somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কথাগুলো একজন মেয়ের ......কিন্তু সবার একবার পড়া উচিত!

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

নিজে মেয়ে মানুষ।
আমি খুব
ভাল
করেই
জানি মেয়েরা এত
সাজ
গোজ
কেন
করে।
খুবই
সিম্পল
উত্তর।
মানুষ
তাদের
দিকে তাকাবে ,
প্রশংসা করবে।
কার না ভাল লাগে প্রশংসা শুনতে!
আমারো ভাল লাগে।কিন্তু
আপারা দুনিয়ায় খালি আমরা মেয়েরাই
নাই। আমাদের ভাইরাও আছে।
সৃষ্টিগতভাবে যারা আপনাদের উপর
এবং আপনারা তাদের উপর দূর্বল। কিন্তু
এইটা ভাইদের ক্ষেত্রে একটু না অনেক
বেশি। এই কথাগুলা বলতে আমার খুবই খারাপ
লাগে। অনেক বেশি লজ্জা লাগে এই জন্য
যে এত ব্যাখ্যা করে আমার বোনদেরকে এসব
আমার বলতে হয়। আমি বাংলায় এসব
লিখতে পারবনা।
Most of the man gets sexually aroused when—
আপনি টাইট ফিটিং কাপড় পরেন।
আপনি ওড়না পরেন না/ গলায় ঝুলায় রাখেন/
একপাশে ঝুলায় রাখেন।
আপনি যখন অর্ধস্বচ্ছ কাপড় পরেন।
আপনার পেট/পা/পীঠ যখন দেখা যায়।
আপনি যখন ঠোঁট রাঙ্গান।
আপনি যখন চোখে স্মোকি সাজ পরেন।
আরও শত শত কারন থাকতে পারে।
কি ?
মনে হচ্ছে যে ছিঃ ছিঃ ছেলেরা এত
খারাপ! তাইনা? The fact is that they are
CREATED like this. Do you understand my dear sisters?
THEY ARE CREATED BY ALLAAH LIKE THIS.
শুধু আল্লাহ্র ভয়/সমাজের ভয়/ ভালত্ব/ সুস্থ
বিবেক আছে দেখেই এখনো কোন ভাই এই
ধরণের আপাদের রাস্তায়
ধরে কষে কষে কয়েকটা চড় বসান নি।
[আল’হামদুলিল্লাহ। এই বিপদ আমার উপর
আসার আগেই আল্লাহ্
আমাকে রক্ষা করেছেন।একবার কি হল,
তখনো আমি ঠিকমত হিজাব করিনা, মাথায়
একটু আধটু কাপড় দেই। একদিন প্রচন্ড গরমের
মধ্যে ক্লাসে গেছি। মাথায় কাপড় দেইনি।
আমাদের সাথে সিনিয়র অফিসাররাও
ক্লাস করতেন। এঁদের মধ্যে একজন ভাই
পুরো ক্লাসের মধ্যে আমাকে এমন
ঝাড়ি দিলেন! টিচার ছিল, সব স্টুডেন্ট
ছিল। আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম, ক্লাস
থেকে বের হয়ে গেছি। অনেক
কান্নাকাটি করেছি।
ভাইয়া আমাকে বলেছিলেন, "The Jews know
our scriptures better than us, but they do not follow.
[Inspite of knowing about hijab you don't wear it
properly,so] Do you think you are better than that Jew?”
এই একটা কথা আমার
ভেতরটা কাঁপিয়ে দিয়েছিল।
আমি বলেছিলাম হিজাব পরলে আমার কষ্ট
হয়, দম বন্ধ হয়ে যায়, এ সি রুমেও
ঘামতে থাকি। উনি বললেন, ” Did you ask
Allaah to help you with this?” আসলেই তো, যার
জন্যে হিজাব করছি তাঁর কাছেই
তো সাহায্য চাইনি। আমি আর কোন উত্তর
দিতে পারিনি ভাইয়াকে। উনি ঠিক কথাই
বলেছিলেন আমাকে। হয়ত
রুক্ষভাবে বলেছেন,কিন্তু ওই সময় আমার জন্য
ওগুলো থাপ্পড়ের কাজ করেছে,
আল’হামদুলিল্লাহ এখন তীব্র গরমেও
মাথা থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখলেও
আমার কোন অসুবিধা হয় না। আমি গরম
লাগার দোহাই দিই। কিন্তু ওইদিন
কি হবে যেদিন সূর্য মাথার এক হাত
উপরে থাকবে। আল্লাহ্ মাফ করুন। ]
আপারা,আরো কয়েকটা uncensored কথা বলি।
এটা জানেন তো যে মানুষ(অধিকাংশ) খুব
সহজেই বোর হয়ে যায় আর নতুন কিছু
খুঁজতে থাকে যা তাকে আনন্দ দেবে।
পশিমাদের মধ্যে হোমসেক্সুলালিটি এত
বেশি এর কারন
নিয়ে কখনো চিন্তা করেছেন? কেন
যেখানে চাইলেই মানুষ আপনার বিছানায়
আসতে রাজী সেখানে কেন
মেয়ে মেয়ের সাথে ছেলে ছেলের
সাথে যেতে চায়? এরা নারী দেহ
দেখতে দেখতে ক্লান্ত। এদের
রূচি আস্তে আস্তে বিকৃত হয়ে গেছে। এখন
তারা নিজেদের মধ্যে থেকেই
সংগী খোঁজে। আল্লাহ্ মাফ করুন। হেদায়েত
দিন।
আপারা, আমার
লেখা এলোমেলো হচ্ছে আমি জানি।
রেগে আছি তো তাই।
একটা কথা বলি শোনেন।
আপনি মানুষকে যা দেখাবেন তা দেখেই
তারা আপনার মূল্যায়ন করবে। মানুষের
শরীরের সৌন্দর্য এক সময় শেষ হয়ে যায়। তাই
আজকে যারা আপনাকে বলছে,
তোকে তো দারুন লাগছে/ আপনার
ফেসবুকের ছবিতে প্রশংসার পর
প্রশংসা করে যাচ্ছে…… ।।আর এই সব
দেখে আপনি খুশিতে ডগমগ করেন।।আজ
থেকে ২০ বছর পরের কথা চিন্তা করেন…এই
ছেলেরা তখন ৩৮/৪০ ।তখন আপনার
প্রশংসা করবেনা। তারা কিন্তু ঠিকই ১৬-২৫
দেরকেই খুঁজবে।
কিন্তু আপারা, একটা কথা জানেন? মনের
সৌন্দর্য শেষ হয় না। মন জরাগ্রস্ত হয়না।
একটা সুন্দর মন, শালীন দেহ সর্ব কালে সর্ব
যুগে প্রশংসিত। আজকের
বোরকা পরা মেয়েকে দেখলে যেমন
আপনার যারা প্রশংসা করে সেই ছেলেরাও
মাথা নামিয়ে নেয়,আমার
দাড়ি টুপি ওয়ালা ভাইরাও নামিয়ে নেয়।
আজ থেকে ২০ বছর পর দেখলেও
তারা দৃষ্টি নামিয়ে নিবে, ইনশা’আল্লাহ।
আমার এই বোনেরা আজকেই সম্মানিত।
কালকেও থাকবে ইনশাআল্লাহ্। আর
আপনাদের কি হবে?
আজকে আপনারা যাদের চোখ জুড়াচ্ছেন
কাল তারা আপনার দিকে তাকাবেই না।
আর সম্মান??? সেটা আজকেও কেউ
আপনাদের করেনা,
ভবিষ্যতে করবে কি আল্লাহ্ ভাল জানেন।
আপারা, চাকরানী চেনেন???
দাসী চেনেন??? আপনার হলেন পুরুষদের
চাকরানী নয়তো মেকাপের দাসী। ঘন্টার
পর ঘন্টা সময় নিয়ে এত সাজ গোজ যে করেন…
পরে তো সেগুলো তত কষ্ট করেই
ঘষে ঘষে তুলে ফেলতে হয়। কি লাভ এই
কৃত্তিমতার?
এই যে একেকজন ডাক্তারি,
ইঞ্জিনিয়ারিং , ভার্সিটিতে পড়ছেন
অথচ নিরেট মূর্খের মত আচরণ কেন করছেন?
আপনার এত এত বিদ্যা আপনাকে কেন রঙ
চঙ্গের আশ্রয়
নেয়া থেকে বাঁচাতে পারেনা???
কেন অফিসে/অফিসিয়াল কনফারেন্স/
কনভোকেশন/নবীন বরণ/
ফেয়ারওয়েলে যাবার আগে আপনার
নিজের চেহারায় এত ঘষা মাজা করতে হয়?
এসব যায়গার তো আপনি আপনার লেখাপড়ার
কল্যানেই যাচ্ছেন তাই না? তাহলে কেন সব
কিছু ছাপিয়ে আপনার সাজ গোজ
সেখানে প্রাধান্য পাবে???
কি করলেন এত লেখাপড়া করে যা আপনার
মানসিকতাকে বদলাতে পারেনি?
দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে পড়েও কেন
আপনাকে ছোট ছোট কাপড়, কিছু রঙ চঙ্গের
উপর নির্ভরশীল হতে হয়। বলতে পারেন?
আপারা বলেন তো দেখি আপনার এক
মাসের পার্লারের খরচ দিয়ে কয়জন ক্ষুধার্ত
মানুষকে খাওয়ানো যায়? আচ্ছা ধরলাম
চালের কেজি ৫০ টাকা। ২০০০
টাকা হলে এক মণ চাল হয়। একটা ছোট
পরিবারের ১৫-২০ দিনের খাবার
ব্যবস্থা হয়ে যায়। কোনদিন ৫০০ টাকা খরচ
করে ১০ কেজি চাল কিনে কোন দরিদ্র
মানুষকে দেয়ার কথা ভেবেছেন কখনো?
অথচ আপনার পা ঘষে দিলেই আপনি ৫০০
টাকা পার্লারে দিয়ে আসেন। কি আশচর্য!
আপনি যখন পা দলাই মলাই করে নিচ্ছে তখন
কোথাও কোন সনাবরু
না খেতে পেয়ে গলায় দড়ি দিচ্ছে।
আপনি যখন সেজে গুজে বন্ধু বান্ধবের
সাথে নবীন বরণ বা ফেয়ারওয়েল এ
নাচানাচি করছেন তখন আপনার বোন
আফিয়া সিদ্দিকা/
ফাতিমেকে প্রতি রাতে ১০ জন মার্কিন
সৈন্য ধর্ষন করছে।RAPE. কখনো এদের জন্য
আপনার চোখে পানি এসেছে? একবার
চিন্তা করুন তো, আপনাকে বানরের মত খঁচায়
রাখা হয়েছে যেখানে আপনি সোজা হয়ে দাঁড়াতেও
পারেন না, আপনার গায়ে কাপড় পর্যন্ত
রাখা হয় নি, আপনার সামনে আপনার দুই
সন্তানকে জবাই করা হয়েছে,আপনার
একটা একটা করে চুল
টেনে টেনে উপড়ে ফেলা হয়েছে, আপনার
পেটে গুলি করা হয়েছে, ইলেক্ট্রিক শক
দেয়া হয়েছে, তার সাথে সাথে যখন তখন
আপনাকে ধর্ষন করা হচ্ছে। কি …
বেশি বলে ফেললাম???
কপিড
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

নারী একা কেন হবে চরিত্রহীন।পুরুষ তুমি কেন নিবি না এই বোজার ঋন।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১২:৫৪



আমাদের সমাজে সারাজীবন ধরে মেয়েদেরকেই কেনও ভালো মেয়ে হিসাবে প্রমান করতে হবে! মেয়ে বোলে কি ? নাকি মেয়েরা এই সমাজে অন্য কোন গ্রহ থেকে ভাড়া এসেছে । সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=সকল বিষাদ পিছনে রেখে হাঁটো পথ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৮



©কাজী ফাতেমা ছবি

বিতৃষ্ণায় যদি মন ছেয়ে যায় তোমার কখনো
অথবা রোদ্দুর পুড়া সময়ের আক্রমণে তুমি নাজেহাল
বিষাদ মনে পুষো কখনো অথবা,
বাস্তবতার পেরেশানী মাথায় নিয়ে কখনো পথ চলো,
কিংবা বিরহ ব্যথায় কাতর তুমি, চুপসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×