somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সংখ্যালঘু

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



তুমি বলো শব্দরা কোথায় থাকে? আমার
কবিতার শব্দরা কোথা হতে ধরা দ্যায়।
আমি বলি শব্দরা আসে তোমার উষ্ণ নিঃশ্বাস
হতে, তোমার ছায়া হতে, তোমার হাসি হতে,
তোমার বিষণ্ণতা হতে, তোমার এলোচুলে
চুম্বনরত প্রজাপতি হতে, দূর পাহাড়ের চূড়া হতে
স্বর্গ হতে, কখনো বা নরক হতে, শব্দ আসে
নদীর মতো প্রশান্ত ভঙ্গীতে, শব্দ আসে 
নিরিবিলি চাঁদ সুর্যের ঔরষ- জোছনা হতে, 
শব্দ আসে, আসতে থাকে...

আমাদের যৌথ প্রযোজনার খামার ভালোবাসা
হতে, আলোছায়ার অদ্ভুতুরে সোহাগে
সকালের নাতিশীতোষ্ণ রোদ হতে, শব্দ আসে
শব্দ আসে, শব্দ আসতে থাকে...

আসলেই কী শব্দ আসে, শব্দরা ধরা দ্যায়?
এই যে তোমার সাথে কথোপকথন, গভীর রাতে
ফিসফাস, বেহালার সুরের বিকেল
এ্যাসট্রেতে জমতে থাকে সিগারের স্ট্যাব 
তবুও তো ভেবে চলে শব্দের জালের বুননে
যুতসই উপমা কতোটা কী...

আসলে শব্দ নয়, কোন উপসংহারও নয়
নঞর্থক কিছু ভাবনা আসে।
কিন্তু কিছুই কিছু না। সব কর্পুরের মতো 
উবে যায়, হারিয়ে যায়।

অথচ আমাদের কোমল আলাপ চারিতায়
কতোই না শব্দের ব্যবহার! কখনো বা গোলাপ জলে
ভিজিয়ে রাখা উচ্ছ্বাসে আলোকিত বিছানায়
বাসরের উৎসব, ঘামফুল আরো কতো কী!

এইসব কোমল শব্দে, বাবার কাঁধে চড়ে 
আরামদায়ক কাশফুলের নরম ছোঁয়া হবে
কবিতার মসৃণ পঙক্তি, ডাহুকের আবেশি 
সুর হবে কবিতার অন্ত্যমিল, এভাবে ভাবি
কবিতার দীর্ঘতম সমাবেশ।

প্রতিদিন মানুষ মরছে, পঙ্গু হচ্ছে কতশত।
কয়টা গাড়ী ভাঙলে বা পোড়ালে একটা আন্দলনে
জনসম্পৃক্ততা প্রকাশ পায় এসব প্রতিদিনের
নিউজ হয়,টিভি চ্যানেলের টিআরপি বাড়ায়।

আমি তাই নিউজমুখী নই। দূরে থাকি
একা একা রাস্তায় হাঁটি, নিজের সাথে কথা বলি
প্রিয়তমার প্রতি সর্বশেষ কী লিখেছি বা
কী লিখবো তা আওড়ে যাই আনমনে।

''স্বপ্ন শুভ হোক, শুভরাত্রি।''
---এই ছিলো প্রিয়তমার প্রতি সর্বশেষ কথা।

ফিনফিনে রোদের আভা ছড়িয়ে আলোর দেবতা
জেগে উঠেছে, নিয়ে ধোঁয়ার কুন্ডুলী।
যেন ফুজিয়ামা নূতনভাবে জেগে উঠেছে
জানন দিয়েছে তার অস্তিত্বের কথা
জ্বলে জ্বালিয়ে চারদিক অঙ্গার করে দিবে...

আমাদের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে
আছড়ে পড়ছে আমাদের গায়ে, তাই
পাড়ি জমাতে হয় দূরের পথে, নদীর এপাড়
ছেড়ে ওপাড়ে অথবা কাঁটাতার ডিঙাতে হয়।

প্রিয়তমা, তোমার শরীরে কতটা ক্ষত হয়েছে
সেরে উঠবে কী দ্রুত, আমাদের শল্যচিকিৎসা কী পারবে
তোমাকে সারিয়ে তোলতে, না দ্রুত ফুরিয়ে
যাবে তোমার আয়ু, জান্তব অসুরের সাথে
না পেরে বুঝি আমার কবিতা থেকে ধীরে
ধীরে হারিয়ে যাবে, হয়ে উঠবে শূন্যতা!

আমাদের ঘাসফুল সংসারে অথবা ফড়িঙ
জীবনে চলে আসে ত্বত্তকথার সরবারাহ
আর মুছে যায় একাদশী চাঁদের আলোয়
আমাদের কবিতায় ধ্বনিত সব পঙক্তিরা

বিভেদের চূড়া হা করে থাকে, আমাদের
প্রোথিত থাকতে হয় দুটি শব্দে সংখ্যালঘু
আর সংখ্যাগুরু। আমাদের শরৎ এবঙ
অন্যান্য ঋতুগুলো দু'টোশব্দে করায়ত্ব হয়ে যায়।

অথচ প্রিয়তমা, তোমার ঘরে আগুন দিয়ে
যারা তোমার ঘুমকাতুরে সন্তানের শরীর
ঝলসে দিয়েছে, তোমার নাভীমূল থেকে
কেড়ে নিয়েছে সতীত্বের তিলক, তারা
হয়ে যাচ্ছে সমাজাধিপতি, সংখ্যাগুরু!
ভেড়ার পালের গোদা, তোমাকে ভুলে যাই
এবং কবিতায় সংযোজন করি দুটি শব্দ
সংখ্যাগুরু এবঙ সংখ্যালঘু!





উৎসর্গঃ প্রিয় আরমান ভাই (ব্লগ নিক ডট কম ০০৯) উৎসর্গ দেখে ভরকে যাবার কিছু নেই। আমি লাস্ট কবিতা লিখছিলাম মাস দুই আগে। এর মধ্যে লিখতে না পারা নিয়ে আরমানের ভাইয়ের সাথে অনেকবার কথা হয়, এবং তখনি ওনাকে বলি যদি কোন কবিতা লিখতে পারি তবে তা ওনাকে উৎসর্গ করবো এবং তাই করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২২
৩৯টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭



অনেক দিন পর আমি আজ এই হোটেলে নাস্তা করেছি। খুব তৃপ্তি করে নাস্তা করেছি। এই হোটেল এর নাম বাংলা রেস্তেরা। ঠিকনা: ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডম ভবেরচর, গজারিয়া, মন্সীগঞ্জ। দুইটি তুন্দুল রুটি আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×