রাজধানীর মগবাজার মধুবাগ এলাকায় একটি বস্তিতে আগুন লেগে পুড়ে গেছে শতাধিক ঘর ও একটি রিকশার গ্যারেজ; ঘুমের মধ্যে জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে তিন বছরের এক শিশু।
Published : 08 Feb 2014, 08:10 AM
ফায়ার ব্রিগেড নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে হাতিরঝিল সংলগ্ন মধুবাগে ওই বস্তিতে আগুন লাগে।
খবর পেয়ে অগ্নি নির্বাপক বাহিনীর ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় বাসিন্দা শামসু মিয়া বলেন, শতাধিক ঘরের এ বস্তিতে প্রায় ৩ শ’ লোকের বসবাস ছিল। সকালে বাবুল মিয়া নামের একজনের ঘরের চুলা থেকে বস্তিতে এবং লাগোয়া রিকশার গ্যারেজে আগুন লাগে।
রমনা থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, অগ্নিকাণ্ডে বস্তির সবগুলো ঘরই ভষ্মীভূত হয়। এরই একটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় মৃত্যু হয় সবুজ (৩) নামের এক শিশুর।
সবুজের মা মর্জিনা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মগবাজারের একটি বাসায় তিনি গৃহকর্মীর কাজ করেন। তার স্বামী পেশায় দিনমজুর।
বড় মেয়ে সাথির (৭) কাছে সবুজকে রেখে সকালে কাজে বের হন মর্জিনা। বস্তিতে আগুন লাগলে সাথি প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে বেরিয়ে যায়। ভেতরে পুড়ে মারা যায় ঘুমন্ত সবুজ।
ঢাকা জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক জহিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগুনের কারণ সম্পর্কে কয়েক রকম মত পাওয়া গেছে।
বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ফায়ার ব্রিগেড সদর দপ্তরের উপ পরিচালক (প্রশাসন) ফরিদ উদ্দিনকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সদ্য বিবাহিত গার্মেন্টস কর্মী তানিয়া বেগম জানান, ১৫০০টাকা ভাড়ায় একটি ঘরে স্বামীসহ থাকতেন তারা। আগুনে ঘরের খাট, আলমারি, ড্রেসিং টেবিলসহ জমানো প্রায় দশ হাজার টাকা পুড়ে গেছে।
ওই বস্তির বাসিন্দা গৃহকর্মী হাসিনা বেগম বলেন, আগুনে তাদের সব পুড়ে গেছে। এখন কোথায় থাকবেন, কি খাবেন- কিছুই বুঝতে পারছেন না।
৩৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল হক খান জানান, “ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।”