দীর্ঘ দিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে ভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রথম টেস্ট শতকের দেখা পেয়েছেন ইমরুল কায়েস। তবে তিন অঙ্কে পৌঁছে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যও দায়ী তিনি।
Published : 06 Feb 2014, 11:45 AM
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার টেস্টের তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন-বিরতির পরপরই সুরঙ্গা লাকমলের বলে স্কয়ার ড্রাইভে চার মেরে প্রথম টেস্ট শতকে পৌঁছান ইমরুল।
১৮৬ বলে শতকে পৌঁছানো ইমরুলের ইনিংসটি সাজানো ১৬টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজানো।
ভাগ্যের জোরে শতক পাওয়ার পর তেড়েফুড়ে অজন্তা মেন্ডিসকে মারতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান ইমরুল। ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ২৫৯।
তিনবার জীবন পেয়ে ১১৫ রান করেছেন তিনি। বল না বুঝে উড়িয়ে মারতে গিয়ে চোটও পেয়েছেন ইমরুল। শেষে স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে নিতে হয় তাকে।
দ্বিতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে ২৩২ রানের চমৎকার জুটি উপহার দেন ইমরুল। টেস্টে দ্বিতীয় উইকেটে এটি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ঢাকা টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ২০০ রান করেছিলেন তামিম ইকবাল ও জুনায়েদ সিদ্দিক।
ভাগ্যও সঙ্গে ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। বুধবার ৩১ রানে জীবন পেয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার ৯৫ রান সহজ ক্যাচ দিয়ে আবার বেঁচে যান তিনি। অজন্তা মেন্ডিসের সেই ওভারে আবার ক্যাচ দিলেও এবার ‘নো বল’ ত্রাতা ইমরুলের।
আগের ১৬ টেস্টে মাত্র ১টি অর্ধশতক ছিল ইমরুলের। সেটি করেছিলেন লর্ডসে, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১০ সালে।
সোয়া দুই বছর পর দলে ফিরে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক পৌঁছাতে ১১৬ বল খেলেন ইমরুল।
৩৬ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইমরুল অর্ধশতকে পৌঁছান দিলরুয়ান পেরেরার বলে এক রান নিয়ে। এ সময় ৬টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
অর্ধশতকে পৌঁছানোর পর ভীষণ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেন ইমরুল। নুয়ান প্রদীপের পরপর দুই ওভারে টানা তিনটিসহ মোট সাতটি চার মেরে এক সময়ে ছাড়িয়ে যান বেশ এগিয়ে থাকা শামসুর রহমানকে।
চার মেরে নব্বইয়ের ঘরে পৌঁছানোর পর সতর্ক হয়ে যান ইমরুল। ১৪৯ বলে ৯০ রানে পৌঁছানোর পর মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যাওয়ার আগে ১৮ বলে নিয়েছিলেন মাত্র ১ রান। আর শতক করার পর তো উইকেটই বিলিয়ে দিয়ে এলেন তিনি।