প্রথমেই বলি,শিরোনাম টা নতুন হতে পারে কিন্ত বিষয় টা একেবারে পুরাতন ।
প্রাচ্য তথা ভারতীয় সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক বা অন্যান্য জীবন ব্যাবস্থা অনেক আগেই পাশ্চাত্য তথা ইউরোপীয়দের কাছে পরাজিত হয়েছে, কিন্ত পরাজিত হওয়া মানে তো বিকিয়ে দেওয়া বা অধীন করে ফেলা নয়।কিন্ত আমরা অবচেতন মনে হোক অথবা ইচ্ছাকৃত ভাবে তাই করছি।রাজনৈতিক বা কিছুটা সামাজিক ভাবে স্বাধীন হতে পারলেও মানসিক গোলামি হতে মুক্ত হতে পারিনাই।
আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , অফিস আদালত ,বিনোদন ,কৃষ্টি কালচার এমন কি আমাদের নিজের দেহ পর্যন্ত সাক্ষ্য দিচ্ছে যে পাশ্চাত্য চিন্থাধারা ,সংস্কৃতি আমাদের ওপর পুরো মাত্রাই কতৃত্তশীল ।কোনো বিষয় নিয়া চিন্তা করতে গেলে পাশ্চাত্য মগজ দিয়া চিন্তা করছি, ভালভাবে দেখতে লাগবে পাশ্চাত্য র চোখ ,আর পথ চলতে লাগবে পাশ্চাত্য নির্দেশিত পথ।যে জিনিসই পাশ্চাত্য এর মানদণ্ডে উন্নীত টা একেবারে সঠিক ,যথার্থ মনে করা হচ্ছে ।এমনকি নিজেরা পাশ্চাত্য মানদণ্ডে উন্নীত হয়েছি বলে গর্ববোধ করছি
থার্টি ফার্স্ট নাইট বা এ ধরনের দিন গুলো পালন না করলে আধুনিক হওয়া ই যাবে না।গুলশান,বনানি, আভিজাত এলাকায় চলবে উচ্ছৃখলা এসব ই আমাদের আধুনিক জীবনের সংস্কৃতি ।কক্সবাজারে চলবে ডিজে পার্টির নামে উলঙ্গপনা।এগুলা ই এখন আমাদের সংস্কৃতি র অংশ। ভ্যলেনটাইন ডে, ফ্রেন্ডশীপ ডে ,নতুন করে যুক্ত হল হোলি উৎসব । পাশ্চ্যত্যের এ দিন গুলা পালন না করলে কেমন যেন আমরা সামাজিক হতে পারিনা।
জানি,এসব কথার বর্তমানে কোনও পাত্তা নাই।কিন্ত সমাজের একটা অংশ তো এসবের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে পারে বিশেষ করে তরুণেরা ।
একটি সমাজের গতিধারা ,ভবিষ্যত আর্থ-সামাজিক বিকাশ ইত্যাদির গতিপ্রক্রিয়া নির্ধারন করে তরুণরা ই তাদের অবস্থা যদি এমন হয় তা হলে আমরা শঙ্কিত না হয়ে পারিনা ।
নিজের সংস্কৃতি পালন না ই করলাম কিন্ত ভিনদেশী সংস্কৃতির কাছে বিকিয়ে দেওয়া যায়না।