহতদের মধ্যে অন্তত দুটি শিশু রয়েছে বলে উদ্ধারকর্মীরা জানান।
পুলিশ সুপার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ইঞ্জিনচালিত নৌকাটির শতাধিক যাত্রীর মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন পাথর কেয়ারির শ্রমিক। নৌকায় ১৫ থেকে ২০ জন নারী ও শিশু ছিল। ছাতকের ভোলাগঞ্জ থেকে কিশোরগঞ্জের নিকলী, নেত্রকোনার মিঠামই ও খালিয়াজুড়ি যাচ্ছিলেন তারা।
চুলার আগুন নৌকায় ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্কিত যাত্রীরা হুড়োহুড়ি শুরু করলে নৌকাটি ডুবে যায়।
ডুবে যাওয়া নৌকার ৪০-৪৫ জন যাত্রী সাঁতারে তীরে উঠতে পারলেও প্রায় অর্ধশত যাত্রী এখনো নিখোঁজ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে সকালে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দোয়ারাবাজার থানার এস আই হারুন।